রবিউল হাসান, নোয়াখালী:
নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলার আমিশাপাড়া ইউনিয়নে নবম শ্রেণীর ১ শিক্ষার্থীকে আহরণ করে মুক্তিপণ দাবি করা হয়েছে।
শনিবার (০২ আগস্ট) বিকালে উপজেলার সোনাপুরে এই ঘটণা ঘটে।
জানা যায়, ১০ নং আমিশাপাড়া কৃষক উচ্চ বিদ্যালয় এর নবম শ্রেণীতে পড়ুয়া অপহরণকৃত ওই শিক্ষার্থীর মা শিরিন আক্তার (৪৭) বাদি হয়ে থানায় ১টি অভিযোগ দায়ের করেন। তার ছেলে আসিফ আকরাম (১৬) আমিশাপাড়া কৃষক উচ্চ বিদ্যালয়ে ৯ম শ্রেণির ছাত্র।
শনিবার দুপুর আনুমানিক ২ টার সময় আমিশাপাড়া কৃষক উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে সোনাপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণির ছাত্রদের সাথে ফুটবল খেলার প্রতিযোগীতায় অংশগ্রহন করে। খেলার শেষের দিকে আমিশাপাড়া কৃষক উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র বাদীর ছেলের বন্ধু ইমনের সাথে সোনাপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের একজন প্রতিযোগীর সাথে খেলার মাঠে ঝগড়া হয়। সেই বিষয়টি সোনাপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক নুর নবী বিষয়টি মিমাংসা করে দেয়।
খেলা শেষে বিকাল অনুমান ০৩.২০ মিনিটের সময় বাদীর ছেলে আসিফ আকরামকে মোবাইলে নদোনা স্কুলের মাঠে আরেকটা ফুলবল খেলার প্রতিযোগীতা আছে বলে একটি সিএনজিতে করে তার দুই বন্ধুসহ আমিশাপাড়া থেকে সোনাইমুড়ীর উদ্দেশ্যে রওয়ানা হলে ০৩.৪৫ মিনিটে সোনাপুর বাজারে পৌঁছলে ৪-৫ টি মোটর সাইকেলে ১০-১১ জন দুষ্কৃতকারী সিএনজির পথরোধ করে বাদীর ছেলেকে সিএনজি থেকে নামিয়ে আটক করে মারধর করে। পরে মোটর সাইকেলে জোরপূর্বক উঠিয়ে অপহরণ করে কালিকাপুর বাজার পাকা রাস্তার পূর্বপাশে একটি বাড়িতে নিয়ে যায়।
সেখানে ভিকটিমের নিকট থেকে একটি IPHON 13 PROMAX মোবাইল ও একটি SAMSUNG A20S মোবাইল সেট নিয়ে যায়।দুষ্কৃতিকারীরা তার ছেলেকে আটক রেখে মোবাইল ফোনে বাদীর নিকট মুক্তিপন দাবি করে।
পরবর্তীতে থানা পুলিশ সোনাপুর ও কালিকাপুর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে বাদীর ছেলে আসিফ আকরাম (১৬) কে উদ্ধার করে। এ সময় ২ জনকে আটক করা হয়, আটককৃতরা হলেন, মোঃ আল মামুন (২০) এবং মোঃ মুরাদ হোসেন (১৯)।
সোনাইমুড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ মোরশেদ আলম বলেন, আটককৃতদের থানায় নিয়ে এসে বিজ্ঞ আদালতে ফেরণ করা হয়েছে। অজ্ঞাতনামা আসামীদেরকে গ্রেফতারের অভিযান অব্যাহত আছে।