বোয়ালখালী প্রতিনিধি:
নবান্নের মাসে নতুন ধানের চাল দিয়ে তৈরি পিঠা-পুলি খাওয়ার ঐতিহ্য চিরায়ত বাংলার এক অনন্য বৈশিষ্ট্য। শীত এসে গেছে।
কাকডাকা ভোরে নানা পদের পিঠা-পুলি তৈরি করে তারুণ্যের উৎসব উপলক্ষে দিনব্যাপী আয়োজিত উদ্যোক্তা মেলা ও পিঠা উৎসবে স্টল সাজিয়ে বসেন নারী উদ্যােক্তারা।
বুধবার (২৬ নভেম্বর) বোয়ালখালী উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার কার্যালয় এ উৎসবের আয়োজন করে।
উদ্যোক্তা মেলা ও পিঠা উৎসবের স্টলগুলো ছিলো দিনভর দর্শনার্থীদের জমজমাট উপস্থিতি।
পিঠা-পুলি ছাড়াও স্টলগুলোতে ছিলো নানা প্রকারে দেশিয় ফল দিয়ে তৈরি জেম জেলি ও আচার এবং হাতের তৈরি শীতকালীন পোশাক, কারুকাজের গৃহস্থালি সরঞ্জাম।
চালের গুঁড়া, গুড় এবং অন্যান্য উপকরণ দিয়ে নানা ধরনের পিঠা যেমন - চিতই, পাটিসাপটা, ভাপা, পুলি পিঠা এবং ক্ষীর ও পায়েসের স্বাদ নিয়েছেন মেলায় আগত জনেরা।
পৌর সদরের গোমদণ্ডী পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এ উৎসবের আনুষ্ঠানিক উদ্ধোধন করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ রহমত উল্লাহ। এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা সোনিয়া শফি। এসময় ছিলেন, সরকারী কমিশনার (ভূমি) কানিজ ফাতেমা, স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা.জাফরিন জাহেদ জিতি, পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) খাইরুল ইসলাম, উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী সুর্দশী দেওয়ান ও প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সুজন কান্তি দাশ প্রমুখ।
এর আগে আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ উপলক্ষে উপজেলা চত্বর থেকে একটি বর্ণাঢ্য র্যালী বের হয়ে প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে একই স্থানে এসে শেষ হয়।
লায়ন মোঃ আবু ছালেহ্ সম্পাদিত ও হাজী জসিম উদ্দিন প্রকাশিত