1. info@www.dainikdeshbarta.com : bissho sangbad Online : bissho sangbad Online
  2. info@www.dainikdeshbarta.com : Dainik Desh Barta :
সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:৫৪ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
চাঁপাইনবাবগঞ্জে নদীতে গোসলে নেমে দুই শিশুর মৃত্যু। কবিতার ছন্দে অনুষ্ঠিত হলো প্রত্যয়ের “অন্তর মম বিকশিত করো” পর্ব ৪ তীব্র তাপদাহে পটিয়ার জনসাধারণের মাঝে বিনামূল্যে শরবত বিতরণ সার্ক মানবাধিকার ফাউন্ডেশন চট্টগ্রাম বিভাগের উদ্যোগে তীব্র তাপদাহে অসুস্থ হয়ে পড়া সুবিধাবঞ্চিত নারী ও শিশুদের ফ্রি চিকিৎসা ক্যাম্প অনুষ্ঠিত চন্দনাইশে আবু হেনা ফারুকীকে নির্বাচনে দাঁড়াতে অনুমতি দিয়েছে এলাকাবাসী বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক সরদার সাহাদাত আলীকে চট্টগ্রাম- দোহাজারী – কক্সবাজার রেলওয়ে যাত্রী কল্যাণ পরিষদের স্মারকলিপি প্রদান। চন্দনাইশে আ’লীগ নেতা জাহেদ হোসেনের পক্ষ থেকে শরবত ও ছাতা বিতরণ চেয়ারম্যান-খন্দকার আছিফুর রহমান, মহাসচিব মো: ছগীর আহমেদ বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক সোসাইটি’র কেন্দ্রীয় কমিটি ঘোষণা শিবগঞ্জে বৃষ্টির জন্য একাধিক স্থানে ইস্তিসকার নামাজে কাঁদলেন মুসল্লিরা। চকরিয়ার ডুলাহাজারায় আম পাড়তে গিয়ে শশুর বাড়ির ছাদ থেকে পড়ে গৃহবধূর মৃত্যু

বর্তমান রাজনীতিতে নারী ও ক্ষমতায়ন -শাহিদা আকতার জাহান

  • প্রকাশিত: শুক্রবার, ৮ মার্চ, ২০২৪
  • ৮০ বার পড়া হয়েছে

উপ-সম্পাদকীয়ঃ

মানব সমাজের শুরু থেকে নারীরা অনেক হীন অবস্হায় রয়েছিল। সমাজ সভ্যতার অগ্রগতির সঙ্গে সঙ্গে নারীর স্বাধীনতা, নারী ক্ষমতায়ন, নারীর সামাজিক মুক্তি ও অধিকারের প্রশ্নটি সামনে চলে আসে। ঊনিশ কিংবা বিশ শতক থেকে ” রাজনীতিতে নারী, ক্ষমতায়নে নারী” বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু হিসেবে উঠে আসে। ৬০এর দশকে নারী মুক্তির আন্দোলনের প্রভাব। এর পূর্বে রাজনীতি, সমাজনীতি, অর্থনীতিতে কোন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে নারীকে গুরুত্ব দেওয়া হতো না। ৭০ দশকে এই ইস্যুটি বিশেষ তাৎপর্য নিয়ে আবির্ভুত হয়।
দেশের একটি বিরাট অংশ,ওরা যদি শিক্ষাদীক্ষা থেকে বঞ্চিত থাকে, যুক্তিহীন ভাবে বেড়ে উঠে তাহলে গোটা দেশকে ধ্বংশের দিকে নিয়ে যাবে তাই নারীর ক্ষমাতায়নকে বিশ্বের সমস্ত নীতিনির্ধারকেরা গুরুত্বসহকারে নিয়েছেন। পুরুষের মতো নারীরও মেধা ও কর্মদক্ষতা রয়েছে, যা সঠিকভাবে ব্যবহার করা সম্ভব। আর ক্ষমতায়ন হচ্ছে মানুষের যে অধিকার অর্জিত হওয়া যায়,যার দ্বারা নিজের জীবনের পাশাপাশি সামাজিক -পারিপার্শ্বিক ইতিবাচক পরিবর্তন আনা সম্ভব। আবার শুধু