1. info@www.dainikdeshbarta.com : bissho sangbad Online : bissho sangbad Online
  2. info@www.dainikdeshbarta.com : Dainik Desh Barta :
সোমবার, ১৪ জুলাই ২০২৫, ০৯:৫০ অপরাহ্ন

মাদ্রাসায় না গিয়েও নিয়মিত বেতন তোলেন তিন শিক্ষক..!

  • প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
  • ৩৬১ বার পড়া হয়েছে

আমিরুল ইসলাম কবির,

বিশেষ প্রতিনিধিঃ

গাইবান্ধার পলাশবাড়ীর মাঠেরবাজার আবু বকর ফাজিল মাদ্রাসার তিন শিক্ষকের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন প্রতিষ্ঠানে অনুপস্থিত থেকেও নিয়মিত বেতন-ভাতা তোলার অভিযোগ উঠেছে। এ ব্যাপারে মাদ্রাসার গভর্নিং বডির সদস্যরা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর অভিযোগপত্র দাখিল করেছেন।

সরেজমিন ও অভিযোগ সূত্রে প্রকাশ,দীর্ঘদিন থেকে দলীয় প্রভাব খাঁটিয়ে মাদ্রাসার ক্ষতিসাধনসহ সহকারী অধ্যাপক আনোয়ারুল ইসলাম,ইদ্রিস আলী সরকার ও শফিকুল ইসলাম মাদ্রাসায় আসছেন না। তবে মাদ্রাসায় না এলেও নিয়মিত বেতন-ভাতা উত্তোলন করে আসছেন এই তিন শিক্ষক। মাদ্রাসার শিক্ষক হাজিরা খাতায় দেখা যায়,গত জুলাই থেকেই এই তিন শিক্ষকের হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর নেই।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে মাদ্রাসার অন্য শিক্ষকরা জানান,তিন শিক্ষকের অনুপস্থিতিতে মাদ্রাসার অনেক ক্ষতি হচ্ছে। তারা কেন আসেন না আমাদের জানা নেই।

অভিভাবক সদস্য আব্দুল মালেক জানান,বিগত দিনে দলীয় প্রভাব খাঁটিয়ে এই তিন শিক্ষক যা ইচ্ছা তাই করছেন। গত জুলাই থেকেই তারা মাদ্রাসায় যান না। আরেক অভিভাবক সদস্য নাজমুল হক জানান,বিগত সরকারের আমলে তারা মাদ্রাসায় অনেক অনিয়ম করেছেন। আমরা অভিভাবক সদস্যরা কিছু বললেই দলীয় প্রভাব খাঁটিয়ে আমাদের হয়রানি করেন। মাদ্রাসায় না গিয়েও তারা বাড়িতে বসে বেতন নেবেন এটা হতে পারে না।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার জানান,তিন শিক্ষকের অনুপস্থিতির বিষয়ে অভিযোগ পেয়েছি,তদন্ত করার পর বোঝা যাবে ঘটনা কী।

উপাধ্যক্ষ রশিদুল ইসলাম জানান, ইদ্রিস আলী,সরকারের নিয়মনীতি উপেক্ষা করে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ করা হয়েছে। ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হওয়ার পর থেকেই তিনি মাদ্রাসায় আসেন না। তার সঙ্গে বাকি দুজন শিক্ষকও আসেন না,তারা মাদ্রাসায় না এসে কীভাবে বেতন-ভাতা উত্তোলন করছেন আমার জানা নেই।
এ বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ইদ্রিস
আলীর সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি জানান,আমি শুধু কয়েকদিন থেকে যাই না। অন্য দুজন শিক্ষকের অনুপস্থিতির বিষয়টি জানতে চাইলে কোনো মন্তব্য করেননি।

ওই মাদ্রাসার সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জানান,আমি অভিযোগ পত্রটি দেখিনি। মাদ্রাসায় উপস্থিত না থেকে বেতন উত্তোলনের কোনো নিয়ম নেই। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট