রবিউল হাসান, নোয়াখালী:
সারা দেশের মতো নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতেও পালিত হয়েছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ডাকা লকডাউন। তবে দেশের অন্যান্য জায়গায় গাড়ি ভাঙ্গচুর ও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটলেও এই অঞ্চলে এমন খবর পাওয়া যায়নি।
বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) দেখা যায় যানবাহন চলাচল আগের তুলনায় কম রয়েছে। সোনাইমুড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে এক ঝটিকা মিছিল করেছে আওয়ামী লীগ এবং তাদের অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। তবে, কোথাও অপ্রিতিকর ঘটণার খবর পাওয়া যায়নি।
বুধবার (১২ নভেম্বর) দিবাগত রাতে সোনাইমুড়ী বাইপাসে আওয়ামী লীগ সমর্থিততা টায়ার পোড়ালে স্থানীয় বিএনপি'র নেতা-কর্মীরা ধাওয়া দিলে তারা পালিয়ে যায়। বজরা দিঘীরজান এলাকায় আ.লীগের সমর্থিতরা টায়ার পোড়ানোর চেষ্টা করলে বিএনপি সমর্থিতরা ধাওয়া দিলে তারাও পালিয়ে যায়।
বুধবার (১২ নভেম্বর) দিবাগত রাতে উপজেলার জয়াগ ও আমিশাপাড়া বাজারে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে মিছিল করে বিএনপি সমর্থিতরা।
বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) সোনাইমুড়ী বাজারে বেলা ১১ টার দিকে আওয়ামী লীগ ঘোষিত লকডাউন বিরোধী মিছিল করে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) এবং তাদের অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠণের নেতা-কর্মীরা। এই মিছিলে অংশগ্রহণ করেন উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক জসিম উদ্দিন, উপজেলা সেচ্ছাসেবকদল আহ্বায়ক নুর মোহাম্মদ মিলন, পৌর যুবদলের সদস্য সচিব তাজুল ইসলাম চৌধুরী, উপজেলা যুবদল যুগ্ন আহ্বায়ক ছোট জসিম উদ্দিন, পৌর যুবদল যুগ্ন আহ্বায়ক মোস্তফা মিঠন, উপজেলা ছাত্রদল সদস্য সচিব নুর মোহাম্মদ সাদ্দাম, পৌর ছাত্রদল সদস্য সচিব সজিব, সোনাইমুড়ী কলেজ ছাত্রদল সভাপতি জাবেদ হোসেন, দেওটি ইউনিয়ন সেচ্ছা সেবকদল আহ্বায়ক ফরহাদ হোসেন সুজন, দেওটি ইউনিয়ন সেচ্ছা সেবকদল সদস্য সচিব রিপন হোসেন, বজরা ইউনিয়ন সেচ্ছা সেবকদল সদস্য সচিব মো. কামাল হোসেন প্রমুখ।
সোনাইমুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মোরশেদ আলম জানান, আওয়ামী লীগ সমর্থ ঝটিকা মিছিল এবং টায়ার পোড়ানো চেষ্টা কালে কাউকে আটক করা যায়নি।
লায়ন মোঃ আবু ছালেহ্ সম্পাদিত ও হাজী জসিম উদ্দিন প্রকাশিত