রবীন্দ্র বন্দনা, কবিতা, গান, নৃত্য ও কথামালার মধ্য দিয়ে আজ ৯ মে, শুক্রবার সন্ধ্যায় প্রত্যয় শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক একাডেমির পক্ষ থেকে উদযাপন করা হলো রবীন্দ্র জয়ন্তী।
প্রত্যয় শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক একাডেমির মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত রবীন্দ্র জয়ন্তী অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পটিয়া প্রেস ক্লাবের সভাপতি আবদুল হাকিম রানা, কবি ও প্রাবন্ধিক লায়ন মোহাম্মদ আবু সালেহ, মাবিলা এন্ড ছৈয়দ ফাউন্ডেশন এর চেয়ারম্যান এস এম হারুনুর রশীদ, আবৃত্তি শিল্পী ও প্রশিক্ষক রাজিউর রহমান বিতান, সমাজ সেবক শাহাদাত হোসাইন। বক্তব্য রাখেন সঙ্গীত শিল্পী শিবু মল্লিক, তবলা প্রশিক্ষক নিতাই পদনাথ, আবৃত্তি শিল্পী নীহারিকা পাল ও নৃত্য শিল্পী হৈমন্তী দে।
প্রত্যয়য়ের সদস্য এঞ্জেলিনা বড়ুয়া ও নাফিফা কাউসার ত্বাহীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে কথামালার শুরুতেই শুভেচ্ছা জানিয়ে বক্তব্য রাখেন প্রত্যয় শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক একাডেমির নির্বাহী পরিচালক আবদুল্লাহ ফারুক রবি।
বক্তারা বলেন, রবীন্দ্রনাথকে বিশ্বকবি বা মহাজ্ঞানী ভাবলে রবীন্দ্রনাথ আমাদের কাছে আপন হবে না। রবীন্দ্রনাথকে ভাবতে হবে বন্ধু হিসেবে, কাছের মানুষ হিসেবে। তবেই রবীন্দ্রনাথ আবেগ, ভালোবাসা ও চিরন্তন সত্য হিসেবে আমাদের কাছে থাকবে। বাঙালি ও বাংলা ভাষাকে বিশ্বের দরবারে তুলে ধরেছেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। তিনি বাংলা গান, সাহিত্য ও শিল্পকর্মকে পৃথিবীর কাছে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। রবীন্দ্রনাতের চেতনা মানুষকে বরাবরই আলোর পথ দেখিয়ে যাবে।
অনুষ্ঠানে একে একে ২১ জন শিল্পী রবীন্দ্রনাথের কবিতা আবৃত্তি করেন। ১২ জন শিল্পী রবীন্দ্র সঙ্গীত পরিবেশন করেন। সেই সাথে দলীয় আবৃত্তি, সঙ্গীত ও নৃত্য পরিবেশন করেন প্রত্যয় শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক একাডেমির শিক্ষার্থীরা।