মোহাম্মদ আনিছুর রহমান ফরহাদ, ব্যুরো চীফ
সচেতন হলে ব্রেস্ট ক্যান্সার প্রতিরোধ সম্ভব: মেয়র ডা. শাহাদাত চসিক মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, ব্রেস্ট ক্যান্সার নারীদের মধ্যে অন্যতম প্রাণঘাতী রোগ হলেও সময়মতো স্ক্রিনিং, পরামর্শ ও চিকিৎসা গ্রহণ করলে এটি সম্পূর্ণ নিরাময়যোগ্য।
বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) চট্টগ্রামের পার্কভিউ হসপিটাল লিমিটেড-এর উদ্যোগে এক সচেতনতামূলক বৈজ্ঞানিক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন পার্কভিউ হসপিটালের সিনিয়র কনসালট্যান্ট (সার্জারি বিভাগ) ডা. এ কে এম ফজলুল হক।তিনি বলেন, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন স্বাস্থ্যখাতে ক্লিন, গ্রিন ও হেলদি সিটি গঠনে কাজ করছে। ব্রেস্ট ক্যান্সার সচেতনতার প্রতীক হিসেবে নগরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থান গোলাপি আলোয় আলোকিত করা হয়েছে। যেমন- মেডিকেল কলেজ চত্বর থেকে প্রবর্তক মোড়, সার্কিট হাউস এলাকা ও চট্টেশ্বরী এলাকা পর্যন্ত। প্রথমদিকে অনেকে এটি উৎসব ভেবেছিল, কিন্তু পরে সবাই বুঝেছে এটি ব্রেস্ট ক্যান্সার সচেতনতার প্রতীক। এতে সাধারণ মানুষও এ রোগ সম্পর্কে জানছে এবং আগেভাগে চিকিৎসা গ্রহণে উৎসাহিত হচ্ছে। নারীদের মধ্যে সচেতনতা বাড়ানো অত্যন্ত জরুরি, কারণ অনেকেই সংকোচবশত প্রাথমিক অবস্থায় চিকিৎসা নেন না। সময়মতো পদক্ষেপ নিলে ব্রেস্ট ক্যান্সারসহ অন্যান্য রোগও প্রতিরোধ করা সম্ভব।
মেয়র জানান, পার্কভিউ হসপিটালের এই উদ্যোগ নারীর স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধিতে প্রশংসনীয় ভূমিকা রাখবে। চট্টগ্রামে ক্যান্সার চিকিৎসা আরও সহজলভ্য করতে বাকলিয়ায় একটি বৃহৎ ক্যান্সার হাসপাতাল স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।
এছাড়া তিনি টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন সম্পর্কে বলেন, আগামী ১২ অক্টোবর থেকে নয় মাস থেকে ১৫ বছর বয়সী প্রায় ৮ লাখ ২৭ হাজার শিশুকে বিনামূল্যে টাইফয়েড ভ্যাকসিন প্রদান করা হবে। এই ভ্যাকসিন সম্পূর্ণ বিনামূল্যে দেওয়া হবে, যা বাইরে প্রায় ১৪০০ থেকে ১৫০০ টাকা খরচে পাওয়া যায়। আমরা চাইনগরের প্রতিটি শিশু এই টিকাদান কর্মসূচির আওতায় আসুক।
অনুষ্ঠানে অনকোলজিস্ট ডা. ফজলে রাব্বি রিয়াদ এর সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন অধ্যাপক ডা. এম এ আউয়াল। প্রধান প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন অনকোলজিস্ট ডা. শেফাতুজ্জহান এবং রেডিওলজি কনসালট্যান্ট ডা. উম্মে ইফাত সিদ্দীকি।
বক্তারা ব্রেস্ট ক্যান্সারের প্রাথমিক লক্ষণ, প্রতিরোধ ও নিয়মিত স্ক্রিনিংয়ের গুরুত্ব তুলে ধরেন। তারা বলেন, নারীদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি ও সময়মতো চিকিৎসা গ্রহণই পারে ব্রেস্ট ক্যান্সারজনিত মৃত্যুহার উল্লেখযোগ্যভাবে কমাতে।