1. info@www.dainikdeshbarta.com : bissho sangbad Online : bissho sangbad Online
  2. info@www.dainikdeshbarta.com : Dainik Desh Barta :
সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১০:৩৯ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
চাঁপাইনবাবগঞ্জে নদীতে গোসলে নেমে দুই শিশুর মৃত্যু। কবিতার ছন্দে অনুষ্ঠিত হলো প্রত্যয়ের “অন্তর মম বিকশিত করো” পর্ব ৪ তীব্র তাপদাহে পটিয়ার জনসাধারণের মাঝে বিনামূল্যে শরবত বিতরণ সার্ক মানবাধিকার ফাউন্ডেশন চট্টগ্রাম বিভাগের উদ্যোগে তীব্র তাপদাহে অসুস্থ হয়ে পড়া সুবিধাবঞ্চিত নারী ও শিশুদের ফ্রি চিকিৎসা ক্যাম্প অনুষ্ঠিত চন্দনাইশে আবু হেনা ফারুকীকে নির্বাচনে দাঁড়াতে অনুমতি দিয়েছে এলাকাবাসী বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক সরদার সাহাদাত আলীকে চট্টগ্রাম- দোহাজারী – কক্সবাজার রেলওয়ে যাত্রী কল্যাণ পরিষদের স্মারকলিপি প্রদান। চন্দনাইশে আ’লীগ নেতা জাহেদ হোসেনের পক্ষ থেকে শরবত ও ছাতা বিতরণ চেয়ারম্যান-খন্দকার আছিফুর রহমান, মহাসচিব মো: ছগীর আহমেদ বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক সোসাইটি’র কেন্দ্রীয় কমিটি ঘোষণা শিবগঞ্জে বৃষ্টির জন্য একাধিক স্থানে ইস্তিসকার নামাজে কাঁদলেন মুসল্লিরা। চকরিয়ার ডুলাহাজারায় আম পাড়তে গিয়ে শশুর বাড়ির ছাদ থেকে পড়ে গৃহবধূর মৃত্যু

ডঃ মোসাম্মৎ নাজনীন সুলতানা’র একগুচ্ছ কবিতা

  • প্রকাশিত: সোমবার, ১৮ মার্চ, ২০২৪
  • ৯১ বার পড়া হয়েছে

✍️ আমরা আর তোমরা!
ডঃ মোসাম্মৎ নাজনীন সুলতানা

আজো কেন এই বিভেদ?
সাংবিধানিক সমাজতন্ত্র কোথায়?
সাম্য কোথায়?
আশির দশক, নব্বই-এর দশকে জন্ম নেয়া তরুণ প্রজন্ম
কেন আজো আমরা , তোমরা মাঝে বিভক্ত?
কেন সবাই বাংলাদেশী প্রজন্ম নই?
কেন আজকের তরুণেরা আজো পাকিস্তানের সুরে কথা বলবে?
কেন বাংলদেশকে আপন ভাবতে পারছে না?
অনেক ‘কেন’ জমে আছে এই বুকে?
কোথায় পাই এর জবাব?
রাসূল (সঃ) ২৩ বছরে পুরো সমাজ বদলে দিতে পেরেছিলেন।
আমরা ৫০ বছরে এখনো পারিনি একাট্টা হতে!
আরেক দিকে,
আমরা সেকুলার, তোমরা প্রো জামাতী, হিজাব পর!
সেই ফেরকা, সেই আমরা-তোমরা!
ধার্মিক যেন বাঙালী নয়! পাকিস্তানী!
এই বাংলা যেন মুসলিমের নয়! কেবলি হিন্দু, বৌদ্ধ সেকুলারদের!
এই বিভাজন সমাজের অনেক অংশে!
গরিব-ধনী তো চিরন্তন বিভেদ!, আবহমান কালের দ্বন্দ্ব!
আমরা ক্রোড়ম্যান, তোমরা মধ্যবিত্ত!
আমরা মেয়ে, তোমরা ছেলে
আমরা নারী, তোমরা পুরুষ!
আমরা রাজনীতিবিদ, তোমরা হাভাতে জনগণ!
আমরা প্রশাসন, তোমরা জনগণ।
আমরা মালিক, তোমরা অধিভুক্ত!
আমরা দাতা সংস্থা, দাতা দেশ, তোমরা হাত পেতে আছ!
আমরা প্রভু, তোমরা দাস!
আমরা পাহাড়ী, তোমরা সমতলী!
আমরা আদিবাসী, তোমরা বাঙালী!
আমরা পশ্চিমা, তোমরা এশীয়!
আমরা সাদা – লম্বা, তোমরা কালো, বেঁটে!
আমরা আর্য, তোমরা অসুর! – এই তর্ক আজকাল অনুহ্য
এককালে ছিল!
আমরা ব্রাক্ষ্মণ, তোমরা ক্ষত্রিয়, নমশূদ্র, দলিত!
আজো শুনতে হয়!
এই বিভেদ আর কত?

 

✍️ আমার প্রিয় বঙ্গবন্ধু
ডঃ মোসাম্মৎ নাজনীন সুলতানা

আজ সেই মহান দিন,
যেই দিন এই বাংলার মাটি ধন্য হয়েছিল তোমায় পেয়ে
মা-এর কোল জুড়ে এসেছিল এক ফুটফুটে চাঁদমুখ শিশু
নাম তার খোকা, মুজিব!
টুঙ্গিপাড়ার লোকেরা তখনও কি জানতো কি ইতিহাস রচিত হতে চলেছে!
এই স্বাধীন বাংলা, এই রবীগুরু সোনার বাংলার মুখে হাসি
যার হাত ধরে এসেছিল, সেই হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালী
প্রিয় বঙ্গবন্ধু! তোমায় সালাম।
এই চৈত্রের দাবদাহে তোমায় জানাই শুভেচ্ছা।
জানো, আমার ছেলে আমাকে দিয়েছে লাল গোলাপ উপহার!
এই মাসে যে আমিও এসেছিলাম এই ধরায়।
তোমাকেও লাল গোলাপ শুচেচ্ছে রইলো, আমার হৃদয় থেকে,
এই বাংলার মানুষের হৃদয় থেকে, আমার ছেলের পক্ষ হতে।
আমার পরিবারের রক্ত পানি করা মুক্তিযুদ্ধের প্রেরণা থেকে।
হে মহান, আমাদের মহিমান্বিত কর।
আজো বাংলার বুকে রক্তচোষা হায়েনা মুখিয়ে আছে রক্ত খাবে বলে।
আজকাল তারা পোড়ানো মানুষের গলিত মাংসও খেতে ভালবাসে।
আজো তুমি প্রাসঙ্গিক মুজিব, আরেকবার স্বাধীনতা এনে দাও।
যাতে বুক ফুলিয়ে মাথা উঁচু করে বলতে পারি,
এইবার দেশি নেড়ি কুত্তা, তোদের ধ্বংস হবার পালা!

 

✍️ প্রিয় তাজউদ্দীন
ডঃ মোসাম্মৎ নাজনীন সুলতানা

এই বঙ্গবন্ধু এরেস্ট হয় হয় বলে,
তুমি তাজ সবসময়ই ছায়াসঙ্গী, প্রক্সিদাতা।
মুজিব জেলে তো কি হয়েছে! তুমি কান্ডারী মহান!
এই জাতির অবশ্যম্ভাবী কান্ডারী।
তুমি ছাড়া মুজিব অপূর্ণ!
জাতির ক্রান্তিলগ্নে তুমি যদি ভয় পেয়ে পালিয়ে যেতে,
এই বাংলার মানুষ স্বাধীন হতে পারতো কিনা সন্দেহ!
মুজিব নেই, তুমি নেই, কী ভীষণ হতো ব্যাপারটা!
আজো তুমি বাঙালী তরুণের আশ্রয়! কান্ডারী হুঁশিয়ার!
জানো, আজো বাংলার স্বাধীনতা বিপন্ন হয়
কিছু কান্ডজ্ঞানহীন মানুষের হাতে পড়ে!
প্রিয় নেতা তাজউদ্দীন, তুমি আমাদের নিশ্চল, নিরলস, দীপ্তময়
থাকবার প্রেরণা!
মাঝে মাঝে লোকে আমাকে বলে আমার নাকি ভীষণ ঠান্ডা মাথা,
খুব কম বিচলিত হই।
আমার বিশ্বাস, এটা তোমার নেতৃত্ব থেকে শেখা।
কেউ কেউ আমাকে বামপন্থি বলতেও ছাড়ে না!
আমি মনে মনে হাসি। তোমার ছায়া টের পাই নিজের মাঝে।
আমি বিদেশী বিনিয়োগে অনাগ্রহী নই, কিন্তু দেশীয় উৎপাদনে অনেক আগ্রহী!
এটা তোমারই শিক্ষা! লোকে স্বদেশী বলে গালমন্দ করে।
কে জানো? দূরের কেউ নয়! প্রতিবেশীজন!
২৫শে মার্চের কালো রাত্রিরে যখন সবার অনেক উৎকণ্ঠা,
তুমিই ইপিআর থেকে ছড়িয়েছিলে বঙ্গবন্ধুর নামে স্বাধীনতার বার্তা!
পাকিস্তানী আর্মিরা যদি ঘুণাক্ষরেও বুঝতে পারতো তুমি কি ছিলে!
তাহলে তুমি, সিরাজ শিকদার সে রাতে ঢাকা ছেড়ে সীমানা পেরোতে পারতে কিনা!
বলাই বাহুল্য!
এটা মুজিবের বিচক্ষণতা! সবাই উনাকে চিনতো, জানতো।
বিপদ সরাসরি তাঁর উপরেই গেছে, তুমি ছিলে আড়ালে আবডালে গেরিলা,
নৌকার হাল ধরা মাঝি! এই জাতিকে বয়ে নিয়ে গেছ তীরে!
এই স্বাধীনতার মাসে তোমাকে সশ্রদ্ধ সালাম!
প্রিয় তাজউদ্দীন
ডঃ মোসাম্মৎ নাজনীন সুলতানা

এই বঙ্গবন্ধু এরেস্ট হয় হয় বলে,
তুমি তাজ সবসময়ই ছায়াসঙ্গী, প্রক্সিদাতা।
মুজিব জেলে তো কি হয়েছে! তুমি কান্ডারী মহান!
এই জাতির অবশ্যম্ভাবী কান্ডারী।
তুমি ছাড়া মুজিব অপূর্ণ!
জাতির ক্রান্তিলগ্নে তুমি যদি ভয় পেয়ে পালিয়ে যেতে,
এই বাংলার মানুষ স্বাধীন হতে পারতো কিনা সন্দেহ!
মুজিব নেই, তুমি নেই, কী ভীষণ হতো ব্যাপারটা!
আজো তুমি বাঙালী তরুণের আশ্রয়! কান্ডারী হুঁশিয়ার!
জানো, আজো বাংলার স্বাধীনতা বিপন্ন হয়
কিছু কান্ডজ্ঞানহীন মানুষের হাতে পড়ে!
প্রিয় নেতা তাজউদ্দীন, তুমি আমাদের নিশ্চল, নিরলস, দীপ্তময়
থাকবার প্রেরণা!
মাঝে মাঝে লোকে আমাকে বলে আমার নাকি ভীষণ ঠান্ডা মাথা,
খুব কম বিচলিত হই।
আমার বিশ্বাস, এটা তোমার নেতৃত্ব থেকে শেখা।
কেউ কেউ আমাকে বামপন্থি বলতেও ছাড়ে না!
আমি মনে মনে হাসি। তোমার ছায়া টের পাই নিজের মাঝে।
আমি বিদেশী বিনিয়োগে অনাগ্রহী নই, কিন্তু দেশীয় উৎপাদনে অনেক আগ্রহী!
এটা তোমারই শিক্ষা! লোকে স্বদেশী বলে গালমন্দ করে।
কে জানো? দূরের কেউ নয়! প্রতিবেশীজন!
২৫শে মার্চের কালো রাত্রিরে যখন সবার অনেক উৎকণ্ঠা,
তুমিই ইপিআর থেকে ছড়িয়েছিলে বঙ্গবন্ধুর নামে স্বাধীনতার বার্তা!
পাকিস্তানী আর্মিরা যদি ঘুণাক্ষরেও বুঝতে পারতো তুমি কি ছিলে!
তাহলে তুমি, সিরাজ শিকদার সে রাতে ঢাকা ছেড়ে সীমানা পেরোতে পারতে কিনা!
বলাই বাহুল্য!
এটা মুজিবের বিচক্ষণতা! সবাই উনাকে চিনতো, জানতো।
বিপদ সরাসরি তাঁর উপরেই গেছে, তুমি ছিলে আড়ালে আবডালে গেরিলা,
নৌকার হাল ধরা মাঝি! এই জাতিকে বয়ে নিয়ে গেছ তীরে!
এই স্বাধীনতার মাসে তোমাকে সশ্রদ্ধ সালাম!
প্রিয় তাজউদ্দীন
ডঃ মোসাম্মৎ নাজনীন সুলতানা

এই বঙ্গবন্ধু এরেস্ট হয় হয় বলে,
তুমি তাজ সবসময়ই ছায়াসঙ্গী, প্রক্সিদাতা।
মুজিব জেলে তো কি হয়েছে! তুমি কান্ডারী মহান!
এই জাতির অবশ্যম্ভাবী কান্ডারী।
তুমি ছাড়া মুজিব অপূর্ণ!
জাতির ক্রান্তিলগ্নে তুমি যদি ভয় পেয়ে পালিয়ে যেতে,
এই বাংলার মানুষ স্বাধীন হতে পারতো কিনা সন্দেহ!
মুজিব নেই, তুমি নেই, কী ভীষণ হতো ব্যাপারটা!
আজো তুমি বাঙালী তরুণের আশ্রয়! কান্ডারী হুঁশিয়ার!
জানো, আজো বাংলার স্বাধীনতা বিপন্ন হয়
কিছু কান্ডজ্ঞানহীন মানুষের হাতে পড়ে!
প্রিয় নেতা তাজউদ্দীন, তুমি আমাদের নিশ্চল, নিরলস, দীপ্তময়
থাকবার প্রেরণা!
মাঝে মাঝে লোকে আমাকে বলে আমার নাকি ভীষণ ঠান্ডা মাথা,
খুব কম বিচলিত হই।
আমার বিশ্বাস, এটা তোমার নেতৃত্ব থেকে শেখা।
কেউ কেউ আমাকে বামপন্থি বলতেও ছাড়ে না!
আমি মনে মনে হাসি। তোমার ছায়া টের পাই নিজের মাঝে।
আমি বিদেশী বিনিয়োগে অনাগ্রহী নই, কিন্তু দেশীয় উৎপাদনে অনেক আগ্রহী!
এটা তোমারই শিক্ষা! লোকে স্বদেশী বলে গালমন্দ করে।
কে জানো? দূরের কেউ নয়! প্রতিবেশীজন!
২৫শে মার্চের কালো রাত্রিরে যখন সবার অনেক উৎকণ্ঠা,
তুমিই ইপিআর থেকে ছড়িয়েছিলে বঙ্গবন্ধুর নামে স্বাধীনতার বার্তা!
পাকিস্তানী আর্মিরা যদি ঘুণাক্ষরেও বুঝতে পারতো তুমি কি ছিলে!
তাহলে তুমি, সিরাজ শিকদার সে রাতে ঢাকা ছেড়ে সীমানা পেরোতে পারতে কিনা!
বলাই বাহুল্য!
এটা মুজিবের বিচক্ষণতা! সবাই উনাকে চিনতো, জানতো।
বিপদ সরাসরি তাঁর উপরেই গেছে, তুমি ছিলে আড়ালে আবডালে গেরিলা,
নৌকার হাল ধরা মাঝি! এই জাতিকে বয়ে নিয়ে গেছ তীরে!
এই স্বাধীনতার মাসে তোমাকে সশ্রদ্ধ সালাম!
প্রিয় তাজউদ্দীন
ডঃ মোসাম্মৎ নাজনীন সুলতানা