ক্ষমতা থাকলে হবে না, ক্ষমতার কঠোর প্রয়োগও থাকতে হবে। বর্তমানে নারীরা সিদ্ধান্ত নেওয়া ও দেওয়ার ক্ষমতা বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। সম্পদ অর্জনের ক্ষমতা, আত্মোপলদ্ধি থেকে ও পিছিয়ে নেই। অনেক নারী দাপটের সাথে ব্যবসা বানিজ্য, চাকরি ও দে-শ গুরুত্বপূর্ণ পদে থেকে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। তার পর ও অনেক নারীদের ক্ষমতাহীনতার গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো অর্থনৈতিক ভাবে পুরুষের উপর নির্ভরশীলতা ও দরিদ্র্যতা নারী ক্ষমতাহীনতার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কারণ।বাংলাদেশে বেশিরভাগ নারী দারিদ্র্যের শিকার নেতিবাচক সামাজিকীকরণ আর নারীর প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণের প্রথম যাত্রা শুরু হয় পরিবারের আপন জন দ্বারা।
নারীর রাজনীতি ও নির্বাচনে অংশগ্রহণ” একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। নারীদেরকে প্রদও মেধা দিয়েই মহান আল্লাহ সৃষ্টি করেছেন। তাই নারীকে যথাযোগ্য শিক্ষার মাধ্যমে যোগ্য করে তুলতে পারলে সঠিকভাবে যুক্তি শেখাতে পারলে সে যুক্তি দিয়ে নারী পুরুষের অন্তরাল থেকে বের হয়ে আসতে পারবে। নারীর সচেতনতা ও নারীর গুণাবলীগুলি অর্জন করতে হবে।যুক্তি সহকারে অধিকার আদায় করার মানসিকতা নিয়ে।
প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার চট্টগ্রামের মেয়ে ব্রিটিশবিরোধী রাজনৈতিক আন্দোলনে যোগ দিয়েছিলেন, এবং দেশের স্বাধীনতার জন্য অবলীলায় মৃত্যুকে বরণ করে নিয়েছিলেন। প্রীতিলতা প্রাণ দিয়ে প্রমাণ করেছিলেন, প্রয়োজনে নারীরা দেশের জন্য যৌক্তিক দাবি আদায়ের জন্য সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করতে পারেন। ৭১-র মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় নারীরা পুরুষের মতই যুদ্ধসংশ্লিষ্ট সকল সেক্টরে কর্মরত ছিলেন। সশস্ত্র যুদ্ধ থেকে শুরু করে কুটনৈতিক দায়িত্ব পালন সহ সব ধরণের ভূমিকা ইতিহাসে ঐতিহাসিক মাইলফলক হয়ে আছে,থাকবে। জাতি শ্রদ্ধা ভরে তাদেরকে চিরদিন স্মরণ করবে।
যুগের পরিবর্তনে জননেত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে বর্তমানে বাংলাদেশে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলে নারীর অংশগ্রহণ আগের অনেক তুলনায় দৃশ্যমান।
বর্তমানে মন্ত্রী সভায় অনেক গুরুত্বপূর্ণ পদেও আছেন নারীরা। দেশে তৃতীয় বারের মতো স্পীকার নারী।সংসদ উপনেতা নারী,জাতীয় সংসদের হুইপ পদে ও ছিলেন নারী।
বর্তমান কমিটিতে এখন ২০ জন নারী আছে । ফলে নারী নেতৃত্বের হার হয়েছে ২৫ দশমিক ৬৪ শতাংশ। আগের কমিটিতে এই হার ছিলো ২৩ দশমিক ৪৫ শতাংশ। কেন্দ্রীয় সভাপতিমণ্ডলির ১৭টি পদের মধ্যে তিনজন নারী। এছাড়া সম্পাদক মণ্ডলিতে ৮ জন নারী রয়েছে।
