
অরুন নাথ,পটিয়া(চট্টগ্রাম)প্রতিনিধিঃ
পটিয়া উপজেলার জিরি
(নাথপাড়া)গ্রামের সার্ব্বজনীন জগন্নাথ মন্দির প্রাঙ্গনে পরমেশ্বর শ্রী শ্রী জগন্নাথ দেব স্মরনে প্রতি বছরের ন্যায় এবার ৫৫ তম বার্ষিকী মহোৎসব উপলক্ষে ধর্মীয় ভাবধারায় তিন দিন ব্যাপী নানান অনুষ্টানমালার মধ্য দিয়ে অনুষ্টিত হয়েছে।
গত সোমবার(১৭ই নভেম্বর) দিন ব্যাপী অনুষ্টানমালার মধ্যে শ্রীমদ্ভগবদ গীতাপাঠ ও সমবেত প্রার্থনা,জগন্নাথ দেবের পূজা ও ভোগ নিবেদন,গোধূলী লগ্নে গঙ্গা আহব্বানের মাধ্যমে মহানামযজ্ঞের শুভ অধিবাস ও মনোজ্ঞ ধর্মীয় সংগীতানুষ্টানসহ এক মহতী ধর্মসভা অনুষ্টিত হয়েছে।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট সমাজসেবক ও চট্টগ্রাম মহানগরীর উওর হালিশহর এলাকার স্বনামধন্য রয়েল কমিনিটি চক্ষু হাসপাতাল ব্যবস্হপনা পরিচালক লায়ন ডা: নারায়ন চন্দ্র নাথ,অনুষ্টানের উদ্ভোধক অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন পাঁচরিয়া তপোবন আশ্রমের অধ্যক্ষ বিশিষ্ট বক্তা শ্রীমৎ স্বামী রবীশ্বরানন্দ পুরী মহারাজ,প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ গীতা শিক্ষা কমিঠির প্রতিষ্টাতা সাধারন সম্পাদক বিশিষ্ট ধর্মীয় গীতা সুধাকার বাবু পলাশ কান্তি নাথ রনি,মহান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন এস.কে.নাথ শ্যামল। জগন্নাথ মন্দির পরিচালনা পরিষদের সভাপতি বাবু অটল কান্তি নাথের সভাপতিত্ব এবং সাধারন সম্পাদক বিবেকানন্দ নাথের সঞ্চালনায় অনুষ্টিত সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সমাজসেবক নুকুল চন্দ্র নাথ,সমাজসেবক বাবু এন্টন দাশ,শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন সমাজসেবক বিচিত্র রঞ্জন নাথ,স্বাগত বক্তব্য রাখেন এডভোকেট স্বপন কুমার নাথ,ধর্মীয় আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন মিলন কান্তি নাথ,সম্মানিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য বক্তব্য রাখেন মেম্বার মো: লুৎফু রহমান লুতু।
মঞ্চ সমাসীন পরম জগন্নাথ ভক্ত হিসেবে উপস্হিত ছিলেন সমাজসেবক বাবুল চন্দ্র নাথ,অবসর প্রাপ্ত শিক্ষক বাবুল চন্দ্র নাথ,নিমাই চন্দ্র নাথ,রাস মোহন নাথ,সাংবাদিক অরুন কান্তি নাথ,প্রদীপ কুমার নাথ,খোকন কান্তি নাথ।
মঞ্চে সমাসীন অতিথি বৃন্দকে ফুলেল শুভেচ্ছায় বরন করে নেন মন্দির পরিচালনা পরিষদের অর্থ সম্পাদক তপন কান্তি নাথ,সহ সম্পাদক রূপন কান্তি নাথ,মিন্টু কান্তি নাথ,রনি নাথ,উফল দেব নাথ,মাইকেল নাথ,খোকন নাথ,উজ্বল দেব নাথ প্রমুখ।
এ ছাড়া মহানামযজ্ঞের শুভ অধিবাসের পৌরহিত্য করেন বৈষ্ণব প্রবর স্বপন গোশ্বামী,অধিবাস কীর্তন পরিবেশন করেন কীর্তনীয়া দল প্রভু ভক্ত সম্প্রদায়।অষ্টপ্রহর ব্যাপী এ মহানামযজ্ঞে শ্রীনামসূধা পরিবেশনায় ছিলেন দেশের বিশিষ্ট কীর্তনীয়া সম্প্রদায়।
সোমবার(১৭ই নভেম্বর)এসব মাঙ্গলিক অনুষ্টান শেষে দিবারাত গতে ভোর উষালগ্নে অষ্টপ্রহরব্যাপী মহানামযজ্ঞের শুভারম্ব হয়ে বুধবার(১৯শে নভেম্বর)ভোর উষালগ্নে এই মহানাম সংকীর্তনের পূর্ণাহুতি ও মঙ্গলদধি বিতরনের মাধ্যমে অনুষ্টানের সমাপ্তি ঘটে।
উল্লেখ্য দুই দিন ব্যাপী এ অনুষ্টানে দিবা-রাত্রি ভক্তদের মাঝে আনন্দবাজারে মহাপ্রসাদ বিতরন হয়েছে।