1. info@www.dainikdeshbarta.com : bissho sangbad Online : bissho sangbad Online
  2. info@www.dainikdeshbarta.com : Dainik Desh Barta :
শুক্রবার, ২১ নভেম্বর ২০২৫, ০১:৫২ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
নিত্যপণ্যের বাজারে ভোক্তাদের স্বস্তি: চন্দনাইশে টিসিবি খোলা ট্রাকে পণ্য বিক্রি শুরু প্রথম দিনে পেলো ১ হাজার পরিবার সোনাইমুড়ীতে ফুটপাত দখলে ব্যবসায়িদের জরিমানা পটিয়ায় জিরি জগন্নাথ মন্দির বার্ষিক মহোৎসব উপলক্ষে ধর্মসভা,প্রধান অতিথি লায়ন ডা: নারায়ন নাথ কালুরঘাটে ট্রেন ত্রুটিতে যাত্রী ও যানবাহনের দুর্ভোগ জৈষ্ঠ্যেপুরা পাহাড়ে সাইক্লিস্টদের প্রকৃতি সফর বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমানের সঙ্গে বৈঠক করেছে বিশ্বব্যাংকের প্রতিনিধিদল ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভীকে পাঁচটি মামলায় গ্রেফতার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেছেন আদালত। মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে মৃ-ত্যুদণ্ড দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। এনবিআর সদস্য বদিউল আলমের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা নিষিদ্ধঘোষিত যুবলীগ ও ছাত্রলীগের ব্যানারে পুলিশের সামনেই প্রকাশ্যে মিছিল

বাউফলে ইউনিয়ন ভূমি অফিসে ঘুষের মহোৎসব

  • প্রকাশিত: শুক্রবার, ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
  • ৭৪ বার পড়া হয়েছে

সবুজ সরকার পটুয়াখালী

পটুয়াখালী বাউফল উপজেলার কালাইয়া ইউনিয়ন ভূমি অফিস যেন দুর্নীতির এক আখড়া। এখানে জমি সংক্রান্ত যেকোনো কাজ করতে গেলে সেবাপ্রার্থীদের ঘুষ দিতে বাধ্য করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। টাকা না দিলে বছরের পর বছর ঘুরেও কোনো কাজ সম্পন্ন হয় না।

সম্প্রতি এক ভুক্তভোগী মহাসিন পঞ্চায়েত অভিযোগ করেন, তিনি টানা তিন থেকে চার বছর ধরে তার জমির খাজনা (ভূমি উন্নয়ন কর) দিতে পারেননি শুধুমাত্র স্থানীয় উপসহকারী ভূমি কর্মকর্তা মো. তরিকুল ইসলামের অনিয়ম ও ঘুষ দাবির কারণে।

মহাসিন পঞ্চায়েত জানান, তার ১২৩ জেল ও ১৩৫৩ নং খতিয়ানের খাজনা পরিশোধ করতে গিয়ে তিনি বারবার কালাইয়া ইউনিয়ন ভূমি অফিসে ঘুরেছেন। তিনি বাইরে থেকে অনলাইনে খাজনা পরিশোধ করতে চেয়েও পারেন নি। কিন্তু অফিসে গিয়ে জমা দিতে গেলে কর্মকর্তারা বলেন, বাইরে থেকে দিলে হবে না, আমাদের এখান থেকে অনলাইন করতে হবে। দলিলের দাগ দিতে হবে, পর্চা দিতে হবে। এরপর জানানো হয়, প্রতি খতিয়ান ১,৫০০ টাকা করে দিতে হবে। মহসিন বলেন’ “আমার চারটি খতিয়ান থাকায় মোট ৬,০০০ টাকা দিতে হবে। না দিলে কাজ হবে না।”

তিনি আরও অভিযোগ করেন, “আমি অনেক অনুরোধ করেও শেষ পর্যন্ত বাধ্য হয়ে ১,৫০০ টাকা দিই। টাকা দেওয়ার পরই তরিকুল ইসলাম আমার ফাইল অনুমোদন করেন। অথচ সরকারি খাজনা আমি আমার নিজস্ব নগদ একাউন্ট থেকে পরিশোধ করেছি। কেবল কাজটি এগিয়ে নিতে তাদের ঘুষ দিতে হয়েছে। এ সময়ের ভিডিও প্রমাণ আমার কাছে রয়েছে।”

এছাড়াও ২০২৪ সালে করা একটি দলিল নিয়েও তাকে হয়রানি করা হয়েছে। তিনি বলেন- “আমি দলিল রেকর্ড মিটিশন শেষ করার পর খাজনা দিতে গেলে তরিকুল ইসলাম আমাকে জানান, দাখিলাটি ভুয়া এবং আমাকে ৩০-৩৫ বছরের খাজনা দিতে হবে। এতে আমার ওপর ৮ হাজার টাকার বেশি খাজনা ধার্য হয়। এ কারণে আমি এখনো খাজনা দিতে পারেননি।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত উপসহকারী ভূমি কর্মকর্তা মো. তরিকুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, “আমি তার কাছ থেকে ১,৫০০ টাকা নিয়েছি। ওই টাকা দিয়ে আমি তার খাজনা পরিশোধ করেছি। আমি কারও কাছে ঘুষ দাবি করিনি। বাইরে থেকে লোকজন এনে কাজ করাতে হয় বলে কিছু বাড়তি টাকা নেওয়া হয়েছে।”

তবে মহাসিনের দাবি, “আমি আমার খাজনার সরকারি টাকা নিজেই নগদ একাউন্ট থেকে দিয়েছি। তারা কেবল ঘুষ নিয়েছে।”

কালাইয়া ইউনিয়নের একাধিক সাধারণ ভূমি সেবাগ্রহীতাও অভিযোগ করেন, এই অফিসে টাকা ছাড়া কোনো কাজই করা যায় না। “১০০ টাকার কাজ করতে গেলে ২ হাজার টাকা ঘুষ দিতে হয়, নইলে বছরের পর বছর ঘুরতে হয়।

বাউফল উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) বলেন, “এরকম তো হওয়ার কথা না, আমি বিষয়টি গুরুত্বের সাথে দেখছি।প্রমাণিত হলে অভিযুক্ত উপ-সহকারী ভূমি কর্মকর্তা তরিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

স্থানীয়রা বলছেন, ভূমি অফিসের দুর্নীতি ও ঘুষ বাণিজ্যের কারণে সাধারণ মানুষ বছরের পর বছর ভোগান্তিতে পড়ছেন। বিষয়টি তদন্ত করে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তারা।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট