মোহাম্মদ আনিছুর রহমান ফরহাদ, ব্যুরো চীফ
জলবায়ু সহনশীলতা, স্টার্টআপ ও নার্সিং কর্মসংস্থানে সহযোগিতার আলোচনা
টরন্টোর বাংলা টাউনের কাছে ড্যানফোর্থে কানাডার অন্টারিও প্রদেশের সংসদ সদস্য (মেম্মার অফ প্রভিনশিয়াল পার্লামেন্ট; এমপিপি) মেরি-মার্গারেট ম্যাকমাহনের সঙ্গে এক সৌজন্য সাক্ষাৎ ও বৈঠক করেছেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন। মেরি টরন্টোর বিচ-ইস্ট ইয়র্ক এলাকার এমপিপি এবং বাংলাদেশি কমিউনিটির দীর্ঘদিনের সুহৃদ ও সমর্থক হিসেবে পরিচিত।
কানাডা সময় সোমবারের বৈঠকে দুই দেশের উন্নয়ন ও পারস্পরিক সহযোগিতার নানা দিক নিয়ে গঠনমূলক আলোচনা হয়। আলোচনার মূল বিষয়গুলো ছিল—জলবায়ু সহনশীলতা, স্টার্টআপ ইনকিউবেশন এবং কানাডায় নার্সিং ও পিএসডব্লিউ পেশায় বাংলাদেশিদের কর্মসংস্থান।
চট্টগ্রাম নগরীর জলাবদ্ধতা ও সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির ঝুঁকি প্রসঙ্গে মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, “টরন্টোর মতো চট্টগ্রামও জলবায়ু পরিবর্তনের বড় ধরনের হুমকির মুখে।” এই প্রেক্ষিতে কানাডার আধুনিক প্রযুক্তি স্থানান্তরের মাধ্যমে চট্টগ্রামকে আরও জলবায়ু সহনশীল নগরে রূপান্তর করার আহ্বান জানান তিনি। নদী ও খাল পুনরুজ্জীবনের মাধ্যমে জলাবদ্ধতা নিরসনে টরন্টোর অভিজ্ঞতা ও প্রযুক্তিগত সহায়তা চাওয়া হয়।
স্টার্টআপ ইকোসিস্টেম প্রসঙ্গে মেয়র উল্লেখ করেন, “চট্টগ্রামের তরুণ উদ্যোক্তাদের অসংখ্য সম্ভাবনা রয়েছে, কিন্তু একটি কার্যকর ইনকিউবেটরের অভাবে তারা পিছিয়ে পড়ছে।” তিনি অন্টারিও প্রদেশের ‘মার্স ডিসকভারি ডিস্ট্রিক্ট’ -এর মতো বিশ্বমানের ইনোভেশন হাব চট্টগ্রামে স্থাপন বিষয়ে এমপিপির সহযোগিতা কামনা করেন, যাতে কানাডিয়ান ভেঞ্চার ক্যাপিটালও যুক্ত হতে পারে।
কানাডায় নার্স ও পার্সোনাল সাপোর্ট ওয়ার্কার (পিএসডব্লিউ) পেশায় দক্ষ জনবলের অভাব এবং বাংলাদেশের নার্সিং স্কুলগুলোর স্বীকৃতির ঘাটতির বিষয়টি তুলে ধরেন মেয়র। তিনি এসব স্কুলকে কানাডিয়ান মানদণ্ড অনুযায়ী স্বীকৃতি পেতে সহযোগিতার অনুরোধ জানান। পাশাপাশি, বাংলাদেশে যৌথভাবে কোনো কানাডিয়ান ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠার সম্ভাবনাও উত্থাপন করেন।
এমপিপি মেরি-মার্গারেট ম্যাকমাহন উল্লিখিত তিনটি ক্ষেত্রেই গভীর আগ্রহ প্রকাশ করেন এবং প্রয়োজনীয় সহযোগিতার আশ্বাস দেন। তিনি বলেন, “আমি সবসময় বাংলাদেশের পাশে ছিলাম, আছি এবং ভবিষ্যতেও থাকতে চাই। এই সম্পর্ক আরও দৃঢ় করতে আমরা