1. info@www.dainikdeshbarta.com : bissho sangbad Online : bissho sangbad Online
  2. info@www.dainikdeshbarta.com : Dainik Desh Barta :
শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১০:৪১ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক সরদার সাহাদাত আলীকে চট্টগ্রাম- দোহাজারী – কক্সবাজার রেলওয়ে যাত্রী কল্যাণ পরিষদের স্মারকলিপি প্রদান। চন্দনাইশে আ’লীগ নেতা জাহেদ হোসেনের পক্ষ থেকে শরবত ও ছাতা বিতরণ চেয়ারম্যান-খন্দকার আছিফুর রহমান, মহাসচিব মো: ছগীর আহমেদ বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক সোসাইটি’র কেন্দ্রীয় কমিটি ঘোষণা শিবগঞ্জে বৃষ্টির জন্য একাধিক স্থানে ইস্তিসকার নামাজে কাঁদলেন মুসল্লিরা। চকরিয়ার ডুলাহাজারায় আম পাড়তে গিয়ে শশুর বাড়ির ছাদ থেকে পড়ে গৃহবধূর মৃত্যু পটিয়ায় মেহের আটি ফিরোজা-রউফ ফাউন্ডশনের আয়োজনে বাংলা বর্ষবরন ও ঈদ পুনর্মিলনী শীর্ষক সভা চাঁপাইনবাবগঞ্জে পরিত্যক্ত নলকুপের পাইপে পড়ে মানষিক ভারসাম্যহীন এক তরুণের মৃত্য। চন্দনাইশে আটো-রিক্সা চালক সমবায় সমিতি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা ঈদ-এ-মিলাদুন্নবী সাল্লাল্লাহু তা’আলা আলাইহি ওয়াসাল্লাম সম্পন্ন। তীব্র তাপতাহে “ডিফেন্স এক্স সোলজার্স ওয়েলফেয়ার সোসাইটি” কর্তৃক পানি ও খাবার স্যালাইন বিতরণ চাঁপাইনবাবগঞ্জে হিটস্ট্রোকে ট্রাফিক পুলিশ পরিদর্শকের মৃত্যু।

বিশ্বের লৌহমানবী শেখ হাসিনা – শাহিদা আকতার জাহান

  • প্রকাশিত: রবিবার, ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
  • ২১২ বার পড়া হয়েছে

নন্দিত বাংলার অহংকার, সাহসী গণতন্ত্র, উন্নয়নের সংগ্রামের কল্যাণধর্মী, গৌরবান্বিত বঙ্গবন্ধু কন্যা ৪৪ বছরের পথচলা। দীর্ঘ চার দশকের কাছাকাছি সময় ধরে বাংলার ভাগ্যাকাশে উদিত হলো এক উজ্জল নক্ষত্র। তেজি দূরদৃষ্টি সম্পন্ন আপোষহীন সংগ্রাম করে আজ বাংলাদেশ ছাড়াও বিশ্বের নেতৃত্ব দিচ্ছেন বাংলাদেশের রাষ্ঠ্রনায়ক শেখ হাসিনা। ১৯৪৭ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর ঐতিহ্যবাহী জনপথ গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়ার গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেন। মধুমতি নদীর তীরে কেটেছে তাঁর শৈশব। ছোট বেলায় তার সাহস ও দেশপ্রেমের কথা বঙ্গবন্ধুর আত্নজীবনীতে প্রকাশিত হয়েছে। ৭৫ সালে ১৫ আগষ্ট বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যার পর ষড়যন্ত্র শুরু হয়। মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্বদানকারী দল,গণ মানুষের অধিকার আদায়ের দল,বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে নিশ্চিহ্ন করার জন্য একের পর এক ষড়যন্ত্র শুরু করে তৎকালীন স্বৈরশাসক। বাংলার মুক্তিকামী মানুষ যখন দিগভ্রান্ত দিশাহারা, টিক তখন আওয়ামীলীগ ও মুক্তিযোদ্ধের চেতনার পক্ষে বাংলার দুখী মানুষের অভিবাবক হয়ে মাত্র ৩৩ বছর বয়সে ১৯৮১সালে ১৭ মে বঙ্গবন্ধু কন্যা, শেখ হাসিনা দেশে প্রত্যাবর্তন করেন। এ দিনে তিনি বাংলার মাটিতে ফিরে আসেন এক বুক কষ্ট নিয়ে। বিকাল চারটায় ইন্ডিয়ান বোমিং বিমানে তিনি দল্লী থেকে কলকাতা হয়ে তৎকালিন ঢাকা কূমিটোলা বিমানবন্দরে এসে পৌছেন। বঙ্গবন্ধুর কন্যাকে এক নজরে দেখার জন্য লক্ষ লক্ষ মানুষের ঢল। তিনি যখন দেশে আসেন তখন তার সামনে একটি অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ। এক দিকে মা বাবা ভাই সব হারানোর বেদনা অন্য দিকে দৃঢ়মনোবল সাহসিকতা, দূরদর্শিতা একজন সাহসী পিতার সাহসী কন্যা,একজন সাহসী নেতার সাহসী নেএী হিসেবে তিনি বাংলার মানুষের খুব কাছের ফিরে আসেন। তাই সাধারণ মানুষের যে ভালবাসা পেয়েছিলেন তা থেকে তিনি হয়ে উঠেন ব্যক্তি শেখ হাসিনা থেকে একটি দক্ষ প্রতিষ্ঠান। তিনি হারানোর শোককে শক্তিতে পরিণিত করেন। তার মেধা সততা দক্ষতা পবিত্রতা আপোশহীনতা দিয়ে এদেশের মানুষের ভালবাসায় সিক্ত। তিনি দেশের ঘোর দুঃসময়ে পিতার মতো অদম্য সাহসই দেখিয়েছিলেন। তার মধ্যে মহান নেতার অকুতভয় মানসিকতার বহিঃপ্রকাশ দেখা য়ায়। বর্ষণসিক্ত ঢাকা বিমান বন্দরে লক্ষ লক্ষ মানুষের মাঝে সে দিন উওাল জনসমুদ্রর দাঁড়িয়ে ভাষনদানরত বঙ্গবন্ধু কন্যা কোন গৃহবধূ ছিলেন না,শুধু কোন একজনের মা কিংবা বোন ছিলেন না। সে দিন তিনি বাঙালির কাছে গৃহবধূ থেকে জননেএীত্বে রুপান্তরের সূচনা হয়েছিলো। তিনি গভীর আবেগময় কান্না জড়িত কন্ঠেই জনতার উদ্যেশে বলেছিলেন আমি সকল বাধা-বিপত্তির অতিক্রম করে ফিরে এসেছি আপনাদের মাঝে,আপনাদের অধিকার আদায়ের সংগ্রামে আপনাদের সাথে অংশ নেওয়ার জন্য। আমি বঙ্গবন্দুর কন্যা আপনাদের মেয়ে,আপনাদের বোন, আমি বেঁছে থাকতে বঙ্গবন্ধুর আর্দশ মুক্তিযোদ্ধের চেতনাকে ধ্বংস হতে দিবো না।বাবার ও পরিবারের মত নিজের জীবন দিয়ে হলে ও এদেশের গণতন্ত্র উদ্ধারের জন্য কাজ করে যাবো। অসহায় নিপিড়িত নিষ্পেষিত গরীব দুঃখি মেহনতি মানুষের পাশে থাকবো। আমি আজীবন আমার পিতার মতো শোষিত নির্যাতিত জনগনের পাশে থাকবো,তাদের মুখে হাসি ফুটাবো। সে দিন মা বাবা ভাই ও স্বজন হারানোর শোককে শক্তি যুগিয়েছিলো। তিনি বলেন,রাজনীতি পরিবারে জম্না রাজনীতি করবো কিন্তু পরিবারের সবাইকে হারিয়ে রাজনীতি করবো তা কোন দিন চিন্তা করিনি। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিলো সবুজ শ্যামল একটি স্বাধীন সোনার বাংলা প্রতিষ্টা করা,বাংলার মানুষ স্বাধীনতা পাবে, স্বাধীন ভূখন্ড পাবে স্বাধীন পতাকা পাবে,উন্নত জীবনের অধিকারী হবে, অন্ন,বস্ত্র,বাসস্হান, শিক্ষা চিকিৎসা ও কর্মসংস্থানের সুযোগ পাবে। নিজের জীবনের উপর অসংখ্য ঝুকি নিয়ে তিনি পিতার আর্দশকে ধারণ করে লক্ষ্য অর্জনের জন্য দেশে প্রত্যাবর্তন করেন। দেশে ফেরার আগেই তিনি বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের কাউন্সিল সভায় সর্ব সম্নতভাবে দলের সভাপতি নির্বাচিত হন। আওয়ামীলীগ ও মুক্তিযোদ্ধের চেতনা ও দেশের গণতান্ত্রিক রাজনীতির ঘোর দূদিনে অপ্রত্যাশিত ভাবে দূজয় সাহসের সাথে দলের হাল ধরেন। সংগটনের ঐক্য ও অস্তিত্ব রক্ষার জন্য অনেক ত্যাগের বিনিময়ে দলকে সুসংগঠিত করে তোলেন। এক দিকে দলের বিভক্ত অন্যদিকে তখন ও দুই বোনের কোন নিরাপওা ছিলো না। ধানমন্ডির ৩২ নং বাড়িটি ও তাদের দখলে ছিলো না। তখনও সেনাশাসক বাংলার মীরজাফর জিয়া ক্ষমতায় ছিলেন। মাথার ওপর ঘাতকের ষড়যন্ত্র ও গুলি উদ্যত,দুই বোনকে হত্যা করতে পারলেই বঙ্গবন্ধুর বংশ নিপাত করা যাবে। সে দিনের সে আশা ঘাতকরা সফল হয় নাই। বরঞ্চ পিতার মতো অসিম সাহস নিয়ে রাজনীতি ও জনগনের মাঝে নিজের সৎ সাহস দক্ষতা, দৃঢ় অবস্হান নিয়ে জনগনের মাঝে জনশক্তি নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন। তিনি মনে করেন এই যুদ্ধ শেষ হয় নাই, শেষ করতে আরো অনেক পথ পাড়ি দিতে হবে। চারিদিকে বহ শত্রু। এ পর্যন্ত অনেক বার হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। একটার চেয়ে একটা ভয়াবহ, সবচেয়ে ভয়াবহ হামলা হলো ২০০৪ সালে ২১ আগষ্ট গ্রেনেড হামলা। মহান আল্লাহ তার রহমতের হাত দিয়ে জননেএী শেখ হাসিনাকে অলৌকিক ভাবে রক্ষা করলে ও আমাদের প্রান প্রিয় নেএী বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামীলীগের সভানেত্রী আইভি রহমান সহ অনেকে প্রাণ হারায়,অনেকে এখনো পঙ্গুত্ব বরণ করে মানবতার জীবন যাপন করছে। এতো জেল জুলুম হামলা মামলা নির্যাতনের পর ও বাংলার জনগণ ও দুঃখি মানুষের সুখে দুখে পাশে থেকেছেন। ফেলে যায়নি জামাত,বিএনপি দেশ বিদেশের নানা চক্রের কাছে। বলতে গেলে এখনো যুদ্ধের মাঠে একাই যুদ্ধ করে যাচেছন।দেশের গণতন্ত্র রক্ষা,হিংস্র জঙ্গিবাদ, মৌলবাদ প্রট্রোল বোমা, সাম্পাদায়িকতার অভিশাপ থেকে দেশকে রক্ষা তার দুরদৃষ্টি সম্পান্ন মেধাকে কাজে লাগিয়ে দিন রাত পরিশ্রম করে দেশকে আত্মনির্ভরশীল করেছেন। দেশকে জঙ্গিমুক্ত, সুশাসন,স্বচ্ছতা জবাবদিহিতা,নারীর অধিকার বাস্তবায়ন, দারি্দ্রাতার অভিসাপ থেকে দেশকে মুক্ত রাখার ব্যাপারে শেখ হাসিনার কোন বিকল্প নাই। তার সাহসী নির্ভীক পথচলা দেশের মানুষের মনে আশার সঞ্চায় করেছেন। তথ্যপ্রযুক্তি নীতিতে যুগানন্তকারী সুফল দেশের আপাময় জনগণ পেতে শুরু করেছেন। পুরোজাতি মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে অর্থনৈতিক মুক্তির নতুন সংগ্রামে আত্ননিয়োগ করার অনুপ্রেরণা দেশের মানুষ একমাএ বঙ্গবন্ধুর কন্যার কাজ থেকে পেয়েছেন। দেশীয় ওবিদেশী স্বার্থান্বেষী মহল নানা ভাবে সরকার ও নেএীর ব্যক্তিগতজীবনকে বিপন্ন করার চেষ্টা করে চলেছে। তা সত্বে ও দেশের অগণিত দুঃখি মেহনতি মানুষের ভালবাসায় তাকে দূর্বার পথচলার সাহস যুগিয়েছে। বহি বিশ্বের কাছে এদেশের সম্নান