রবিউল হাসান, নোয়াখালী:
নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলায় কর্মরত সাংবাদিক জসিম উদ্দিনকে একটি মামলায় ওয়ারেন্ট দেখিয়ে আটক করে আদালতে প্রেরণ করেছে সেনবাগ থানা পুলিশ। পরবর্তীতে শনিবার (১৮ অক্টোবর) সকালে তাকে নোয়াখালী থেকে বরিশালে পাঠানো হয়।
গত বুধবার (১৬ অক্টোবর) বিকেলে সেনবাগ থানা পুলিশ সোনাইমুড়ী শহরের ভাড়াবাসা থেকে সাংবাদিক জসিম উদ্দিনকে গ্রেফতার করে। তিনি দৈনিক স্বদেশ প্রতিদিন পত্রিকার সোনাইমুড়ী উপজেলা প্রতিনিধি এবং উপজেলার নদনা ইউনিয়নের কালুয়াই গ্রামের মৃত আবদুল জলিলের ছেলে।
তার স্ত্রী ছালেহা বেগম এই ঘটনাকে পরিকল্পিত বলে অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, তার স্বামী কখনো বরিশাল যাননি এবং সেখানে কোনো অপরাধের সাথে জড়িত নয়। তার বিরুদ্ধে মামলা হওয়ার কোনো কারণ নেই। তাছাড়া জসিমের ঠিকানা সোনাইমুড়ীতে হলেও সেনবাগের ঠিকানায় তার বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট জারি হওয়াটা পরিকল্পিত। বিভিন্ন সময়ে অপরাধীদের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশের জেরেই কোনো অপরাধী চক্রান্ত করে বরিশাল আদালতে তার বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে হয়রানি করছে।
বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) সাংবাদিক জসিম উদ্দিনকে নোয়াখালী চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তোলা হয়। এসময় তার পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট শাকিল আহমেদ জামিন আবেদন করলে আদালত জামিন না মঞ্জুর করেন।
সাংবাদিক জসিম উদ্দিনকে এভাবে ‘অদৃশ্য’ মামলায় আটক করে ভিন্ন জেলার কারাগারে পাঠানোয় স্থানীয় সাংবাদিক মহলে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
সেনবাগ থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ আলী জানান, ২০১৯ সালের সিআর ১৭৪ নং মামলার গ্রেফতারি পরোয়ানা থাকায় তাকে আটক করা হয়েছে। তবে এই মামলার ওয়ারেন্টে তার পিতার নাম ‘অজ্ঞাত’ দেখানো হয়েছে এবং ঠিকানা হিসেবে সেনবাগ উপজেলার ছাতারফাইয়া ইউনিয়নের বিরামপুর গ্রামে তার শ্বশুরবাড়ির ঠিকানা উল্লেখ করা হয়েছে।
সোনাইমুড়ী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোরশেদ আলম জানিয়েছেন, সেনবাগ থানা পুলিশ সোনাইমুড়ীতে অভিযান পরিচালনার জন্য তাদের কাছে লিখিত কোনো অনুমতি বা স্থানীয় পুলিশের সহায়তা চায়নি।