1. info@www.dainikdeshbarta.com : bissho sangbad Online : bissho sangbad Online
  2. info@www.dainikdeshbarta.com : Dainik Desh Barta :
বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ১২:২৪ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
চন্দনাইশে শ্রেষ্ঠ মাদ্রাসা মকবুলিয়া, শ্রেষ্ঠ অধ্যক্ষ নুরুল আলম আনোয়ারার বীর মুক্তিযোদ্ধা পেছু মিয়ার পরিবারের উপর হামলা ও হুমকির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন মানসিক রোগী মজিরন বেওয়া’র সন্ধান চান তার পরিবার সরকার উৎখাতে কাজ করছে অতি বাম-অতি ডানরা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শিবগঞ্জে বীর মুক্তিযোদ্ধা মনসুর মাস্টারের জানাযা রাষ্ট্রীয় মর্যদায় সম্পন্ন। সোনাইমুড়ীতে হিট স্ট্রোকে দুইজনের মৃত্যু ১০নং সলিমপুর ইউনিয়ন ১নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগের বৃক্ষরোপন কর্মসূচি। চাঁপাইনবাবগঞ্জে নদীতে গোসলে নেমে দুই শিশুর মৃত্যু। কবিতার ছন্দে অনুষ্ঠিত হলো প্রত্যয়ের “অন্তর মম বিকশিত করো” পর্ব ৪ তীব্র তাপদাহে পটিয়ার জনসাধারণের মাঝে বিনামূল্যে শরবত বিতরণ

রাঙ্গামাটিতে ৫ দিনব্যাপী বিজু, সাংগ্রাই, বৈসুক, বিষু মেলার উদ্বোধন–দীপংকর তালুকদার এমপি

  • প্রকাশিত: সোমবার, ৩ এপ্রিল, ২০২৩
  • ২৫৭ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসরত ক্ষুদ্র নৃতাত্ত্বিক জনগোষ্ঠির প্রধানতম সামাজিক উৎসব বৈসুক-সাংগ্রাই বিজু বিহু (যা বৈসাবি নামেই সমাধিক পরিচিত) উপলক্ষে ৫ দিনব্যাপি মেলা ও উৎসব শুরু হয়েছে। রাঙ্গামাটি জেলা পরিষদ এবং ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউটের যৌথ আয়োজনে অনুষ্ঠিত হচ্ছে এ আবহমানকাল ধরে চলে আসা এই উৎসব। মেলায় বিভিন্ন সম্প্রদায়ের ঐতিহ্যবাহী কাপড়-চোপড়সহ নানান সামগ্রীর স্টল বসানো হয়েছে। এছাড়া ৫দিনব্যাপী মেলায় ঐতিহ্যবাহী বিভিন্ন খেলাধুলা, শিশু কিশোরদের চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা, চাকমা নাটক, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠিদের ঐতিহ্যবাহী যন্ত্র সংগীত, উভগীত, গেংখুলী গীত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, পিঠা উৎসবসহ বিশিষ্টজনদের স্মৃতিচারণ অনুষ্ঠিত হবে।