ফিরিয়ে আনার জন্য আপোষহীন নেতৃত্ব,অবিচল পথ চলা কর্মনিষ্ঠ ও একের পর এক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা ইতিহাসের সম্পদ হিসারে গন্য হয়েছেন বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনা। ৮১ পরবতি সময়ে তিনি এদেশের মানুষের ভাগ্য থেকে অভাব,দুর্ভিক্ষা,ঝড়,বন্যা, জলোচ্ছ্বাস,থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য প্রতি নিয়ত চিন্তায় মসগুল ছিলেন। যেখানে গিয়েছেন তিনি সেখানে অসহায় দারিদ্র্য মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন,মানবতার কথা বলেছেন। ১৯৮৩ সালে তিনি জোট গঠন করেন। ১৮৮৬ সালে অনুষ্ঠিত সংসদ নিবার্চনে তিন আসনে তিনি বিজয়ী হন,সংসদে বিরোধী দলীয় নেএী নিবাচিত হন। ৯০ গণআন্দোলনে ৮ দলীয় জোঠ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। এই আন্দোলনেরর ফলে এরশাদ ক্ষমতাচ্যুত হন। ১৯৯১ জাতীয় সংসদের বিরোধী দলীয় আসনে বসে প্রমান করলো বিরোধী দলে থেকে দেশের জন্য জনগনের জন্য কাজ করা যায়।তিনি গণমানুষের সমস্যার কথা চিন্তা করে রাজনীতিতে আধুনিকতা ধারা বিজ্ঞানে তার কর্মপন্হা প্রবর্তন করেন। কৃষকের সমস্যা শ্রমিকমালিকের সমস্যা, শিক্ষকের সমস্যা বয়স্ক মানুষের সমস্যা নিয়ে কাজ করতে লাগলেন। তিনি শুধু মাএ ক্ষমতার রাজনীতির মধ্যে ঘোর পাক খাননি। তিনি শিল্পগত ও সাংস্কৃতিক আন্দোলনের ও সূএ পাত করেন। বহমূখী প্রতিভার স্কুরণ দেখে দেশের সর্বস্তরের মানুষ উৎসাহিত হন। তিনি যত বাধা আসুক না কেন সাদাকে সাদা,কালোক কালো বলতে দ্বিধা বোধ করেন না। সস্ত্রাস চাঁদা বাজি ভন্ডামির রাজনীতিকে ধংস করে সততা দক্ষতা জবাবদিহির জন্য কারো সাথে আপোষ করেননি। জনগণর কল্যাণকর হিতকর কর্মসূচী নিয়ে জনকল্যাণমুখী নেএী হিসেবে সাধারণ মানুষের কাছে পোঁছে গেলেন। ১৯৯৪ সালে নির্দলীয় তও্বাবধায়ক সরকারের অধীনে সুষ্টু ও অবাধ সংসদ নির্বাচনের দাবিতে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আন্দোলন শুরু করেন, বি এন পি নেএীর এই যুক্তিগত দাবি মেনে নিয়ে ১৯৯৩ সালে ষষ্ট জাতীয় সংসদে সংবিধানে এয়োদশ সংশোধনীয় বিল পাশ করেন।১৯৯৬ সালে ১২ই জুন তও্বাবধায়ক সরকারের অধীনে বিচারপতি হাবিবুর রহমানের নেতৃত্বোধীন অনুষ্টিত জাতীয় সংসদ নিবার্চনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ একক সংখ্যাগরিষ্ঠ দল হিসেবে আবিভূত হয়। ২৩ জুন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহগ করেন, আরো কয়েকটি রাজনৈতিক দলের সমর্থন নিয়ে। ৯৬ থেকে ১০০১ সাল ছিলো বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য উন্নয়নের সময়। ১৯৯৬ পূর্ববর্তী ক্ষমতায় আসার পর পূর্বের মাঠের কাজ করার অভিজ্ঞাকে কাজে লাগিয়ে ইতিহাসের সবচাইতে দীর্ঘস্হয়ী বন্যা বিচক্ষণতার সাথে মোকাবেলা করেন। শুধু মাএ সরকারি উদ্যোগের ওপর নির্ভরশীল না থেকে পুরো জাতিকে বন্যা মোকাবিলা ক্ষেএ তৈয়ার করে ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন। তখন আশন্কা করেছিলো লক্ষ লক্ষ মানুয় না খেয়ে মারা যাবে। বাস্তবে দেখা গেল দেশের একজন মানুষ ও না খেয়ে মারা যায়নি। তিনি দারিদ্র্যপীড়িত মানুষর জন্য দারিদ্র দুরীকরণে জাতীয় কর্মসূচি তৈয়ার করল। সামাজিক নিরাপওা ও নারীর অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নকে কি ভাবে জন কল্যানের নিয়োগ করা যায়, দারিদ্র্য,বিধবা ও দুঃস্হ নারীদের ভাতা বয়স্ক ভাতা,মাতৃ কালীন ভাতা আশ্রায়ন প্রকল্প, কমিউনিটি হেলথ ক্লিনিক মুক্তিযোদ্ধ ভাতা সহ অনেক যুগানন্তকারী সিদান্ত নেন। টেকসই উন্নয়নের জন্য বলিষ্ঠ পদক্ষেপ গ্রহন করেন। তিনি বন্ধুত্বপূর্ণ পরারাষ্ঠ্র নীতি ঘোষনা করেন। দেশের সম্পদের সুরক্ষায় দৃঢ়তা দেখান, গণতন্ত্রেরর প্রতি কমিটম্যান্ট,দ্রব্যমূল্য হাতের নাগালে রাখা, ৯৬ নভেন্বর উল্লেখযোগ্য সাফল্য ভারতের সাথে স্বাক্ষরিত ৩০ বছর মেয়াদী গঙ্গার পানিবন্টন চুক্তি। ৯৭ ডিসেম্বরের স্বাক্ষরিত পার্বত্য চট্টগ্রামের ঐতিহাসিক শান্তি চুক্তি। ৯৮ সালে বঙ্গবন্ধু সেতু নিমার্ন সমাপ্তি করা। প্রতিবেশী রাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশের সাথে দ্বিপাক্ষিক সম্পক উন্নায়ন করা। তও্বাবধায়ক সরকারের হাতে ক্ষমতা হন্তাস্তর পর ২০০১ ষড়যন্ত্রের নির্বাচন তা কারো অজানা নয়। সূক্ষ্ণ কারচুপির মাধ্যমে বিএনপি জামায়াত ক্ষমতায় এসে একটার পর একটা জীবনের উপর হমকি,দেশ ছেঁড়ে যাওয়ার হমকি, তথাকথিত তও্ববধায়করা কোন কারণ ছাড়ায় গেপ্তার,এতো ষড়যন্ত্রের মাঝে বাংলার দুঃখি মেহনতি মানুষ,কৃষক ছাএ ,জনতা প্রান প্রিয় নেএীর জন্য জীবন দিতে পিছপা হয়নি।অনেক আন্দোলন সংগ্রাম ঘাত প্রতিঘাতের পর তিনি সারা দেশের প্রতিটি থানায় গিয়ে মুক্তিযোদ্ধের চেতনা ও বঙ্গবন্ধুর আর্দশের কথা জনগনের সামনে তুলে ধরলেন,ধীরে ধীরে সকলের ভুল ভাঙ্গে এবং জনগনের সামনে প্রমানিত হয়,শেখ হাসিনা ক্ষুদ্রজ্ঞান বা কোন সাধারণ মহিলা নয়,তিনি পরিক্ষিত সমযোপযোগী পরিক্ষায় উওীর্ন সাহসী যোদ্ধা,সাহসী নেএী, তার ক্লান্তি হীন পথচল দৃঢ় মনোবলে তিনি পৌছে যায় গণমানুষের অন্তরে,দেরশের সর্বস্তরের মানুষের বিশ্বাস এই মহান নেএীর উপর আস্হা রাখা য়ায়,বিশ্বাস রাখা য়ায়।দেশের গণতন্ত্র পূনরুদ্ধারের মুক্তিযোদ্ধার চেতনা দলের নেতা কর্মীদের কারাগার থেকে মুক্তির আন্দোলন শুরু করেন। এবং সমমনাদের নিয়ে জোট গঠন করে গণতান্ত্রিক আন্দোলনেরর সূএপাত ও গণমুখী রাজনীতির বলিষ্ঠ নেতৃত্বের সূচনা শুরু করেন। গণতন্ত্রেরর মানস কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ সুখি সমৃদ্ধির পথে শান্তির পথে উন্নায়নের দিকে এগিয়ে যাচেছ। বাংলাদেশ সমুদ্র বিজয় সন্ভবনার নতুন দিগন্ত সুচিত হলো,ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনে নেয়া পদক্ষেপ জেলা থেকে ইউনিয়ন, ইউনিয়ন থেকে গ্রাম পর্যায়ে সুফল ভোগ করছেন জনগণ। দরিদ্র জনগোষ্ঠী প্রতি সহানুভূতি এবং দুঃখি মানুষের পাশে দাঁড়ানো আর সহযোগীতা করার মন মানসিকতার সুন্দর ও পরিছন্ন। তিনি বাংলাদেশের আশা ভরসার প্রতীক,গণতন্ত্রেরর আর্দশে তিনি অবিচল, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশকে পরিচালিত করার জন্য দৃঢ়পন। সততা ও সাহসীকতার সঙ্গে গণমানুষর পাশে আছেন।দেশে জরুরি অবস্হার সময় তিনি চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে গিয়েছিলেন,হঠৎ বিশেষ বার্তা তথাকথিত তও্বাবধায়ক সরকাকের তরফ থেকে তাকে দেশে ফিরতে দেওয়া হবে না,বাংলাদেশগামী কোন বিমানে তাকে তোলা না হয়। সামরিক গোয়ান্দা সংস্থা থেকে অশালীন ভাষায় হমকি দেওয়া হয় কিন্তু বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনা এজন্য বিচলিত ও হয়নি শঙ্কিত ও হয়নি দূজয় সাহস নিয়ে পরিস্হিতি মোকাবেলা করেন। এ পরিস্হিতিতে ও তিনি গণতন্ত্রের পথে দেশকে পরিচালিত করার জন্য জনমত গড়ে তোলেন,জেল হমকি কোন কিছুই বাধা বাধা মানেনি,নেএীর মহৎ গুন হলো তিনি দেশের সব মানুষকে তার আত্নীয় মনে করেন। সাধারণ মানুষরা সহজে তার সাথে দেখা করে সুখ দুঃখের কথা বলতে পারেন,সাহস ও ভরসা পায়। ২০০৪ সালে ২১ আগষ্ট ভয়ন্কর গ্রেনেড হামলার পর ও তিনি বিচলিত হয়নি সাহসের সাথে সব নেতা কর্মীদের খবরা খবর ও যোগাযোগ বজায় রেখেছেন। ২০০৭ সালে ১৫ জুলাই নেএীকে গ্রেফতার করা হলে ও তার জ্ঞান, মেধা মনেন ও রাজনৈতিক বিচক্ষণতার কারণে তাকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়। জীবনে তিনি অনেক যন্ত্রণা ভোগ করেছেন,শোকে দুঃখে জর্জরিত হয়েছেন বঙ্গবন্ধুর মত তিনি সব সময় শোষিত জনগণের পক্ষে কথা বলেছেন বলিষ্ঠ কন্ঠে। আজ বাংলাদেশ বিশ্বের কাছে উন্নানের রোল মডেল। পুরুষের পাশা পাশি আজ কর্ম ক্ষেত্রে নারীরা ও সমান তালে মেধা আর যোগ্যতার সাথে এগিয়ে যাচ্ছে।এ সব কিছু শেখ হাসিনার অবদান। আজকে প্রতিটি কর্মক্ষেত্রে নারীর অসাধারণ ভুমিকা রয়েছে। দেশের উন্নায়নের জন্য শেখ হাসিনা দেশে ও বিদেশে অনেক পুরস্কার ও সম্নাননা পেয়েছেন। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ও অনেক পুরস্কৃত হয়েছেন। নারীর ক্ষমতায়নের অসামান্য অবদানের জন্য ২০১৬ সালে গ্লোবাল ফোরাম ফর ডেভেলপমেন্ট এবং ইউনাইটেড ন্যাশনাল এর পক্ষ থেকে প্লানেট ৫০-৫০ চ্যাম্পিয়ন এবং এজেন্ট অব চ্যাঞ্জ পদকে ভূষিত করা হয়। ২০১৫ সালে তিনি পরিবেশ বিষয়ে সর্ব্বোচ্চ পুরস্কার চ্যাম্পিয়ন অব দ্য আর্থ লাভ করেন। ২০১৪ সালে তিনি নারী শিক্ষা উন্নয়নে অসামান্য অবদানের জন্য ইউনেস্কো কৃতৃক ট্রি আব দ্য পিস পুরস্কার লাভ করেন। ২০১৩ সালে দারিদ্র বিমোচনের জন্য জননেত্রী শেখ হাসিনাকে “সাউথ সাউথ ” কো- অপারেশন ভিশনারী অ্যাওয়াড দেয়া হয়। ২০১০ সালে তিনি বিশ্বখ্যাত ইন্দিরা গান্ধী শান্তি পদক ২০০৯ ভূষিত হন। এ সব পুরস্কার ও সম্নাননা তিনি এমনে এমনে লাভ করেন নি। দেশের উন্নয়নের তার অক্লান্ত পরিশ্রমে ও মেধায় দেশকে এতদ্রুত অগ্রগতির জন্য পেয়েছেন। ১৫ দিনে ৪টি দেশ সফরের মাধ্যমে বিশ্বনেতা হিসাবে তিনি নিজেকে আরো বড় উচ্চতায় নিয়ে যাচ্ছেন শেখ হাসিনা।১৫ এপ্রিল ২০১৮ প্রধানমন্ত্রী ৪টি দেশে অংশ নিয়েছেন এবং তিনটি গুরুত্বপূর্ণ আন্তজাতিক অনুষ্টানে গিয়েছেন। আর এ তিনটিতে তিনিই হচ্ছেন আর্কষনের কেন্দ্রবিন্দু। ২০২৩ সালে নতুন উপাধি পেলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাঁকে ‘এশিয়ার লৌহমানবী’ বা ‘আয়রন লেডি’ হিসাবে অভিহিত করল ‘দ্য ইকোনমিস্ট। বাংলাদেশে এখনও পর্যন্ত চারবার প্রধানমন্ত্রী হিসাবে শপথ নিয়েছেন শেখ হাসিনা । বাংলাদেশকে ক্ষুধামুক্ত এবং দারিদ্রমুক্ত করার লক্ষ্য নিয়েছেন শেখ হাসিনা। তাঁর প্রধানমন্ত্রিত্ব কালে বাংলাদেশের গড় জিডিপি ছিল সাড়ে ৭ শতাংশ। বর্তমান বিশ্বের অর্থনীতি এবং সামগ্রিক পরিস্থিতি বিবেচনায় এটাকেই ‘অভাবনীয়’ বলে উল্লেখ করেছে দ্য ইকোনমিস্ট। ২০২৩ সালে ১৯ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার, জাতিসংঘে প্রথমবারের মতো কমিউনিটি ভিত্তিক স্বাস্থ্য পরিষেবা বিষয়ক একটি রেজুলেশন সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়েছে। সেখানে প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরিষেবা প্রতিষ্ঠায় শেখ হাসিনার চালু করা ‘কমিউনিটি ক্লিনিক’কে বৈশ্বিক স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। এই স্বীকৃতি বাংলাদেশের সবার জন্য গর্বের বিষয়। ব্রাউন ইউনিভার্সিটি বিশেষ সম্মাননায় ভূষিত করেছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে। জনগণের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিতে কমিউনিটি ক্লিনিক মডেল তৈরির জন্য জাতিসংঘ স্বীকৃতির পরিপ্রেক্ষিতে তাকে এই বিশেষ সম্মাননায় ভূষিত করা হয়। ব্রাউন ইউনিভার্সিটির স্বাস্থ্যবিষয়ক সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ও ওয়ারেন অ্যালপার্ট মেডিকেল স্কুল অব ব্রাউন ইউনিভার্সিটির মেডিসিন অ্যান্ড বায়োলজিক্যাল সায়েন্সের ডিন ডা. মুকেশ কে জৈন দ্য লোটে নিউইয়র্ক হোটেলে গিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে প্রশংসাপত্র হস্তান্তর করেন। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এখন শুধু বাংলাদেশের নেতা নয়, তিনি বিশ্বের অন্যতম প্রভাবশালী নেতা। এ সম্নাননাগুলো তারই স্বীকৃতি।At last want to say with the voice of Irina, BOKOVA of Unesco Director General that Sheikh Hasina is a strong voice on the globe in women empowerement, it is her able leadership that made Bangladesh a champion in the field.

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট