1. info@www.dainikdeshbarta.com : bissho sangbad Online : bissho sangbad Online
  2. info@www.dainikdeshbarta.com : Dainik Desh Barta :
বুধবার, ০৮ মে ২০২৪, ০৬:৪৬ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
কবি মিনার মনসুরের একুশে পদক প্রাপ্তি উপলক্ষে পটিয়ার বড়লিয়া গ্রামে স্বজন ও সুহৃদ সমাবেশ ফেরিঘাটে বেইলি ব্রিজে ফের টেম্পোর ধাক্কায় আহত একজন প্রিমিয়ার শো’র মাধ্যমে মুক্তি পেলো এস.ডি.জীবনের ওয়েব ফিল্ম ‘দুনিয়ার খেলা’ প্রাক্তন শিক্ষার্থী পরিষদের পক্ষ হতে মরহুম মওলানা আবদুস সোবহান (রহ.) এর ১০৬ তম ওফাত বার্ষিকীতে খতমে কুরআন, দোয়া মাহফিল সম্পন্ন পেকুয়া সাংবাদিক সমিতির বরণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত যৌতুক মামলার আসামী মিরাজ গ্রেফতার। চট্রগ্রাম রাঙ্গামাটি সড়কের পাশে “আই লাভ ফরেস্ট”  স্থাপন।  ইপিজেড থানা পুলিশের অভিযানে(পাঁচশত) গ্রাম গাঁজাসহ একজন মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার পটিয়ায় জাতীয় পার্টির উদ্যােগে মহান মে দিবস পালন।। শ্রমজীবি মানুষের অধিকার আদায়ের জন্য পার্টি’কে শক্তি শালী করার আহবান  পটিয়া- কর্ণফুলী উপজেলা ডেকোরেটার্স মালিক সমিতির ৩১ সদস্য কমিটি ঘোষণা

ইসলামে শ্রমিক, কর্মচারী ও কৃষকের অধিকার -লায়ন মোঃ আবু ছালেহ্

  • প্রকাশিত: শুক্রবার, ৩১ মার্চ, ২০২৩
  • ২৪১ বার পড়া হয়েছে

নবীদের জীবনের দিকে তাকালে দেখা যাবে তাঁদের অধিকাংশ বস্তুবাদী এই দুনিয়ার কোনও ‘সোকল্ড নোবেল’ পেশায় ছিলেন না।যেমনঃ

আদম (আ.) : তিনি ছিলেন কৃষক। চাষ-বাস করতেন।
শীস (আ.) : পেশায় ছিলেন তাঁতী। তুলো, রেশমগুটি থেকে সুতো কেটে কাপড় বানাতেন। চাষবাস করতেন বলেও জানা যায়।
ইদ্রিস (আ.) : পেশায় দর্জি। তিনি প্রথম সুঁইয়ের আবিষ্কার ও ব্যবহার করেন। শীস আ. কাপড় বানাতে জানতেন। আর ইদ্রিস আ. তা সেলাই করে জামায় রূপান্তর করেন।
নূহ (আ.) : তিনি জীবিকার দিক থেকে ছিলেন কাঠমিস্ত্রি ।
হুদ (আ.) : ব্যবসার সূচনা করেন। পশুপালন করতেন। আধুনিককার অনেকটা মুদি দোকানের মত প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদির ব্যবসা করতেন।
ছালেহ্ (আ.) : পেশায় ছিলেন গোয়ালা। উটের পালন আর এর দুধ বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করতেন।
লুত (আ.) : তাঁর সম্প্রদায়ের মত তিনিও ছিলেন চাষী। ইতিহাসেও তাঁর পাণ্ডিত্য ছিল।
ইব্রাহিম (আ.) : রাজমিস্ত্রি তথা নির্মাণশ্রমিক ছিলেন। পশুপালনও করেছেন।
ইসমাইল (আ.) : তিনিও পিতা ইব্রাহিমের মত একই পেশা অবলম্বন করতেন। সেইসঙ্গে শিকারও করতেন। বহুভাষী ছিলেন।
ইসহাক (আ.) : পেশাগতভাবে ছিলেন মেষপালক, রাখাল।
ইয়াকুব (আ.) : তিনিও ছিলেন রাখাল।
ইউসুফ (আ.) : তিনি সরকারি কর্মে নিয়োজিত ছিলেন। কৃষি দফতরের প্রতিষ্ঠাতা ও ঘড়ির আবিষ্কারক।
আইয়ুব (আ.) : তিনিও ছিলেন কৃষক।
শুয়াইব (আ.) : তিনিও ছিলেন কৃষক।
মুসা (আ.) : রাখাল ছিলেন, অন্যের কর্মচারী হিসেবে নিয়োজিত ছিলেন।
হারুন (আ.) : পেশায় আমলা ছিলেন।
দাঊদ (আ.) : জীবিকা নির্বাহ করেছেন কামারের কাজ করে।
সুলাইমান (আ.) : শাসক ছিলেন।
যুল-কিফল (আ.) : তিনি পেশায় ছিলেন বেকারি কর্মী। রুটি বানাতেন।
ইলিয়াস (আ.) : পেশায় তাঁতী, দর্জি আর কৃষিকাজ করেছেন।
ইউনুস (আ.) : তিনি তাঁর পিতার মতই জেলে ছিলেন। মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করতেন।
উযাইর (আ.) : পেশাগত জীবনে মালি ছিলেন।
যাকারিয়া (আ.) : তিনি ছিলেন কাঠমিস্ত্রি।
ইয়াহিয়া (আ.) : তাঁর পেশা ছিল শিকার ও ফলমূলাদি সংগ্রহ।
ঈসা (আ.) : তিনি জীবিকা হিসেবে শিকার বেছে নিয়েছিলেন।
মুহাম্মদ (সা.) : তিনি ছিলেন রাখাল। অন্যের ব্যবসায় কর্মচারী হিসেবেও কর্মরত ছিলেন।

কেবল সুলাইমান , ইউসুফ আর হারুন আ. ব্যতীত বাকিদের জন্য আল্লাহ্‌ নির্ধারণ করেছেন প্রান্তিক ও দরিদ্র মানুষের জীবিকা। আর এজন্যই ইসলামে নিচু পেশা বলে কোনও ধারণার অস্তিত্ব নাই। পেশার দরুণ কাউকে অবজ্ঞা করাটা গুনাহর কাজ। প্রকৃতপক্ষে প্রায় সমস্ত নবীর জীবিকা এইরকম হওয়ার অন্যতম কারণ ছিল তাঁরা যেন সমাজের বঞ্চিত, অবহেলিত আর অনগ্রসর এই শ্রমজীবী মানুষকে পুরোপুরি বুঝতে পারেন। তাঁদের অধিকার ও প্রয়োজনের ব্যাপারে সচেতন থাকেন। ফলে ইসলামে শ্রমিক ও কর্মচারীর অধিকার, কৃষকের অধিকারের পক্ষে যে স্ট্যান্ড তা আজ পর্যন্ত অন্য কোন রাষ্ট্র ব্যবস্থা এর ধারে কাছেও যেতে পারে নাই। মহান রাব্বুল আলামিন যুগে যুগে নবী রাসুলগনের মাধ্যমে আমাদের সমাজের শ্রেণী বৈষম্যকে পরিহার করতে তাগিদ দিয়েছেন। মুসলিমরা একে অপরের ভাই এই কথাটির মাধ্যমে তা প্রকাশ পায়।

লেখকঃ কবি ও সাংবাদিক

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট