আমিরুল ইসলাম কবিরঃ
গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে পরকীয়া প্রেমের জেরে দুই সন্তানের জনক প্রেমিক কবিরকে ঘরে আটকিয়ে রেখে মেয়ের লোভী বাবা রফিকুল নিলেন টাকা। আর বাবার উপর রাগে,ক্ষোভে ও অভিমানে স্বামী পরিত্যক্তা জেসমিন কীটনাশক পানে আত্মহত্যার চেষ্টা।
জেসমিন দিনাজপুর জেলার ঘোড়াঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মুমূর্ষু অবস্থায় চিকিৎসাধীন আছে।
আর এ ঘটনাটি ঘটেছে গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ী উপজেলার ১ নং কিশোরগাড়ী ইউনিয়নের তেকানী গ্রামে। একই গ্রামের প্রতিবেশী হামেদ এর ছেলে দুই সন্তানের জনক নারী লোভী কবিরের সঙ্গে প্রতিবেশী রফিকুল ইসলামের মেয়ে জেসমিন এর সাথে প্রায় দুই বছর থেকে প্রেম-ভালোবাসা চলতে থাকে। বিষয়টি
জেসমিনের স্বামী বিবাহের ৮ মাসের মাথায় জানতে পারে জেসমিনকে তালাক প্রদান করেন। ঘটনার দিন ২৮ মার্চ মঙ্গলবার রাতে জেসমিনকে কুল/বড়াই দিতে/খাওয়াতে যায় পূর্ব প্রেমিক কবির। এসময় জেসমিনের পরিবারের লোকজন কবিরকে ঘরে আটকে রাখে। বুধবার ২৯ মার্চ সকালে উক্ত গ্রামের কিছু চতুর শ্রেণীর লোকজন গ্রাম্য মিটিংয়ের নামে বিষয়টি ৪০ হাজার টাকায় রফাদফা করে এবং শ্রমিক কবিরকে ছেড়ে দেয়। পাশাপাশি কবিরের পরিবার থেকে চাপ প্রয়োগ করে নেয়া টাকার অর্ধেক মাত্র ২০ হাজার টাকা জেসমিনের বাবা রফিকুলের হাতে ধরিয়ে দিয়ে চুপচাপ থাকতে বলেন। আর বাকী টাকা শালীস দরবারের লোকজন ভাগবাটোয়ারা করে নেন।
যেহেতু মেয়ের ইচ্ছা ছিল প্রেমিক কবিরকে বিয়ে করার। সে ইচ্ছা পূরণ না হওয়ায় বাবার উপর অভিমান করে মেয়ে জেসমিন ঘরে রাখা কীটনাশক পান করে। পরিবারের লোকজন টের পেলে তাকে উদ্ধার করে দিনাজপুর জেলার ঘোড়াঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে (ওসমানপুর) চিকিৎসার জন্য ভর্তি করায়। বতর্মানে জেসমিন উক্ত হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে। এখানকার জরুরী বিভাগের চিকিৎসক জানান, জেসমিনের অবস্থা ক্রিটিকাল ছিল। তবুও এখনো নিশ্চিত করে কিছু বলা যাচ্ছে না। নির্ধারিত সময় পার হলে বোঝা যাবে।√#