রবিউল হাসান, নোয়াখালী:
নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে ২ গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষের ঘটণা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত, মোটরসাইকেল সহ ৪০ টি দোকান ভাংচুর-লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে।
ঘটণাটি ঘটেছে মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) রাত ১০ টার দিকে উপজেলার নদনা বাজারে। তবে বুধবার (১০ ডিসেম্বর) সকাল ৯ টা থেকে র্যাব সহ অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
বুধবার (১০ ডিসেম্বর) সকাল ১০ টার দিকে সরেজমিনে গেলে স্থানীয়রা জানান, বিগত ৪ বছর পূর্বে থেকে সোনাইমুড়ীর নদনা ইউনিয়নের উত্তর শাকতলা ও দক্ষিণ শাকতলা গ্রামের মধ্যে তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে বিরোধ সৃষ্টি হয়। এই ঘটণাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে জড়িয়ে উভয় পক্ষ একে অপরের বিরুদ্ধে করা ৪ টি মামলা আদালতে চলমান রয়েছে। গত ৫ ডিসেম্বর উপজেলার নদনা বাজারে একটি অনুষ্ঠানে চেয়ারে বসা নিয়ে ২ গ্রামের যুবকদের মধ্যে ধাক্কাধাক্কি হয়। এ নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। ৬ ডিসেম্বর বেলা ১১ টার দিকে উত্তর শাকতলার হৃদয় নামের এক যুবককে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে মারাত্নক যখম করা হয়। ৮ ডিসেম্বর রাত ৮ টার দিকে দক্ষিণ শাকতলার পল্লী চিকিৎসক গিয়াস উদ্দিনের মোটরসাইকেলে আগুন লাগিয়ে দেয়, রিপনের সেলুন, বাবুলের ফল দোকান, জহিরের বাড়ি ভাংচুর ও লুটপাট করা হয়।
মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) রাত ১০ টার দিকে পল্লী চিকিৎসক গিয়াস উদ্দিনের ঔষধ, জামালের কসমেটিকস, মহারাজের ফাস্টফুড, সুমন ইলেকট্রনিক, জামাল ও মহিনের মোবাইল, তাহেরের কাপড়, আনোয়ারের মুদি, ফিরোজের ওয়ার্কশপ, মহিন পাটোয়ারী মুদি দোকান সহ মা ইলেকট্রনিক এন্ড টেলিকম, ফোরকান সু স্টোরে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে ভাংচুর-লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করে। রাত ১২ টার দিকে খবর পেয়ে সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
স্থানীয় ব্যবসায়ী মহিন ও বাবুল অভিযোগ করে জানান, গত কয়েক দিন ধরে ২ গ্রামের মধ্যে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে সংঘর্ষ লেগে আছে। খবর দেওয়ার পরও পুলিশ সময়মতো আসে না। এ পর্যন্ত কাউকে আটকও করা হয়নি। বাজারের নিরীহ ব্যবসায়ীদের মালামাল লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে।
সোনাইমুড়ী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কবির হোসেন বলেন, এ ঘটণায় থানায় একটি মামলা দায়ের কারা হয়েছে। অপরাধীদের প্রেফতারের চেষ্টা চলছে। তবে, ঐ এলাকার পরিস্থিতি এখন শান্ত।
লায়ন মোঃ আবু ছালেহ্ সম্পাদিত ও হাজী জসিম উদ্দিন প্রকাশিত