কার্যনির্বাহী কমিটিতে কমিটির নারী সদস্য রয়েছে নয় জন। কেন্দ্রীয় কমিটিতে নারীর অংশগ্রহণ আশানুরূপ হলে ও তৃণমূল পর্যায়ে নারীর অংশ গ্রহণ একেবারে হতাশাজনক। অনেক জেলা কমিটিতে একজন,কিংবা দুইজন। আর উপজেলা কমিটিতে মহিলা বিষয়ক সম্পাদক এটা নির্ধারিত।
এবং সংসদীয় স্হায়ী কমিটির সভাপতি,সদস্য ও নারী রয়েছে। তারা সততার সাথে,যোগ্যতা,দক্ষতা জবাবদিহিতার সাথে নারী নেতৃত্বের বলিষ্ঠ ভূমিকা রেখে যাচ্ছেন নারী প্রতিনিনিধিরা।
সচিব নারী অতিরিক্ত সচিব পদে,রাষ্টদূত পদে,জেলা প্রশাসক পদে সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিমানবাহিনী, পুলিশবাহিনী সুপ্রীম কোর্টের আপিল বিভাগে নারী, হাইকোট বিভাগে বিচারপতি পদে নারী, ইউ এন ও নারী, বাংলাদেশ ব্যাংক এর ডেপুটি গভর্ণর পদে নারী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি- প্রো- ভিসি ভিসি পদে নারী, বিভিন্ন থানায় ওসি পদে, দেশের আরো বিভিন্ন গুরুত্ব পূর্ণ পদে নারীরা দক্ষতা ওসাহসীকতার সাথে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন জননেত্রী শেখ হাসিনার চৌকস নেতৃত্বে ।
হাজার বছরের কুসংস্কার ও গৃহবন্দী দশা থেকে নারীদের বেরিয়ে আসতে হলে বা সমানতালে এগিয়ে যেতে হলে প্রয়োজন নারীর ক্ষমতায়ন। বাস্তবতা হচেছ রাজনৈতিক জীবনে অংশীদার হওয়ার ব্যাপারে নারীর জন্যে আইনগত প্রতিবন্ধকতা গুলো অনেক কমে গেলেও সামাজিক,পারিবারিক রাজনীতি, নিয়মাচার পরিণত হয়েছে। এখনও সকাল যোগ্যতা থাকার পরও সাধারণ পরিবারের, তৃণমূলে নারীরা তাদের যোগ্য অধিকার থেকে বঞ্চিত। তৃণমূলের নারীরা এগিয়ে যাওয়া মানে দেশ এগিয়ে যাওয়া। বাংলাদেশের রাজনীতিতে নারীর ক্ষমতায়ন অনেক দৃশ্যমান থাকলেও প্রকৃত অর্থে প্রচলিত রাজনীতিতে এই দৃশ্যমানতা বড় কোনো গভীর বা ব্যাপক পরিবর্তন তৈরি করতে পারেনি এখনও। এই জন্য যারা মূল দলের নেতৃত্বে আছেন,নীতিনির্ধারকেরা আছেন তাদের দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন করে যোগ্যতার পরিচয়ে পরিবারতন্ত্রের বাইরে এসে সাধারণ পরিবার থেকে এসে যারা দলের দুঃসময়ে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন তাদের মূল্যায়ণ করতে হবে। তা না হলে দল দুঃসময়ে কর্মী শূন্যতায় পড়বে। দল চতুর্থ বার ক্ষমতায় থাকলেও তৃণমূল নারীদের যথাযথ মূল্যায় হয়নি। তাদের ভিতরে চাপা কান্না। তৃণমূলের নারীরাই হলো দলের দুঃসময়ে মূল শক্তি। ভোটের মাঠে তারা নিবেদিন ভাবে দলের জন্য কাজ করেন, আন্দোলন সংগ্রামের সময় রাজপথে থাকেন। দলে ক্ষমতায় আসলে তাদেরকে মূল্যায়ন করা হয় না। বার-বার উত্তরসূরিদের মূল্যায়ন করা হয়। যা দলের জন্য কোন মতেই