রবিউল হাসান, (সোনাইমুড়ী) নোয়াখালী:
নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলাধীন দেওটি ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্রটি ডাক্তার ও ঔষধ ছাড়াই চলছে। এতে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে রোগীদের।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, ভিজিটর শাহিন আক্তার রয়েছেন পুরো স্বাস্থ্য কেন্দ্রের দায়িত্বে। সপ্তাহে ২ দিন মাঠ পর্যায়ে এবং ১ দিন পার্শ্ববর্তী আমিশাপাড়া ইউনিয়নের পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের মানিক্যনগর সেন্টারে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করেন তিনি। ঔষধ না পেয়ে এবং সপ্তাহে ৩ দিন স্বাস্থ্য কেন্দ্রটি বন্ধ পেয়ে দৈনিক ফিরে যাচ্ছে ৩০-৪০ জন রোগী। গর্ভবতী মায়েদের সন্তান প্রসবের প্রচুর চাহিদা থাকলেও নেই মিডওয়াইফ পদে জনবল। উপায় না পেয়ে এ কাজটি মাঠ কর্মী নুর নাহারের সহযোগিতায় ভিজিটর শাহিন আক্তার করে থাকেন। ১২ বছর আগে মেডিক্যাল অফিসার পদে ডা. মাঈনুল ইসলাম থাকলেও এখন পর্যন্ত এই পদে আসেনি কেউ। এছাড়াও এখানে নেই আয়া ও পিয়ন।
স্থানীয়রা জানায়, স্বাস্থ্য কেন্দ্রে চিকিৎসার জন্য গিয়েও প্রয়োজনীয় চিকিৎসা এবং ঔষধ পান না তারা। তার মধ্যে সপ্তাহে ৩ দিন এই কেন্দ্রটি বন্ধ থাকে। এতে করে প্রতিদিন ৩০-৪০ জন রোগী সেবা না পেয়েই ফিরে যায়। এখানে শূণ্য পদগুলোতে জনবল নিয়োগের জন্য সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
এলার্জি রোগ নিয়ে সেবা নিতে আসা হুমায়ন কবির অভিযোগ করে বলেন, তিনি পরিবারসহ গত কয়েদিন থেকে এলার্জি রোগে ভুগছিল। এখন চিকিৎসা সেবার জন্য আসলেও চিকিৎসা এবং ঔষধ কিছুই পাইন নি। ডাক্তার ও ঔষধ না থাকায় প্রতিদিন ৩০-৪০ রোগী ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
সেবা নিতে আসা আরেক রোগী মহিন উদ্দিন বলেন, আমি আয়রন ও ক্যালসিয়ামের ঔষধের জন্য এসে বেশ কয়েকদিন ফিরে গিয়েছি। আজও ঔষধ না নিয়ে ফিরে যাচ্ছি। এই স্বাস্থ্য কেন্দ্রটি এভাবে চলতে থাকলে এখানকার অসচ্ছল মানুষগুলো কোথায় যাবে।
ভিজিটর শাহিন আক্তার সাংবাদিকদের বলেন, এই স্বাস্থ্য কেন্দ্রটিতে দির্ঘদিন ধরে মেডিক্যাল অফিসার নেই এবং অন্যান্য পদও খালি রয়েছে। ঔষধও আসেনা সরকারিভাবে। প্রতিদিন ৩০-৪০ জন সেবাগ্রহিতা এসে সেবা না পেয়ে ফিরে যায়। তিনি সপ্তাহে ২ দিন ফিল্ডের কাজে এবং ১ দিন আমিশাপাড়ার মানিক্যনগর সেন্টারে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করেন বলে জানান।