এই বঙ্গবন্ধু এরেস্ট হয় হয় বলে,
তুমি তাজ সবসময়ই ছায়াসঙ্গী, প্রক্সিদাতা।
মুজিব জেলে তো কি হয়েছে! তুমি কান্ডারী মহান!
এই জাতির অবশ্যম্ভাবী কান্ডারী।
তুমি ছাড়া মুজিব অপূর্ণ!
জাতির ক্রান্তিলগ্নে তুমি যদি ভয় পেয়ে পালিয়ে যেতে,
এই বাংলার মানুষ স্বাধীন হতে পারতো কিনা সন্দেহ!
মুজিব নেই, তুমি নেই, কী ভীষণ হতো ব্যাপারটা!
আজো তুমি বাঙালী তরুণের আশ্রয়! কান্ডারী হুঁশিয়ার!
জানো, আজো বাংলার স্বাধীনতা বিপন্ন হয়
কিছু কান্ডজ্ঞানহীন মানুষের হাতে পড়ে!
প্রিয় নেতা তাজউদ্দীন, তুমি আমাদের নিশ্চল, নিরলস, দীপ্তময়
থাকবার প্রেরণা!
মাঝে মাঝে লোকে আমাকে বলে আমার নাকি ভীষণ ঠান্ডা মাথা,
খুব কম বিচলিত হই।
আমার বিশ্বাস, এটা তোমার নেতৃত্ব থেকে শেখা।
কেউ কেউ আমাকে বামপন্থি বলতেও ছাড়ে না!
আমি মনে মনে হাসি। তোমার ছায়া টের পাই নিজের মাঝে।
আমি বিদেশী বিনিয়োগে অনাগ্রহী নই, কিন্তু দেশীয় উৎপাদনে অনেক আগ্রহী!
এটা তোমারই শিক্ষা! লোকে স্বদেশী বলে গালমন্দ করে।
কে জানো? দূরের কেউ নয়! প্রতিবেশীজন!
২৫শে মার্চের কালো রাত্রিরে যখন সবার অনেক উৎকণ্ঠা,
তুমিই ইপিআর থেকে ছড়িয়েছিলে বঙ্গবন্ধুর নামে স্বাধীনতার বার্তা!
পাকিস্তানী আর্মিরা যদি ঘুণাক্ষরেও বুঝতে পারতো তুমি কি ছিলে!
তাহলে তুমি, সিরাজ শিকদার সে রাতে ঢাকা ছেড়ে সীমানা পেরোতে পারতে কিনা!
বলাই বাহুল্য!
এটা মুজিবের বিচক্ষণতা! সবাই উনাকে চিনতো, জানতো।
বিপদ সরাসরি তাঁর উপরেই গেছে, তুমি ছিলে আড়ালে আবডালে গেরিলা,
নৌকার হাল ধরা মাঝি! এই জাতিকে বয়ে নিয়ে গেছ তীরে!
এই স্বাধীনতার মাসে তোমাকে সশ্রদ্ধ সালাম!

 

✍️ বাতাসে পোড়া লাশের গন্ধ!
ডঃ মোসাম্মৎ নাজনীন সুলতানা

কি উৎকট গন্ধ!
বারুদের নয়, তেলে পোড়া, গ্যাসে পোড়া মাংসের গন্ধ!
উঃ বাবা! সে কি দম বন্ধ করা অসহনীয় পরিবেশ!
ভবনে আটকে পড়ে অসহায় নিরজন!
কেউ কেউ জানালা দিয়ে, শার্সি দিয়ে লাফিয়ে পড়ে মৃত্যু।
নয়তো ভাঙা হাত-পা নিয়ে হাসপাতালের বেডে।
বেঁচেছে! তাও তো রক্ষে!
পেট্রোল বোমা মেরেছিল সেই ২০১৪ সালে।
বাসে পুড়ে কত যে মরেছে! শুনেছি সংখ্যাটা নাকি ৩০০০ কাছাকাছি!
তেলের ডিপো পোড়ে! আজ বঙ্গবাজার তো কাল কাচ্চিভাই!
কত যে মানুষের পুড়ে যাওয়া গলিত লাশ! ইয়ত্তা নেই!
স্বজনেরা চিনতেও পারে না!
বার্ন ইউনিটের অকুতোভয় ডাক্তারদেরও বুক কেঁপে ওঠে!
আহত মানুষের আহাজারিতে আমার কর্ণ বিদীর্ণ হয়!
আমি অসহ্য মনোঃবেদনা এবং কর্ণবেদনা নিয়ে বিছানায় কাতরাতে থাকি!
শোনার লেভেল কমে যায়, কারো কথা শুনতে পেতাম খুব কম!
প্রায় মাসকাল ভুগেছি এই অনিশ্চয়তায়! না জানি আর ফিরে পাব না শ্রুতিক্ষমতা!
হাসপাতালে দেখতে গিয়েছিলাম অসহায় বেঁচে থাকা অসহ্য যন্ত্রণার ভিতর দিয়ে যাওয়া
মানুষগুলোকে দেখতে।
কি সেই বুকের ব্যাথা, কি সেই অভিমান! আজো আমাকে তাড়িয়ে বেড়ায়!
দুঃস্বপ্নের মতো লাগে!
৭১ এ এই ভাবেই জ্বালানো হতো গ্রামকে গ্রাম!
স্বাধীনতার ৫০ দশকে কি সেই ৭১ই ফিরে এলো!
আজো এই বাংলাকে পুড়ে যেতে হবে?
আর কত?
হে মুজিব, হে তাজ,
আর কতকাল বাংলার মানুষকে এইভাবে পুড়তে হবে?

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট