রবিউল হাসান, সোনাইমুড়ী (নোয়াখালী):
সোনাইমুড়ীতে বাংলাদেশ প্রাইভেট ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনষ্টিক ওনার্স এসোসিয়েশন এর নামে ভুঁইফোড় কমিটির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ও সোনাইমুড়ী শাখার ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার (১৫ মার্চ) উপজেলার তাজমহল রেস্তোরায় এই আয়োজন করা হয়। এসময় প্রধান অতিথি হিসেবে সংগঠনটির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি ও নোয়াখালী জেলা কমিটির সভাপতি এম.এ নোমান উপস্থিত ছিলেন।
ইফতার মাহফিলে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনটির উপদেষ্টা সদস্য, পৌর বিএনপির আহবায়ক ও সোনাইমুড়ী পৌর সভার সাবেক মেয়র মোতাহার হোসেন মানিক।
ইফতার পূর্ব মুহুর্তে সংগঠনটির উপজেলা পর্যায়ের নেতারা বক্তব্য রাখেন। তারা বলেন, এই সংগঠনের নামে গতকাল একটি ভুঁইফোড় বিতর্কিত কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। সোনাইমুড়ী বিতর্কিত বাজার বণিক সমিতির এক বিতর্কিত নেতা এই কমিটির ঘোষণা দেয়। ওই সময় সোনাইমুড়ীর ২৮টি বেসরকারী ক্লিনিকের মালিকদের মধ্যে মাত্র চারটি প্রতিষ্ঠানের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। বক্তারা বাংলাদেশ প্রাইভেট ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনষ্টিক ওনার্স এসোসিয়েশনের নাম ব্যবহার করে ভুঁইফোড় কমিটির তীব্র প্রতিবাদ জানান।
আধুনিক শিশু হাসপাতালে এমডি কাউন্সিল জসীমউদ্দিন বলেন, যেই কমিটির পক্ষ থেকে এই ইফতার মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে দীর্ঘদিন থেকে তারাই সোনাইমুড়ীর হাসপাতাল গুলো সুনামের সহিত পরিচালনা করে আসছেন। যারা এই কমিটিকে বিতর্কিত করার চেষ্টা করছেন সেই পাঁচ জনের মধ্যে চার জনই বিতর্ক ব্যক্তি। যেসব বিতর্কিত ব্যক্তিরা সংগঠনটি নিয়ে চক্রান্ত-ষড়যন্ত্র করছে তারা অচিরেই নিঃশেষ হয়ে যাবে। তারা যেই ভাবে সোনাইমুড়ীর মাছ বাজারের কমিটি থেকে শুরু করে ছোটখাটো সকল প্রতিষ্ঠানের কমিটি করার জন্য নিজেকে এত বেশি উৎফুল্ল করে ফেলছে তাদের আধিপত্য বিস্তারটা বেশিদিন টিকবে না।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা কমিটির সভাপতি এম.এ নোমান বলেন, বাংলাদেশ প্রাইভেট ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনষ্টিক ওনার্স এসোসিয়েশন একটি রেজিষ্ট্রেট প্রতিষ্ঠান। যে কেউ চাইলেই এই প্রতিষ্ঠানের নামে কমিটি ঘোষণা করতে পারে না। গত বছরের পহেলা মার্চ ভোটের মাধ্যমে কমিটির নির্বাচন হয়েছে। কমিটির মেয়াদ রয়েছে তিন বছর। এই কমিটির বাইরে যারা নতুন কমিটি ঘোষণা করছেন ব্যক্তিগত ভাবে উদ্যোগ নিয়ে বিষয়টি সমাধান করার কথাও উল্লেখ করেন তিনি।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, সোনাইমুড়ী জেনারেল হাসপাতালের ডাক্তার মোঃ ইকবাল হোসেন, ডাক্তার এমদাদ হোসেন, দি ল্যাব এইড হাসপাতালের মোশারেফ হোসেন, নাসির উদ্দিন, সোনাইমুড়ি সেন্ট্রাল হাসপাতাল প্রাইভেট লিমিটেডের মোহাম্মদ আবু বকর সিদ্দিক, মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম, গ্রীন লাইফ এন্ড ট্রমা সেন্টার হাসপাতালের ইমরান হোসেন, নাসির হোসেন, সোনাইমুড়ী পপুলার হাসপাতাল প্রাইভেট লিমিটেডের আব্দুর রহিম, আব্দুল মান্নান, জমিলা মেমোরিয়াল হাসপাতালের মাজেদ হোসেন, মোতালেব হোসেন, আল খিতমা হাসপাতালের মমিনুল ইসলাম মামুন, মোহাম্মদ মুজাহিদ, নিউ নূরানী হাসপাতালের নিজামুদ্দিন,আল হাবিব হাসপাতালের আব্দুল হালিম, আধুনিক শিশু হাসপাতালের মোহাম্মদ রাসেল, মোহাম্মদ আবুল বাশার সহ মোট ২৬ টি ক্লিনিক-হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার এর স্বত্বাধিকারীগণ উপস্থিত ছিলেন।
লায়ন মোঃ আবু ছালেহ্ সম্পাদিত ও হাজী জসিম উদ্দিন প্রকাশিত