1. info@www.dainikdeshbarta.com : bissho sangbad Online : bissho sangbad Online
  2. info@www.dainikdeshbarta.com : Dainik Desh Barta :
মঙ্গলবার, ১৪ মে ২০২৪, ১১:৪৭ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
আগামী ১৫ মে প্রবীণ আ’লীগ নেতা ছালেহ আহমেদ কন্ট্রাক্টর এর ৩৯ তম মৃত্যুবার্ষিকী পটিয়ার দুই উপজেলা  চেয়ারম্যান প্রার্থীর মধ্যে বাকবিতন্ডায় হাতাহাতি মারামারি খুটাখালীতে দিন-দুপুরে ডাকাতি,মালামার লুট পটিয়ায় ভাইস-চেয়ারম্যান প্রার্থী সাইফুল হাসান টিটু সাথে জঙ্গলখাইন ইউনিয়ন বাসীর সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত চন্দনাইশে আধুনিকতার ছোঁয়া নিয়ে মেটারনিটি জেনারেল হসপিটাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের শুভ উদ্বোধন শিবগঞ্জে বীর মুক্তিযোদ্ধা আশরাফুল হকের জানাযা রাষ্ট্রীয় মর্যদায় সম্পন্ন। পটিয়ায় কেন্দ্রীয় কৃষক লীগ নেতা আলহাজ্ব আহমদ নবী সওদাগরের কবরে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী সৈয়দ নুরুল আবছারের শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন চাঁপাইনবাবগঞ্জে কবিগুরুর ১৬৩তম জন্মবার্ষিকী পালন। সামাজিক অবক্ষয় -শাহিদা আকতার জাহান কবি মিনার মনসুরের একুশে পদক প্রাপ্তি উপলক্ষে পটিয়ার বড়লিয়া গ্রামে স্বজন ও সুহৃদ সমাবেশ

জনগণের ভোটাধিকার নিয়ে ছিনিমিনি খেলার জন্য বিএনপি’র অপচেষ্টা সম্পর্কে সতর্ক থাকুন : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

  • প্রকাশিত: শনিবার, ২ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
  • ২৫৩ বার পড়া হয়েছে

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জনগণের ভোটাধিকার নস্যাতের যে কোন ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে সজাগ থাকার জন্য দেশবাসীর প্রতি তাঁর আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করে বলেছেন, বিএনপি আবারও দেশের নির্বাচনী ব্যবস্থাকে ধবংস করে দেশকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দিতে চাইছে।

তিনি বলেন, “নির্বাচন তাদের (বিএনপির) উদ্বেগের বিষয় নয়, কারণ তারা আবারও জনগণের ভোটের অধিকার নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে চাইছে।”
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ বিকেলে জাতীয় শোক দিবস ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ আয়োজিত ‘সর্ববৃহৎ ছাত্র সমাবেশে’ প্রধান অতিথির ভাষণে এ কথা বলেন।
২০০৮ সালের নির্বাচনেই বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট জনগণ দ্বারা প্রত্যাখ্যাত হয়ে ৩০টি আসন পেয়েছিল উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের এ কথাটা জনগণকে মনে করিয়ে দিতে হবে যে, ওরা ভোট করতে আসেনা এবং ভোটও পায় না। কারণ ওরা তো জঙ্গিবাদী, লুটেরা, সন্ত্রাসী। মানুষের শান্তি ও সম্পদ ওরা কেড়ে নেয়। মানুষের ঘরবাড়ি কেড়ে নেয়। ঘরবাড়ি কেড়ে নিয়ে সেখানে পুকুর কেটে কলাগাছ লাগিয়ে দিতেও আমরা তাদের দেখেছি। কাজেই লুটেরা, সন্ত্রাসী ও জঙ্গিবাদে বিশ^াসীরা মানুষের কোন কল্যাণ করতে পারে না।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, এতিমের অর্থ আত্মসাৎকারী, ১০ ট্রাক অস্ত্র চোরাকারবারী ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা করে আমাদের আইভি রহমান সহ ২২ জন নেতা-কর্মীকে হত্যা করেছে। প্রতিটি ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে তারা হেয় প্রতিপন্ন করেছে।