সোমবার (৩ এপ্রিল) বিকালে রাঙ্গামাটি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউট মিলনায়তন প্রাঙ্গনে যৌথভাবে বৈসাবি মেলার উদ্বোধন করেন, রাঙ্গামাটি সংসদ সদস্য ও খাদ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি দীপংকর তালুকদার এমপি। রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অংসুপ্রু চৌধুরী’র সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ব্রিগেড কমান্ডার ৩০৫ পদাতিক ব্রিগেড ব্রি, জে, মোহাম্মদ ইমতাজ উদ্দিন, এনডিসি, পিএসসি, রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান, পুলিশ সুপার মীর আবু তৌহিদ, রাঙ্গামাটি জেলা পরিষদ সদস্য ও জেলা আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক হাজী মোহাম্মদ মুছা মাতব্বর রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্যসহ বিভিন্ন দপ্তরের প্রধানগণ এবং সামাজিক, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠক গন এই সময় উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন মেলা উদযাপন পরিষদের আহবায়ক রেমলিয়না পাংখোয়া।
মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিভিন্ন ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সদস্যদের পরিবেশনায় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। এই উপলক্ষে মেলা স্থলে স্থাপিত বিভিন্ন স্টলে বিভিন্ন দ্রব্য ও অলঙ্কার এবং বস্ত্র প্রদর্শিত হচ্ছে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাঙ্গামাটি সংসদ সদস্য ও খাদ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি দীপংকর তালুকদার এমপি বলেন, পার্বত্যাঞ্চলে বসবাসরত ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীদের প্রধান সামাজিক উৎসব বৈসাবিকে বিজু-সাংগ্রাই-বৈসুক-বিষু-বিহু নামে পালন করে থাকে। বিভিন্ন সম্প্রদায়ের ভিন্ন ভিন্ন সংস্কৃতির সংমিশ্রনে বৈসাবি এক বৈচিত্রময় রূপ ধারণ করেছে। এটা মূলত পুরোন বছরকে বিদায় দেওয়া আর নতুন বছরকে বরণ করার জন্য পাহাড়ের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীদের এ বৈসাবি উৎসব। এই উৎসবটি বয়ে আনে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির মিলন হয়। থাকেনা কোন হিংসা-বিদ্বেষ। আশা করি বৈসাবির আনন্দ উচ্ছ্বাসের মধ্যে দিয়ে পাহাড়ে শান্তি প্রতিষ্ঠা হবে। পাহাড়ে বয়ে আসছে শান্তি ও সম্প্রীতি এক মিলন মেলা।
এর আগে রাঙ্গামাটি জেলা পরিষদের উদ্যোগে বর্নাঢ্য শোভাযাত্রা ও মেলার মধ্যদিয়ে বিজু সাংগ্রাই, বৈসুক, বিষু তথা বৈসাবী উৎসবের সূচনা হয়। রাঙ্গামাটি সরকারি কলেজ প্রাঙ্গণ থেকে একটি বর্ণাঢ্য আনন্দ র‌্যালিটি বের হয়ে র‌্যালিটি রাঙ্গামাটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী মিলনায়তন প্রাঙ্গনে এসে শেষ হয়। সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউট প্রাঙ্গনে ফিতা কেটে বেলুন ও পায়ড়া উড়িয়ে ৫দিনের মেলার উদ্বোধন করেন, দীপংকর তালুকদার এমপি। পরে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠিদের শিল্পীদের নৃত্য পরিবেশন করা হয়। এছাড়া সদুর সাজেক থেকে আসা ত্রিপুরা জনগোষ্ঠীর গড়াইয়া নৃত্য পরিবেশন করা হয়।
বৈসাবীর এই উৎসবকে কেন্দ্র করে এই দিনটিকে ঘিরে আনন্দ উৎসবে মেতে থাকে পাহাড়ের সকল সম্প্রদায়ের মানুষ। এবছর বৈশ্বিক মহামারী করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ কমে আসার কারণে রাঙ্গামাটির সর্বত্র বৈসাবী উৎসব পালিত হবে আনন্দঘন পরিবেশে।
১২ এপ্রিল পাহাড়ের বৈসাবী উৎসবের প্রথম দিন চাকমা, ত্রিপুরা, তংচঙ্গ্যা জাতির ফুল বিজু বৈসু কিংবা বিষু। অনুরূপভাবে ১৩ এপ্রিল চৈত্র সংক্রান্তির দিনকে বলা হয় মুল বিজ বৈসু বা বিষুু। আর ১৪ এপ্রিল থেকে ১৬ এপ্রিল পর্যন্ত চলে মারমাদের জল কেলী উৎসব।
উৎসবের প্রথম দিনে চাকমা, ত্রিপুরা ও মারমারা বন থেকে ফুল আর নিমপাতা সংগ্রহ করে সেই ফুল দিয়ে ঘর সাজায় ও মা গঙ্গার উদ্দেশ্যে নদীতে ফুল ভাসায়। মুল বিজুর দিনে ঘরে ঘরে রান্না হয় ঐতিহ্যবাহী পাচন। আর বাংলা নববর্ষের দিনে রাঙ্গামাটির কাউখালীর বেতবুনিয়ায় অনুষ্ঠিত হবে মারমাদের জলকেলী উৎসব।
উল্লেখ্য, প্রতি বছর বাংলা নববর্ষকে কেন্দ্র করে রাঙ্গামাটিতে বসবাসরত ১৩ নৃ-তাত্ত্বিক জনগোষ্ঠীর উদ্যোগে বিজু, সাংগ্রাইং, সাংক্রান, সাংক্রাই, বৈসু, বিষু, বিহু, জল উৎসব ও বাংলা নববর্ষ উৎসাহ উদ্দিপনার মধ্যদিয়ে পালন করা হয়।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট