জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী
চন্দনাইশ প্রতিনিধি:-
চন্দনাইশ পৌরসভার মধ্যবর্তী বরুমতি খালের পাড়ে নির্মিত প্রয়াত প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের বৈঠকখানার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন চট্টগ্রাম সিটি মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন। আজ শুক্রবার বাদে জুমা বৈঠকখানা উদ্বোধনকালে তিনি বলেন ১৯৮০ সাল শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান খাল খননসহ ১৯ দফা কর্মসূচি ঘোষণা করেছিলেন। সেই ধারাবাহিকতায় চন্দনাইশে বরুমতি খাল পূণঃখননের মাধ্যমে এই এলাকায় কৃষি উন্নয়নে অবদান রেখেছিলেন। তাঁর খাল খনন কর্মসূচির মাধ্যমে কৃষকদের স্বাবলম্বী করার পাশাপাশি কৃষি ক্ষেত্রে উন্নয়নের লক্ষ্যে এই কর্মসূচি ছিল একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ। বর্তমানে কৃষির উন্নয়নের জন্য বিভিন্ন খাল খনন করা হবে। বিএনপি ক্ষমতায় আসলে বরুমতি খালকে পুনঃখননের জন্য পদক্ষেপ নেয়ার পাশাপাশি খালের পাড়ে সড়ক দুইটি সংস্কার করা হবে বলে জানান। উপজেলার বিএনপির উদ্যোগে সিটি মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেনের অর্থায়নে ৫ লক্ষাধিক টাকা ব্যয়ে জিয়ার স্মৃতি বিজড়িত বৈঠকখানাটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়। এ সময় অন্যান্যদের উপস্থিত ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ডা. মহসিন জিল্লুর করিম, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক মো. ইদ্রিস মিয়া, জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাকালীন যুগ্ম সম্পাদক সাবেক বিচারপতি আবদুস সালাম মামুন, দক্ষিণ জেলা বিএনপি নেতা মো. ইখতিয়ার হোসেন, জসিম উদ্দিন, সিআইপি খন্দকার হেলাল উদ্দিন, দক্ষিণ জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক মনজুর আলম তালুকদার, বিএনপি নেতা যথাক্রমে সিরাজুল ইসলাম, শহিদুর রহমান খাঁন, বাহাউদ্দীন চৌধুরী, সাইফুল করিম, আরিফুর রহমান মারুফ, জহুরুল আলম শহীদ, অলি হোসেন মুন্সি, মোরশেদুল আলম, প্রকৌশলী আমিনুল ইসলাম, আবু ছালেক, মুজিবুর রহমান, হাবিবুর রহমান, নাজিম উদ্দিন, সেলিম উদ্দীন, যুবদল নেতা যথাক্রমে আজম খাঁন, সেলিম আল দ্বীন, বখতিয়ার, মাহাবুবুল করিম সোহেল, মোনায়েম খাঁন, জাহাঙ্গীর আলম, মো. আবু সিদ্দিক, সাইফুল ইসলাম, মো. সোলেমান, আবদুস সাত্তার সানি, আরজু মিয়া, সেলিম উদ্দিন প্রমুখ।
জানা যায়, ১৯৮০ সালে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বরুমতি খাল পুণঃ খনন কাজের উদ্বোধন করে বরুমতি খালের পাড়ে সে সময় নির্মিত বৈঠকখানায় বসেছিলেন। কালের বিবর্তনে বৈঠকখানাটি হারিয়ে যায়। বৈঠকখানাটি আধুনিকভাবে তৈরী করার উদ্যোগ নিয়েছেন জেলা বিএনপি নেতা মো. ইখতেয়ার হোসেনসহ উপজেলা বিএনপি নেতৃবৃন্দ। সিটি মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেনের অর্থায়নে ৫ লক্ষ টাকা ব্যয়ে প্রায় ২ মাসে দৃষ্টিনন্দন বৈঠকখানাটি নির্মাণ করা হয়। বৈঠকখানার পাশাপাশি একটি ডিপ টিউবওয়েল স্থাপন করা হচ্ছে কৃষকদের পানি পান করার সুবিধার্থে। প্রয়াত প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের স্মৃতি বিজড়িত জিয়ার বৈঠকখানাটি পুৃনরায় স্থাপন করে একজন জনপ্রিয় প্রেসিডেন্টের স্মৃতিকে চন্দনাইশে হেরিটেজ হিসেবে তৈরি করা হচ্ছে।