ইন্জিঃ কাজী রাশেদ, রাঙ্গুনিয়া প্রতিনিধি
অতি বর্ষণে চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার বেতাগী ইউনিয়নের প্রধান সড়ক আমানউল্লাহ সড়কটি বর্তমানে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়েছে। সড়কের অধিকাংশ স্থানে পিচঢালাই উঠে গিয়ে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। কোথাও কোথাও পানি জমে ছোট পুকুরের মতো অবস্থা হয়েছে। বিশেষ করে চেংখালী ও কাউখালী গ্রামের বিভিন্ন অংশের পরিস্থিতি অত্যন্ত করুণ।
স্থানীয়রা জানান, সড়কের পাশ ঘেঁষে প্রায় ৩৫-৪০টি পাহাড়ি ঘর রয়েছে। বর্ষার পানিতে কাটা পাহাড় থেকে বালি ও পাথরের স্রোত নেমে এসে সড়কে আছড়ে পড়ায় রাস্তা ক্ষত-বিক্ষত হয়ে যাচ্ছে। তাছাড়া পানি নিষ্কাশনের জন্য সড়কের দুই পাশে কোনো নালা না থাকায় সমস্যাটি আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। অপরিকল্পিতভাবে সড়ক নির্মাণ এবং বারবার মেরামতের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা অপচয় হচ্ছে বলেও অভিযোগ তুলেছেন এলাকাবাসী।
এমন পরিস্থিতিতে যানবাহন চালকরা মারাত্মক ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছেন। এ বিষয়ে স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী অধিদপ্তরের রাঙ্গুনিয়া উপজেলা প্রকৌশলী দিদারুল ইসলাম জানান, আমানউল্লাহ সড়কের মেরামত কাজ চলমান রয়েছে। ইতোমধ্যে সড়কের উভয় পাশে কিছু গাছ কেটে এটিকে ১২ ফুট প্রশস্ত করা হয়েছে। তবে সড়কের পাশে অনেকে বাড়ি ও সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করায় সড়ক প্রশস্তকরণ এবং নালা নির্মাণ ব্যাহত হচ্ছে। চেংখালী অংশে আরসিসি (রড-সিমেন্ট কংক্রিট) ঢালাই করার একটি প্রকল্প প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও তিনি জানান।
প্রতিদিন বেতাগী ছাড়াও নদীর দক্ষিণে বোয়ালখালী ও পটিয়া উপজেলার শত শত মানুষ এ সড়ক দিয়ে যাতায়াত করেন। স্থানীয় স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরাও চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। চট্টগ্রাম শহরে যাতায়াতকারী যাত্রীরাও ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।
জরুরি ভিত্তিতে সড়কটি আরসিসি ঢালাই দিয়ে পুনর্নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী। বেতাগী ইউনিয়ন পরিষদের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য সৈয়দ আবুল মনসুর বলেন, “আমরা ইতোমধ্যে উপজেলা প্রকৌশলী ও সহকারী উপজেলা প্রকৌশলীদের কাছে সড়কের বেহাল দশার কথা জানিয়েছি। বর্ষার পানিতে সড়কটি আরও নাজুক হয়ে পড়েছে। সাধারণ মানুষের চলাচল প্রায় অসম্ভব হয়ে গেছে। তাই দ্রুত সড়কটি সংস্কার করা প্রয়োজন।”
লায়ন মোঃ আবু ছালেহ্ সম্পাদিত ও হাজী জসিম উদ্দিন প্রকাশিত