তিনি বলেন, “ইলেকশন তাদের কথা নয়, তারা জনগণের ভোটের অধিকার নিয়ে আবার ছিনিমিনি খেলতে চায়। কারণ তাদের জন্মই হয়েছে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারির হাতে। তারা কখনও গণতন্ত্রে বিশ^াস করেনি, তারা নাকি এখন গণতন্ত্র উদ্ধার করবে”।

তিনি বলেন, যাদের জন্ম মিলিটারি ডিক্টেটরের হাতে, মার্শাল ল’ দিয়ে তারা ক্ষমতা দখল করেছিল। জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যার মধ্যদিয়ে ক্ষমতায় আসা সেই ক্ষমতাসীনদের হাতে তৈরী সংগঠন ঐ বিএনপি।
সরকার প্রধান বলেন, সংবিধানে যেখানে যুদ্ধাপরাধীদের রাজনীতি করা নিষিদ্ধ ছিল, সেই সংবিধান মার্শাল ল’ অর্ডিন্যান্সের মাধ্যমে সংশোধন করে যুদ্ধাপরাধী এবং পাকিস্তানের পাসপোর্টধারীদের যারা রাজনীতি করার সুযোগ দিয়েছে তারা এ দেশের কল্যাণ কোনদিন চাইতে পারে না, তারা চায়না। তারা দেশটাকে ধ্বংস করতে চায়। অন্যদিকে যখন আজকের এই বাংলাদেশ (উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছে) এবং আওয়ামী লীগ যখন সরকারে এসেছে তখনই মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন হয়েছে।

ফেস্টুন, ব্যানার, প্ল্যাকার্ড এবং জাতীয় ও ছাত্রলীগের পতাকা নিয়ে ছাত্রলীগের লোগো সম্বলিত টি-শার্ট ও ক্যাপ পরে সারাদেশ থেকে ছাত্রলীগের লাখ লাখ নেতাকর্মী আজ সকাল থেকে ‘আবারো শেখ হাসিনা’ স্লোগান দিয়ে আকাশ-বাতাস মুখরিত করে সমাবেশস্থলে সমবেত হতে থাকেন। দুপুরের পর পরই ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়, শাহবাগ, হাইকোর্ট এবং আশপাশের এলাকা মানব সমুদ্রে পরিণত হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী ছাত্রলীগের প্রকাশনা মাতৃভূমি’র বিশেষ সংখ্যার মোড়ক উন্মোচন করেন।

বিকেল ৩টা ৪০ মিনিটে প্রধানমন্ত্রী অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছালে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এবং ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক তাঁকে স্বাগত জানান।

ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের সমাবেশে বক্তৃতা করেন। ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকবৃন্দ এ সময় মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন।

বিশাল ছাত্র সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন এবং সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান।

মহাসমাবেশে শেখ হাসিনার বিচক্ষণ নেতৃত্বে জাতির পিতার আদর্শ অনুসরণ করে দেশ ও জনগণের কল্যাণে নিজেদের বর্তমানকে উৎসর্গ করার জন্য এবং আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী প্রতীক নৌকার পক্ষে ব্যালট বিপ্লবের মাধ্যমে বিজয়ী হওয়ার জন্য লাখো শিক্ষার্থীকে শপথ পাঠ করান ছাত্রলীগের সভাপতি।

