1. info@www.dainikdeshbarta.com : bissho sangbad Online : bissho sangbad Online
  2. info@www.dainikdeshbarta.com : Dainik Desh Barta :
বৃহস্পতিবার, ১৬ মে ২০২৪, ০২:৫৪ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
১২ শিক্ষকের ৭ শিক্ষার্থী, পাস করেছে একজন সম্মাননা পুরস্কার পেলেন কণ্ঠশিল্পী আনিসা তালুকদার তৃনমূল থেকে উঠে আসা একজন নুরুল আবছার বাবুল। চাঁপাইনবাবগঞ্জে ট্রাক চাপায় ৬ গরুসহ ১ রাখালের মৃত্যু। আগামী ১৫ মে প্রবীণ আ’লীগ নেতা ছালেহ আহমেদ কন্ট্রাক্টর এর ৩৯ তম মৃত্যুবার্ষিকী পটিয়ার দুই উপজেলা  চেয়ারম্যান প্রার্থীর মধ্যে বাকবিতন্ডায় হাতাহাতি মারামারি খুটাখালীতে দিন-দুপুরে ডাকাতি,মালামার লুট পটিয়ায় ভাইস-চেয়ারম্যান প্রার্থী সাইফুল হাসান টিটু সাথে জঙ্গলখাইন ইউনিয়ন বাসীর সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত চন্দনাইশে আধুনিকতার ছোঁয়া নিয়ে মেটারনিটি জেনারেল হসপিটাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের শুভ উদ্বোধন শিবগঞ্জে বীর মুক্তিযোদ্ধা আশরাফুল হকের জানাযা রাষ্ট্রীয় মর্যদায় সম্পন্ন।

একুশে পদক পাওয়া সৌভাগ্যের এবং জেলা প্রশাসকের আন্তরিকতার ফল-জিয়াউল হক।

  • প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪
  • ১২১ বার পড়া হয়েছে

শরিফুল ইসলাম, চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধিঃ

২০২৪ সালে সমাজসেবা ক্যাটাগরিতে একুশে পদক পেয়েছেন বেচি দই, কিনি বই খ্যাত চাঁপাইনবাবগঞ্জের সাদা মনের মানুষ

দই বিক্রেতা জিয়াউল হক। জিয়াউল হক ১৯৩৮ সালে চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাট উপজেলার ৩ নম্বর দলদলী ইউনিয়নের নিভৃত পল্লী চামা মুশরিভুজা গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেন। অভাব অনাটনের মধ্যে তিনি কোনরকম প্রাথমিক শিক্ষা শেষ করলেও টাকার অভাবে মাধ্যমিকে ভর্তি হতে পারেন নি। এরপর বাবার সংগ্রহ করা দুধ দিয়ে দই তৈরি করে ফেরি করে বিক্রি করা শুরু করেন তিনি। কয়েকবছর পর তাঁর কাছে কিছু টাকা জমা
হলে, যারা তাঁর মত টাকার অভাবে বই কিনতে না পেরে তাঁর মত লেখাপড়া থেকে ছিটকে পড়তে পারে তাদের তিনি এই টাকা দিয়ে বই কিনে দেওয়া শুরু করেন। শুধু তাই নয়, দই বিক্রি করা টাকা দিয়ে তিনি ১৯৬৯ সালে নিজের বাড়ির একটি ঘরে প্রতিষ্ঠা করেন জিয়াউল হক সাধারণ পাঠাগার যেখানে এখন প্রায় ১৫ হাজার বই আছে বলে জানান জিয়াউল হক। এবিষয়ে জিয়াউল হক দৈনিক দেশবার্তাকে বলেন, গরিব শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষার আলো ছড়ানো হচ্ছে আমার স্বপ্ন আর এই স্বপ্ন পূরনের জন্য আমি অক্লান্ত পরিশ্রম করি আর আমার এসব সমাজসেবা কাজ সাংবাদিক ভাইদের মাধ্যমে বিভিন্ন মিডিয়ায় প্রকাশ হয় পাশাপাশি চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা প্রশাসক এ কে এম গালিভ খাঁন বিভিন্ন সময় আমাকে সহযোগীতা করেন। আমি একুশে পদক পাওয়ায় জেলা প্রশাসকের প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করি। তিনি আমার কর্মের প্রশংসা করে ১৬ অক্টোবর ২০২৩ সালে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় বরাবর আমার নামটি প্রস্তাব করে পত্র প্রেরণ করেছিলেন যার ফলশ্রুতিতে আজ আমি একুশে পদক পেয়েছি।
জিয়াউল হকের একুশে পদক পাওয়ার বিষয়ে খুশি হয়ে জেলা প্রশাসক এ কে এম গালিভ খাঁন বলেন, জিয়াউল হক একজন সাদা মনের সমাজসেবক। তিনি শিক্ষার আলো ছড়ানোর মত মহৎ কাজের পাশাপাশি আরো কিছু সামাজিক উন্নয়নমুলক কাজের সাথে জড়িত। তাঁর সকল সেবামূলক কাজের ভিত্তিতে আমি জিয়াউল হকের নামটি একুশে পদকের জন্য সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় বরাবর প্রস্তাব করে পত্র প্রেরণ করেছিলাম। কর্তৃপক্ষ বিচারবিবেচনা করে তাঁকে একুশে পদকের জন্য মনোনীত করেন যা চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলাবাসীর গর্ব।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট