রবিউল হাসান, সোনাইমুড়ী (নোয়াখালী):
নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলায় সাত বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তার রেজাউল করিম বাদশা (২২) উপজেলার নদনা ইউনিয়নের উত্তর শাকতলা গ্রামের মো: ফয়েজের ছেলে। বাদশা ওই গ্রামে হরেক মালের দোকানদার।
সোনাইমুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ মোরশেদ আলম জানিয়েছেন, আসামীর নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রপ্তার করে পুলিশ। পরে তাকে জেলার চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে হাজির করা হলে বিচারক জেল হাজতে পাঠানোর আদেশ দেন।
ভুক্তভোগী শিশুটির বাড়ি নদনা ইউনিয়নের উত্তর শাকতলা গ্রামে। স্থানীয় জামি'আ আশরাফিয়া মাদ্রাসার ১ম শ্রেণির ছাত্রী সে। ঘটনার পর তাকে ২৫০ শয্যা নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
হাসপাতালে থাকা শিশুটির মা জানিয়েছেন, শনিবার বিকেলে শিশুটি বাড়ির পাশের দোকানে দই কিনতে যায়। দীর্ঘক্ষণ পর শিশুকে বিধ্বস্ত অবস্থায় ফিরতে দেখে মা কোলে নিয়ে দেখেন তার শরীরে ব্লেড দিয়ে কাটার মতো জখম এবং সেখান থেকে রক্ত বের হচ্ছে। পরে শিশুটি জানায়, দোকানে দোকানের শাটার টেনে বাদশা তাকে নির্যাতন করে। তাৎক্ষণিক তিনি বিষয়টি নিকটস্থ সেনা ক্যাম্পে অবহিত করে শিশুটিকে হাসপাতালে নিয়ে যান।
হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মামুন মোস্তাফিজ বলেন, ধর্ষণের শিকার হওয়ার অভিযোগ নিয়ে সাত বছরের শিশুটিকে অসুস্থ অবস্থায় জরুরি বিভাগে আনা হলে তাৎক্ষণিক তাকে ভর্তি করে ওয়ার্ডে স্থানান্তর করা হয়। ওয়ার্ডে তাকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দিয়ে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।
সোনাইমুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোরশেদ আলম বলেন, বিষয়টি জানার পর রাতেই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। এ ঘটনায় শিশুটির মা বাদী হয়ে থানায় মামলা করলে অভিযুক্ত রেজাউল করিম বাদশাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে আদালতের নির্দেশে তাকে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।
এদিকে সোমবার সকালে নোয়াখালী নারী অধিকার জোটের আহবায়ক রৌশন আক্তার লাকির নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল হাসপাতালে শিশুটিকে দেখতে যান। তারা শিশুটির চিকিৎসার খোঁজখবর নেন এবং এ ঘটনার শিশুটির পরিবারকে বিনামূল্যে আইনী সহায়তা দেয়ার আশ্বাস দেন। এ সময় নোয়াখালী নারী অধিকার জোটের সদস্য অ্যাভোকেট কল্পনা রানী দাস, নাছিমা মুন্নি, নুরজাহান রীনি ও সাহেদা পারভীন উপস্থিত ছিলেন।
লায়ন মোঃ আবু ছালেহ্ সম্পাদিত ও হাজী জসিম উদ্দিন প্রকাশিত