সমাবেশের শুরুতে জাতীয় সঙ্গীত, ছাত্রলীগের থিম সং এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে উৎসর্গ করা একটি গান গাওয়া হয় এবং এলইডি মনিটরে জাতির পিতাকে উৎসর্গ করা আরেকটি গানও প্রদর্শিত হয়।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ও মহান মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
কবিগুরুর কবিতার পংক্তি “উদয়ের পথে শুনি কার বাণী/ ভয় নাই ওরে ভয় নাই? নি:শেষে প্রাণ যে করিবে দান/ ক্ষয় নাই তার ক্ষয় নাই।” উদ্ধৃত করে জাতির পিতার কন্যা ও আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, তাঁর সেই আদর্শ নিয়েই পথ চলা।

তিনি বলেন, আমার কোন ভয় নেই, দেশের মানুষকে ভালবাসি, স্বাধীনতার চেতনায় বাংলাদেশকে গড়ে তুলবো।

শেখ হাসিনা বলেন, আমার ছাত্রলীগের ছেলে-মেয়েরা ’৪১ এর স্মার্ট বাংলাদেশের কান্ডারি হবে। আমি সেটাই তোমাদের কাছে চাই। শুধু ’৪১ এ থেমে থাকবেনা বাংলাদেশ, ২১০০ সালের জন্য ডেল্টা প্ল্যানও আমি করে দিয়ে গেছি। কাজেই এই বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা আর কেউ বাধাগ্রস্থ করতে পারবে না।

তিনি বলেন, “অতন্ত্র প্রহরীর মত ছাত্রলীগকে সবসময় সজাগ থাকতে হবে। সবথেকে বড় কথা শিক্ষা গ্রহণ করতে হবে। শিক্ষা, শান্তি, প্রগতি-ছাত্রলীগের মূলনীতি। এই নীতি মেনে ছাত্রলীগকে চলতে হবে”।
‘আওয়ামী লীগের জন্য তার ছাত্রদলই যথেষ্ট’ – খালেদা জিয়ার এই বক্তব্য উদ্ধৃত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ছাত্রদলের মাধ্যমে ছাত্রদের হাতে অস্ত্র তুলে দিয়েছিলেন খালেদা জিয়া। আর তিনি ছাত্রদের হাতে তুলে দিয়েছিলেন কাগজ-কলম।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, অশিক্ষিত-মূর্খদের হাতে দেশ এগোতে পারে না। এরা মানুষের কল্যাণে কাজ করতে পারে না।

প্রধানমন্ত্রী ছাত্রলীগের প্রতিটি নেতা-কর্মীকে পাঠে মনোনিবেশ করে নিজেদের যোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার পাশাপাশি তাঁর সরকারের করে দেয়া সুযোগকে কাজে লাগিয়ে উদ্যোক্তা হিসেবে নিজেদের গড়ে তোলারও পরামর্শ দেন।

বর্তমান সরকারের উন্নয়ন যারা চোখে দেখেন না তাদের তাঁর সরকারের করে দেয়া জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটে মাত্র ১০ টাকার বিনিময়ে চক্ষু পরীক্ষা করানোরও পরামর্শ দেন তিনি।

তিনি বলেন, যারা চোখ থাকতেও সরকারের উন্নয়ন চোখে দেখে না, তাদের উচিত দশ টাকার টিকিট কেটে চোখ পরীক্ষা করানো। আসলে তাদের মনের দরজায় অন্ধকার। তারা পরাজিত শক্তির পদলেহনকারী। সেজন্য তারা মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন দেখে না। হাওয়া ভবন খুলে খেতে পারছে না বলে তাদের যতো দু:খ।

পেনশন নিয়ে অপপ্রচারের কঠোর সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপির কিছু নেতা বলছে পেনশন নাকি নির্বাচনী অর্থ সংগ্রহ করার জন্য। এর থেকে লজ্জার আর কী হতে পারে। বিএনপি নিজেরা কিছু করতে পারে না, তাই অন্যের সাফল্য দেখতে পারে না। আমি ছাত্রলীগকে বলব তাদের দায়িত্ব নিতে হবে, মানুষকে বলতে হবে পেনশনের টাকা খোয়া যাবে না। মানুষের ভবিষ্যতের জন্য এই পেনশন করা হয়েছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট