1. info@www.dainikdeshbarta.com : bissho sangbad Online : bissho sangbad Online
  2. info@www.dainikdeshbarta.com : Dainik Desh Barta :
বুধবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১০:২৬ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
নোয়াখালীতে সড়ক দূর্ঘটনায় বাস চালক নিহত সোনাইমুড়ীতে উচ্ছেদ করা হচ্ছে অবৈধ স্থাপনা সহকারী জজ না হয়ে রাবির শিক্ষক হলেন লালমনিরহাটের ফাইকা তাহজীবা বোয়ালখালীতে আহলা দরবার শরীফে জশনে জুলুস উম্ম আল কোয়াইনে মিলাদুন্নবী মাহফিলে বক্তারাঃ রাসূল (সা.) এর আদর্শ ও শিক্ষা অনুসরণে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন সম্ভব চন্দনাইশে সড়ক দুর্ঘটনায় বউ-শাশুড়িসহ নিহত-৩, আহত-১০ বোয়ালখালীতে হাওলা কুতুবিয়া সিনিয়র আলিম মাদরাসায় ছবক অনুষ্ঠান কানুনগোপাড়া স্যার আশুতোষ কলেজে নবীন বরণ  বোয়ালখালী সিরাজুল ইসলাম কলেজে নবীন বরণ মানবিক বিশ্বের উদাহরণ হোক ফিলিস্তিনের প্রতি ন্যায় বিচার  -নোহা নেছার অন্নি

নির্মাণের ২ মাস পর থেকেই বন্ধ চট্টগ্রামের একমাত্র এস্কেলেটর ফুটওভার ব্রিজটি

  • প্রকাশিত: শুক্রবার, ২৪ মে, ২০২৪
  • ২৯৬ বার পড়া হয়েছে

পলাশ সেন। চট্টগ্রাম মহানগর প্রতিনিধি

কোনও কাজেই আসছে না চার কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত চট্টগ্রামের একমাত্র এস্কেলেটর বা চলন্ত সিঁড়ির ফুটওভার ব্রিজটি। নির্মাণের দুই মাস পর থেকে ফুটওভার ব্রিজটি তালাবদ্ধ। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, কোনও প্রকার যাচাই-বাচাই না করে অহেতুক প্রকল্প নিয়ে সরকারি অর্থের নয়-ছয় করেছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক)। চসিক কর্মকর্তারা বলছেন, বাড়তি বিদ্যুৎ বিলের বোঝা কমাতে এটি বন্ধ রাখা হয়েছে। সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, নগরীর জাকির হোসেন সড়কের চট্টগ্রাম ডায়াবেটিক জেনারেল হাসপাতালের সামনে এ ফুটওভার ব্রিজটি নির্মাণ করা হয়। হাসপাতালে আসা রোগী-স্বজনদের নিরাপদে সড়ক পারাপারের জন্যই সাধারণ সিঁড়ির পাশাপাশি ব্রিজটিতে যুক্ত করা হয়েছিল চলন্ত সিঁড়ি। কিন্তু ফুটওভার ব্রিজে চলন্ত সিড়ি চালুর মাত্র দুই মাসের মধ্যে সেটি বন্ধ করে দেওয়া হয়। সিঁড়ির দুই পাশের ফটকে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে তালা। এ কারণে লোকজনের ইচ্ছে থাকলেও এটি ব্যবহার করতে পারছেন না। সবাই আগের মতোই ঝুঁকি নিয়ে সড়ক পার হচ্ছেন। তবে সড়ক পার হতে মাঝখানে কোনও প্রতিবন্ধকতা না থাকায় এ ফুটওভার ব্রিজে ওঠার প্রতি কারো তেমন আগ্রহও নেই। স্থানীয়রা এ ফুটওভার ব্রিজকে অপ্রয়োজনীয় প্রকল্প বলে আখ্যা দিয়েছেন। চট্টগ্রাম ডায়াবেটিক জেনারেল হাসপাতালের কর্মচারী নুর উদ্দিন বলেন, হাসপাতালে যেসব রোগী আসেন তারা সরাসরি গাড়ি নিয়ে ভেতরে চলে যান। রোগীরাও এটি তেমন ব্যবহার করেন না। এখানে মানুষের কম যাতায়াত হয়। এ স্থানে এটি নির্মাণ করা সঠিক হয়নি। তার ওপর নিচ দিয়ে সহজেই সড়ক পার হওয়ার সুযোগ আছে। যে কারণে কষ্ট করে মানুষ ফুটওভার ব্রিজে উঠছে না। এটি সির্মাণের পর থেকেই বন্ধ রয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দা জাহেদুল ইসলাম বলেন, চলন্ত সিঁড়ির ফুটওভার ব্রিজটি নির্মাণের মাত্র দুই মাসের মধ্যে বন্ধ করে দেওয়া হয়। কী কারণে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে তা আমাদের জানা নেই। সিঁড়িটি থাকার কারণে স্থানীয় মানুষ তথা হাসপাতালে আসা রোগীদের পারাপারে সুবিধা হতো। অপর বাসিন্দা নুরুল ইসলাম বলেন, ফুটওভার ব্রিজটি বন্ধ থাকার কারণে রাতের বেলায় মাদকসেবীসহ নানা অপরাধীদের আড্ডা বসে। এখান থেকে অনেক যন্ত্রাংশ চুরি হয়েছে। এটি রক্ষণাবেক্ষণ কিংবা দেখার কেউ নেই। শুধু নির্মাণ করেই দায় সেরেছে সিটি করপোরেশন। চসিক সূত্র জানায়, ২০২০ সালে এস্কেলেটর যুক্ত ফুটওভার ব্রিজটি নির্মাণ করা হয়। এটিই নগরীর একমাত্র ও প্রথম চলন্ত সিঁড়ির ফুটওভার ব্রিজ। ওই বছরের ৩০ জানুয়ারি এটির উদ্বোধন করা হয়। এটির দৈর্ঘ্য ৬৫ ফুট এবং প্রস্থ ৯ ফুট। এই ফুটওভার ব্রিজটিতে ওঠার জন্য লাগানো হয়েছে দুটি এস্কেলেটর। তবে নামার জন্য রাখা হয়েছে সাধারণ সিঁড়ি। ফুটওভার ব্রিজটি নির্মাণে চসিকের ব্যয় হয় ৩ কোটি ৯০ লাখ টাকা। উদ্বোধনের দুই মাসের মধ্যে করোনা মহামারির অজুহাতে এটি তারা বন্ধ করে রাখে। এরপর থেকে আজ অবধি খেলা হয়নি। অথচ উদ্বোধনের সময় বলা হয়, এই ফুটওভার ব্রিজ সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত চালু থাকবে। নগর পরিকল্পনাবিদ সুভাষ বড়ুয়া বলেন, এটি ছিল চসিকের অপ্রয়োজনীয় প্রকল্প। যেখানে এ ফুটওভার ব্রিজ বসানো হয়েছিল সেখানে অত বেশি লোকজনের চলাচল নেই। যে কারণে এটি ব্যবহারও তেমন হচ্ছে না। এ প্রকল্পের মাধ্যমে জনসাধারণের অর্থের অপচয় হয়েছে মাত্র, যা সম্পূর্ণ অনৈতিক। এই ফুটওভার ব্রিজ যখন নির্মাণ করা হচ্ছিল তখন আমি চসিকের তৎকালীন মেয়রের কাছে এর কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন করেছিলাম। চসিকের নির্বাহী প্রকৌশলী জসিম উদ্দিন জানান, চলন্ত সিঁড়ির ফুটওভার ব্রিজটি নির্মাণের পর চসিকের বিদ্যুৎ বিভাগকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। তারাই মূলত এটির দেখভাল করেন। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ তৌহিদুল ইসলাম বলেন, এটি যে পরিমাণ লোক ব্যবহার করে তার চেয়েও বেশি বিদ্যুৎ বিল আসে। এ কারণে বন্ধ রাখা হয়েছে। তবে এটিকে নতুন জায়গায় নিয়ে বসানোর চিন্তা রয়েছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট