শরিফুল ইসলাম,জেলা প্রতিনিধি, চাঁপাইনবাবগঞ্জঃ চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোলে বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে তে-ভাগা আন্দোলনের কিংবদন্তি নেত্রী বিপ্লবী ইলামিত্রের ২১তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত হয়েছে।
১৩ অক্টোবর (শুক্রবার) ইলামিত্র সংসদের আয়োজনে নাচোল উপজেলার নেজামপুর ইউনিয়নের কেন্দুয়া পঞ্চানন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে সকাল ১০টা থেকে শুরু হয় বিভিন্ন আয়োজন। নাচোল প্রবেশ মেইন রাস্তায় ইলামিত্র গেটে তাঁর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে তাঁর স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন, দুপুরে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীসহ অতিথিদের জন্য কাঙালী ভোজের আয়োজন এবং দুপুর ২টার দিকে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সবুজ হাসানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মু. জিয়াউর রহমান।
প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম মোস্তফা বিশ্বাস। স্বাগত বক্তব্য দেন ইলা মিত্র সংসদের সভাপতি শ্রী বিধান শিং।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল হোসেন, উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান জান্নাতুন নাঈম মুন্নি, নেজামপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি শ্রী নিতাই চন্দ্র বর্মন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল হালিম প্রমুখ।
এছাড়াও উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাবৃন্দ, উপজেলার চারটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, ইলামিত্র যশোরের বাগুটিয়া গ্রামের আদি নিবাসী হলেও চাঁপাইনবাবগঞ্জের ইতিহাসে জড়িয়ে আছে তাঁর নাম। কলকাতা থেকে লেখাপাড়া শেষ করে তিনি ১৯৪৫ খ্রি. চাঁপাইনবাবগঞ্জের সদর উপজেলার রামচন্দ্রপুর গ্রামে আসেন রমেন মিত্রের বধু হিসেবে। ১৯৪৭-৫০ খ্রিঃ নাচোলে তেভাগা আন্দোলনে তিনি নেতৃত্ব দেন। ১৯৫০ সালের ৫ জানুয়ারি কৃষক বিদ্রোহ সংগঠিত হয়। পুলিশ ও সেনারা এই বিদ্রোহ দমন করে। তিনি পালানোর সময় বন্দী হন ও অমানবিক নির্যাতনের শিকার হন। পরে তিনি প্যারোলে মুক্তি পেয়ে ভারতে চলে যান এবং সেখানেই থেকে যান। ৭৭ বছর বয়সে ২০০২ সালের ১৩ অক্টোবর তিনি মৃত্যুবরণ করেন।