কাম্য নয়। সাধারণ পরিবার থেকে আসা নারীদের মন-মানসিকতা পরিবর্তন দেখা দিচ্ছে। তারা নিজেদের পরিচয়ে রাজনীতি করে তাদের মূল্যায়ন চান, তবে দূভাগ্য আজও তেমন মূল্যায়ন হল না। দলের কমিটি ও সব নিবার্চন মনোনয়ন,চেয়ারম্যান, উপজেলা চেয়ারম্যান, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, মেয়র সংরক্ষিত মহিলা আসন সব কিছু বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, তৃণমূল পর্যায়ে নারীদের তেমন মূল্যায়ন হয় নাই। সাধারণ নারীদের মধ্যে থেকে নতুন নেতৃত্ব তৈরি করতে হবে। কারণ ভোটের মাঠে তারা অলিতে- গলিতে কাজ করে। তারা মাঠ তৈরি করে, তাঁরাই মঞ্চ তৈরি করে মাঠ পরিপূর্ণ করে,তারাই দলের গুরুত্বপূর্ণ, তারাই মূল শক্তি,তাদের বাদ দিয়ে রাজপথ শূন্য হয়ে যাবে।
সাধারণভাবে দেখা যায় তৃণমূল থেকে রাজনীতিতে অংশ গ্রহণ করে তাদের অভিজ্ঞতা অর্জন বা নেতৃত্বের বিকাশে সুযোগ পেলে সে সব নারীই সফল হতে পারেন। তারা হয় প্রচণ্ড আত্মবিশ্বাসী,সাহসী সৎ,দক্ষ এবং নিজ জীবনের উপর নিয়ন্ত্রণের অধিকার রাখে। একই সাথে পরিবারের কাছ থেকে যারা সার্বিক সহযোগিতা পান, শৈশব ও কৈশোরে তৃণমূল রাজনৈতিক বিভিন্ন অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে যারা বড় হয়ে উঠেন, যাদের শিক্ষাগত প্রশিক্ষণ থাকে এবং পাশাপাশি থাকে নিষ্ঠা ও রাজনৈতিক দূরদর্শিতা তারাই রাজনৈতিক ভাবে দৃঢ় মনোভাবের অধিকারিনী হন এবং কৌশলী ও প্রজ্ঞাবান হিসাবে খ্যাতি পালে এক সময় তারা মাঠের একনিষ্ঠ দক্ষ কর্মী হয়ে ওঠে। দলের সু:সময়ে মূল্যায়িত না হাওয়ায় কারণে,দুঃখ,কষ্টে অভিমান এক সময় হারিয়ে যায় না পাওয়ার অনেক বেদনা নিয়ে।
আবার দেখা যায় অনেক গুণাবলীসম্পন্ন হওয়ার পরও শুধু মাত্র রাজনৈতিক পরিবারের সদস্য না হাওয়ায়,কালো টাকার মালিক না হওয়ায় অনেক নারী-ই সুযোগ ও নায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়।
নিরাপওাহীনতা ও আর্থিক কারণেই বাংলাদেশের নারীরা রাজনীতি,ক্ষমতায়ন ও নির্বাচনে অংশ গ্রহণে যথেষ্ট ভূমিকা রাখতে পারে না। আর ভূমিকা রাখতে না পারার কারণে রাজনীতিতে নারীর নিজস্ব পরিচয় গড়ে উঠে না,নেতারা উঠতে দেয় না। নারীকে দেখানো হয়,
বিশেষ করে বাবার পরিচয়ে, কারো স্ত্রী, কারো বোন, কারো মেয়ে এসব পরিচয়ে ফলে সাধারণ নারীরা যুগের পর যুগ দলের দুঃসময়ে নিবেদিত ভাবে যুক্ত থাকলে ও তাদের ভালো কোন পদে যেতে পারে না। তাদের ভিতরে রাজনৈতিক মেধা, প্রজ্ঞা, সততা ও যোগ্যতা থাকলেও প্রচলিত রাজনীতির স্রোতে সে সব মেধা হারিয়ে যায়। তারা আর নিজস্ব পরিচয়ে উঠে আসতে পারে না। আমাদের দেশে রাজনীতিতে দলের ভেতরেই নারীর অবদান সঠিক ভাবে মূল্যায়িত হয় না অনেক দিন মাঠে আন্দোলন সংগ্রাম’, রাজনীতি করার পর ও নেতা নেত্রী নির্বাচনের ক্ষেত্রে নেতার মেয়েদেরকে বা সহর্ধমনীকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়। মাঠে থাকা পরিক্ষিত কর্মীরা উপেক্ষিত হয় ফলে সাধারণ পরিবারের সন্তানরা রাজনীতিতে অসহায় হয়ে আগ্রহ হারিয়ে ফেলে। এমন বাস্তবতা দেখা যায় নির্বাচনের সময় মনোনয়ন নিয়েও। প্রভারশালী প্রার্থীর কারনে,নেতার মেয়ে কিংবা মন্ত্রীর মেয়ে হওয়ায় দলের নিবেদিত প্রাণ কর্মী বা নেত্রীরা মনোনয়ন পায় না।
আবার এমন ও দেখা যায় নারী হওয়ার কারণে ব্যক্তিজীবনে, স্কুলে ও সমাজে প্রথম শুরু থেকে নারীদের মধ্যে রাজনৈতিক সচেতনতা, রাজনৈতিক বোধ, রাজনৈতিক জ্ঞান, রাজনৈতিক এ্যামবিশন গড়ে উঠেলে ও এসব কারণে তারা ও আস্তে আস্তে হারিয়ে যায়। তাই নারীদেরকে এসব বিষয়ে আরো এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে,তাদের ভিতরে যে আস্থা বিশ্বাস হারিয়ে যাচ্ছে তা ফিরিয়ে আনতে হবে। নারীর যোগ্যতা দক্ষতা, মেধাকে সঠিকভাবে উপস্হাপন করা হয় না। তারা সব সময় নারীর নেগেটিভ দিকগুলো উপস্হাপন করা হয়। পুরুষের অনেক নেগেটিভ দিক থাকলে ও তা উপস্থাপন করা হয় না। নারীরা অনেক রকমে আলোচিত ও সমালোচিত হয়। যা একজন পুরুষ রাজনীতিবিদকে এই ধরনের কোনো প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয় না। পেশাগত দক্ষতা নিজের দক্ষতার চাইতে নারীদের পারিবারিক বিষয়কে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়।
নারীদের দক্ষতার চাইতে শারীরিকভাবে বেশি বর্ণনা দেওয়া হয়। নারী ক্ষমতা এবং রাজনীতি আরো পরিপূর্ণভাবে প্রতিষ্ঠিত করতে হলে ন্যায়বিচার ভিওিক সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে হবে। নারী পুরুষের সমতাভিওিক সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে হবে। আজ সমাজ অনেক পরিবর্তন হয়েছে।রাজনীতিরও অনেক পরিবর্তন ঘটছে। অদৃশ্য নারী এখন দৃশ্যমান। সেই দৃশ্যমানতাকে সমাজের কাছে,রাষ্ট্রের কাছে বিশ্বের কাছে তুলে ধরার দায়িত্ব আপনার আমার সবার। জয় হোক নারীর সুন্দর পদচারণায়, নারী থাকুক সবার কাছে সুরক্ষিত।
.বাংলাদেশ ক্ষুধামুক্ত, দারিদ্র্য মুক্ত ও সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যাচ্ছে। নারীরা এ সব পদে এসে ধীরে ধীরে শব্দগুলোর অর্থই পাল্টে দিচ্ছেন।বর্তমানে বাংলাদেশের উন্নয়নের কথা বললেই একজন মামতাময়ী নারীর ছবি আমাদের চোখে ভেসে উঠে আর তা হলো বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা বিশ্বের নন্দিত নেত্রী,মানবতার মা,নারী ক্ষমতায়নের বলিষ্ঠ কন্ঠস্বর জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রতিচ্ছবি।

লেখকঃ প্রাবন্ধিক

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট