রবিউল হাসান, নোয়াখালী:
নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলায় জলাবদ্ধতা নিরসন ও কৃষি জমিতে সেচ সুবিধা বৃদ্ধির লক্ষ্যে চলমান খাল খনন কার্যক্রমের অংশ হিসেবে উচ্ছেদ করা হচ্ছে অবৈধ স্থাপনা।
এই প্রক্রিয়ার আওতায় সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) ভেঙে ফেলা হয়েছে সোনাইমুড়ী বাজারের রেললাইনের পূর্ব পাশে অবস্থিত কালা মিয়ার পুরনো হোটেল।
দীর্ঘদিন ধরে সরকারি খালের জায়গা দখল করে পরিচালিত হয়ে আসা হোটেলটি সম্প্রতি স্থানীয় প্রশাসনের নজরে আসে। পরে পানি উন্নয়ন বোর্ডের খাল পুনঃখনন প্রকল্পের অধীনে সেটি উচ্ছেদ করা হয়।
দুই দশকের বেশি সময় ধরে হোটেলটি পরিচালনা করে আসছিলেন কালা মিয়া। হোটেলটি ভেঙে ফেলার সময় চোখে পানি নিয়ে তিনি বলেন, এই হোটেলই আমার জীবিকার একমাত্র অবলম্বন ছিল। হঠাৎ করে সবকিছু হারিয়ে আমি বাকরুদ্ধ। তবে যদি এটা সরকারি জায়গা হয়, তাহলে আমার কিছু বলার নেই। শুধু চাই, ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে কেউ যেন দাঁড়ায়।
উচ্ছেদ অভিযানের নেতৃত্বে থাকা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) নুর আল জান্নাত বলেন, সরকারি খাল ও জলাধার রক্ষা এবং পরিবেশগত ভারসাম্য বজায় রাখার জন্য এ কার্যক্রম চলমান রয়েছে। অবৈধ দখলদারদের পূর্বেই নোটিশ প্রদান করা হয়েছিল। আজকের অভিযান পূর্বনির্ধারিত পরিকল্পনার অংশ।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, খালটি খননের ফলে বর্ষায় পানি নিষ্কাশন সহজ হবে এবং আশেপাশের কৃষিজমিতে সেচ সুবিধা বৃদ্ধি পাবে। তবে তারা ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের জন্য ক্ষতিপূরণ বা পুনর্বাসনের দাবিও তুলেছেন।
জানা গেছে, উত্তর ও পূর্ব দিকে প্রায় ২ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে খাল পুনঃখননের কাজ চলমান রয়েছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে সোনাইমুড়ী উপজেলার একাধিক ইউনিয়নের দীর্ঘদিনের জলাবদ্ধতা সমস্যার সমাধান হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
লায়ন মোঃ আবু ছালেহ্ সম্পাদিত ও হাজী জসিম উদ্দিন প্রকাশিত