1. info@www.dainikdeshbarta.com : bissho sangbad Online : bissho sangbad Online
  2. info@www.dainikdeshbarta.com : Dainik Desh Barta :
শনিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১০:২৫ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
নোয়াখালীতে ১৩টি ইটভাটা গুঁড়িয়ে দিল প্রশাসন, ১১ লাখ টাকা জরিমানা বোয়ালখালীতে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ ও লাইসেন্স ব্যতীত পশুখাদ্য বিপণনকারী ৩টি প্রতিষ্ঠানকে অর্থদণ্ড তরমুজ প্রদর্শণীর উপর বোয়ালখালীতে কৃষকের মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত পশ্চিম পটিয়া টেম্পু, রিক্সা, সিএনজি শ্রমিক সমিতির নির্বাচন সম্পন্ন, সভাপতি- আঃ করিম, সম্পাদক- সোলাইমান নোয়াখালীর সুবর্ণচরে দেশীয় অস্ত্রসহ ডাকাত আবুল কালাম সফি ওরুফে (সফি বাতাইন্না) আটক চন্দনাইশে হযরত হাকিম শাহ্ মাইজভান্ডারী(ক.)’র বার্ষিক ওরশ শরীফ সম্পন্ন শোক সংবাদঃ এ.এস.আই জাকের হোসেন চৌধুরী নোয়াখালীতে প্রধান শিক্ষকের অপসারণ চেয়ে শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ দুইশ বছরের ঐতিহ্যবাহী সূর্যব্রত মেলায় মানুষের ভিড় চন্দনাইশ হারলাতে স্বপ্নচূড়া স্পোর্টস একাডেমির ফুটবল টুর্ণামেন্ট সম্পন্ন

৮ দফা দাবি আদায়ে ঐতিহাসিক লালদিঘীর মাঠে গণসমাবেশে মানুষের ঢল।

  • প্রকাশিত: শুক্রবার, ২৫ অক্টোবর, ২০২৪
  • ১০৪ বার পড়া হয়েছে

পলাশ সেন। চট্টগ্রাম প্রতিনিধিঃ

গত ৫ আগস্ট ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানের পর দেশব্যাপী মন্দির, হিন্দু বাড়িঘরে হামলা, শিক্ষকদের জোর করে পদত্যাগের প্রতিবাদে এবং ৮ দফা দাবি বাস্তবায়নের চট্টগ্রামে আয়োজিত সনাতন ধর্মাবলম্বীদের গণসমাবেশটি এই অঞ্চলে স্মরণ কালের অন্যতম বৃহত সমাবেশে পরিণত হয়েছে।

গণসমাবেস্থল থেকে প্রতিটি জেলায় মহাসমাবেশ করার কর্মসূচি ঘোষণা দিয়েছে সনাতন জাগরণ মঞ্চ।
শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) বিকালে  চট্টগ্রামের ঐতিহাসিক লালদিঘি ময়দানে বাংলাদেশ সনাতন জাগরণ মঞ্চের গণসমাবেশে চট্টগ্রাম শহর ও জেলার বিভিন্ন উপজেলা, কক্সবাজার এবং তিন পার্বত্য জেলা থেকে সনাতনীরা মিছিল নিয়ে অংশগ্রহণ করেন। এক পর্যায়ে গণসমাবেশস্থল লালদিঘির মায়দান কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে জনস্রোত ছড়িয়ে পড়ে কোতয়ালি থানার মোড় থেকে আন্দরকিল্লা, সিনেমা প্যালেস পর্যন্ত পর্যন্ত৷

সকাল থেকে বিভিন্ন স্থান থেকে সনাতনীরা মিছিল সহকারে লালদিঘী এলাকায় সমবেত হতে শুরু করেন৷ এসব মিছিল থেকে ‘একদফা একদাবি ৮ দফা মানতে হবে’, ‘প্রশাসন নীরব কেন? জবাব চাই দিতে হবে’, ‘আমার মায়ের কান্না… বৃথা যেতে দিব না’, ‘আমার দেশ সবার দেশ, বাংলাদেশ বাংলাদেশ’, ‘রক্তে আগুন লেগেছে, সনাতনীরা জেগেছে’, ‘লড়াই লড়াই লড়াই চাই লড়াই করে বাঁচতে চাই’, জয় শ্রীরাম সহ বিভিন্ন স্লোগান দিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করা হয়।

বাংলাদেশ সনাতন জাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ও পুন্ডরীক ধামের অধ্যক্ষ চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর সভাপতিত্বে এবং স্বতন্ত্র গৌরাঙ্গ দাস ব্রহ্মচারীর সঞ্চালনায় গণসমাবেশে বক্তব্য রাখেন শংকর মঠ ও মিশনের অধ্যক্ষ শ্রীমৎ তপনান্দ গিরি মহারাজ, পটিয়া পাচোরিয়া তপোবন আশ্রমের অধ্যক্ষ শ্রীমৎ রবীশ্বরানন্দ পুরী মহারাজ, ইসকন প্রবর্তক শ্রীকৃষ্ণ মন্দিরের অধ্যক্ষ লীলারাজ গৌর দাস ব্রহ্মচারী, বাঁশখালী ঋষিধামের মোহন্ত সচিদানন্দ পুরী মহারাজ, শ্রীমৎ মুরারী দাস বাবাজী, তপোবন আশ্রমনের অধ্যক্ষ শ্রীমৎ প্রাঞ্জলানন্দ পুরী মহারাজসহ সাংবাদিক, আইনজীবী, শিক্ষকসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ।

বক্তারা বলেন, স্বাধীনতার ৫৩ বছরে সনাতনীরা শুধু অবহেলিত ছিল। সরকার আসে সরকার যায় কিন্তু সনাতনীদের ভাগ্য বদলায় না। যেই সরকার ক্ষমতায় থাকে তারা সনাতনীদের দুঃখ দুর্দশাকে লুকানোর চেষ্টা করে। সনাতনীদের সঙ্গে হওয়া অন্যায়, নির্যাতন, খুনের কোনো বিচার হয়নি।
বিচারহীনতার সংস্কৃতির কারণে অপরাধীরা বারবার এই ধরণের ঘটনা করতে উৎসাহিত হয়েছে। প্রতিবার ভোট পরবর্তী বা ক্ষমতার পালাবদলের সময় নির্যাতনের খড়গ নেমে আসে হিন্দুদের ওপর। সেটা কেন হবে? কারা দোষী? কারা এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত? তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হলেতো বেরিয়ে আসবে কারা সাম্প্রদায়িক ঘটনার সঙ্গে জড়িত? কেন সরকার সাম্প্রদায়িক ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তার করছে না।

দূর্গাপূজায় ছুটির দাবী প্রসঙ্গ তুলে বক্তারা বলেন, অন্তবর্তীকালীন সরকারকে আমরা ধন্যবাদ দিতে চাই। তারা দুর্গাপূজায় ১ দিন ছুটি বাড়িয়েছে। তবে সেটি পর্যাপ্ত নয়। আমরা চেয়েছি ৫ দিনের ছুটি। সেখানে মাত্র ২দিন ছুটি কেন? যেই বৈষম্যের বিরুদ্ধে লড়তে গিয়ে এদেশের ছাত্র জনতা প্রাণ দিয়েছে সেখানে আবার বৈষম্য হবে কেন? ক্ষতিগ্রস্ত সনাতনীদের ক্ষতিপূরণ এবং রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাপনায় সংস্কার করার কথা বলেছে সরকার। এটি খুবই ইতিবাচক। খুব দ্রুত এই বিষয়ে কার্যকর প্রদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত। এছাড়া ৮ দফা দাবি মেনে নেওয়া কঠিন কিছু নয়। এই সরকার যদি সনাতনীদের ৮ দফা মেনে নেয়। তবে সনাতনীরা আজীবন কৃতজ্ঞ থাকবে।
সনাতনীরা আন্দোলন সংগ্রাম করতে জানে, অধিকার আদায়ও করতে জানে। প্রধান উপদেষ্টা শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন। তিনি যেন সনাতনীদের জন্য শান্তির একটি দেশ প্রতিষ্ঠা করতে পারে সেই আশা করবো আমরা।

উল্লেখ্য, সনাতন সম্প্রদায়ের উত্থাপিত আট দফা দাবিগুলো হচ্ছে ,

১. সংখ্যালঘু নির্যাতনের বিচারের জন্য দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল গঠন করে দোষীদের দ্রুততম সময়ে উপযুক্ত শান্তি প্রদান , ক্ষতিগ্রস্থদের যথাপোযুক্ত ক্ষতিপূরণ প্রদান ও পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করতে হবে।

২. অনতিবিলম্বে সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন প্রনয়ন করতে হবে।

৩. সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রণালয় গঠন করতে হবে।

৪. হিন্দুধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টকে হিন্দু ফাউন্ডেশনে উন্নীত করতে হবে। পাশাপাশি বৌদ্ধ ও খ্রিষ্টানধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টিকেও ফাউন্ডেশনে উন্নীত করতে হবে।

৫. দেবোত্তর সম্পত্তি পুনরুদ্ধার ও সংরক্ষণ আইন প্রণয়ন এবং অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পন আইন’ যথাযথ বাস্তবায়ন করতে হবে।

৬. প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সংখ্যালঘুদের জন্য উপাসনালয় নির্মাণ এবং প্রতিটি হোস্টেলে প্রার্থনা রুম বরাদ্দ
করতে হবে।

৭. সংস্কৃত ও পালি শিক্ষা বোর্ড, আধুনিকায়ন করতে হবে।

৮. শারদীয় দুর্গাপুজায় ৫ দিন ছুটি দিতে হবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট