
সবুজ সরকার পটুয়াখালী।
পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার কেশবপুর ইউনিয়নের মমিনপুর চৌরাস্তার সরকারি যাত্রীছাউনিটি দীর্ঘদিন পরিত্যক্ত অবস্থায় থাকায় যাত্রীদের জন্য ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়েছিল। এলাকাবাসীর সুবিধার্থে নিজ উদ্যোগে যাত্রীছাউনিটি সংস্কার ও পুনর্গঠন করেছেন ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য এবং ব্যবসায়ী মো. কাওছার সিকদার।
স্থানীয়রা জানান, যাত্রীছাউনিটি ২০১৬-১৭ অর্থবছরে নির্মিত হলেও যথাযথভাবে রক্ষণাবেক্ষণ না হওয়ায় এটি ভেঙে নষ্ট হয়ে পড়েছিল। এতে যাত্রীদের বসা এবং ব্যবহারে সমস্যা হচ্ছিল। ইউপি সদস্য কাওছার সিকদার বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) অবহিত করলে তিনি ছাউনিটি নতুনভাবে সাজানোর পরামর্শ দেন।
এরপর কাওছার সিকদার নিজ খরচে ছাউনিটির বেঞ্চ মেরামত ও স্থান পরিবর্তন করেন। এতে যাত্রীদের জন্য বসার সুবিধা তৈরি হয় এবং এলাকাবাসীও এতে উপকৃত হচ্ছেন। স্থানীয় কয়েকজন ব্যক্তি বলেন,
“আগে আমরা এখানে বসতে পারতাম না। ছাউনিটি নষ্ট হয়ে গিয়েছিল। এখন মেম্বার মহোদয় ঠিক করে দেওয়ায় আমরা ভালোভাবে বসতে পারছি এবং উপকৃত হচ্ছি।”
ইউপি সদস্য মো. কাওছার সিকদার বলেন,
“যাত্রীছাউনিটি আমার রেকর্ডিংকৃত ব্যক্তিগত জায়গায় নির্মাণ করা হয়েছিল। এতে আমার বাসা থেকে বের হতে কষ্ট হচ্ছিল এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠানও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছিল। আমি ইউএনও স্যারকে বিষয়টি বুঝিয়ে বললে তিনি অনুমতি দেন ছাউনিটি ঘুরিয়ে বসানোর। এরপর আমি নিজ খরচে এটি সংস্কার করি।”
এ বিষয়ে বাউফল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম বলেন,
“যাত্রীছাউনিটি ব্যক্তি মালিকানাধীন জায়গায় নির্মিত হয়েছিল এবং এর অবস্থা ভালো ছিল না। ইউপি সদস্য নিজ উদ্যোগে মেরামত ও পুনর্গঠন করেছেন। এতে যাত্রীদের কোনো সমস্যা হচ্ছে না বরং আগের তুলনায় তারা এখন আরও ভালোভাবে উপকৃত হচ্ছেন।”
স্থানীয় প্যানেল চেয়ারম্যান শাজাহান গাজী বলেন,
“মেম্বার কাওছার জনসেবার স্বার্থে কাজ করেছেন। এতে এলাকাবাসী উপকৃত হচ্ছেন।”
অন্যদিকে, এলাকায় গুঞ্জন রয়েছে—একটি স্বার্থান্বেষী মহল ইচ্ছাকৃতভাবে ইউপি সদস্য কাওছার সিকদার এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আমিনুল ইসলামকে হেনস্তা করার চেষ্টা করছে। প্রশাসনের কোনো কর্মকর্তা তাদের অযৌক্তিক দাবির কাছে নত স্বীকার না করলে তারা অপপ্রচার চালায় এবং বিভ্রান্তিকর সংবাদ ছড়িয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে। এ বিষয়ে সচেতন মহল মনে করছেন, যারা আওয়ামী লীগের দীর্ঘ ১৭ বছর ধরে সুবিধা নিয়েছে তারাই এখন ইউপি সদস্য কাওছারের জনপ্রিয়তা ও ইউএনও’র সুনাম নষ্ট করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে।