নিজস্ব প্রতিনিধি পটিয়া): বিশ্বাস ও দীর্ঘ দিনের সম্পর্কের সুযোগ নিয়ে সৌদি প্রবাসী এক বাংলাদেশির কাছ থেকে এক কোটি ১১ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার ভাটিখাইন ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা প্রবাসে মাহবুব মির্জার ছোট ভাই খাইরুল বশর -র বিরুদ্ধে।
ভুক্তভোগী নোয়াখালীর চারা লাতিয়া ৭নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা ও দীর্ঘদিন সৌদি আরব প্রবাসী আনোয়ার সাদিক অভিযোগ করেন,সৌদি আরবে কাজের সুবাদে খাইরুল বশরের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা হয়। সেই সম্পর্কের সুযোগে সে আমাকে প্রলোভন দেখায়, পটিয়ায় আমার নামে জমি ও বাড়ি করে দেবে এবং আমি দেশে এলেই পরিবারসহ সেখানে স্থায়ী হতে পারব। এ কথা বলে ধাপে ধাপে আমার কাছ থেকে বিশাল অঙ্কের টাকা নেয়।”
সাদিক জানান, প্রথম ধাপে তিনি খাইরুল বশরকে তিন লক্ষ ৬০ হাজার সৌদি রিয়াল (বাংলাদেশি মুদ্রায় এক কোটি ১১ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা) দেন। এ লেনদেনের প্রমাণ হিসেবে উভয়ের স্বাক্ষরে একটি ৩০০ টাকার স্ট্যাম্পে লিখিত চুক্তিপত্র সম্পাদিত হয়। চুক্তিতে স্পষ্টভাবে অর্থের পরিমাণ ও উদ্দেশ্য উল্লেখ ছিল।
“সে আমাকে ভিডিও কলে জায়গা দেখায়, আমি আস্থা রেখে পুরো লেনদেন সম্পন্ন করি,” বলেন আনোয়ার সাদিক। কিন্তু কিছুদিন পর জানা যায়, অভিযুক্ত ব্যক্তি সম্পত্তি কিনলেও তা নিজের নামে রেজিস্ট্রি করে নেন, এবং ভুক্তভোগীর নামে কোনো কিছুই রেজিস্ট্রি হয়নি।
যখন আনোয়ার সাদিক টাকা ফেরতের দাবি জানান, তখন অভিযুক্ত খাইরুল বশর এলোমেলো কথা বলে সময়ক্ষেপণ শুরু করেন,এমনকি একপর্যায়ে টাকা পাওয়ার বিষয়টি সম্পূর্ণ অস্বীকার করেন।
এ বিষয়ে আনোয়ার সাদিক বলেন, “আমি দেশ-বিদেশে উপার্জিত জীবনের সমস্ত সঞ্চয় তার হাতে তুলে দিয়েছিলাম। এখন প্রতারণার শিকার হয়ে পরিবার নিয়ে বিপদে পড়েছি। আমি এর সুবিচার চাই এবং প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ, এই ধরণের প্রতারকদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনা হোক।”
স্থানীয়ভাবে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, অভিযুক্ত খাইরুল বশর দীর্ঘদিন সৌদি আরবে ছিলেন এবং সম্প্রতি দেশে ফেরার পর পটিয়ায় সম্পত্তি ক্রয় করেছেন। তবে অভিযোগ বিষয়ে তার কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
ভুক্তভোগী আনোয়ার সাদিক আইনি প্রক্রিয়ায় অভিযোগ দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন এবং এ ঘটনায় প্রয়োজনীয় কাগজপত্র, চুক্তিপত্র ও আর্থিক লেনদেনের প্রমাণ উপস্থাপনের কথা জানিয়েছেন।
এই ধরনের প্রতারণামূলক ঘটনা শুধু একজন নয়, প্রবাসী সমাজের আস্থা ও নিরাপত্তার ভিত্তিকে চরমভাবে আঘাত করে। ভুক্তভোগীর আবেদন, যেন প্রশাসন দ্রুত পদক্ষেপ নিয়ে টাকা উদ্ধার এবং প্রতারকের শাস্তি নিশ্চিত করে।
লায়ন মোঃ আবু ছালেহ্ সম্পাদিত ও হাজী জসিম উদ্দিন প্রকাশিত