পটিয়ায় প্রত্যয় শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক একাডেমির উদ্যোগে নজরুল জন্মজয়ন্তী আয়োজন করা হয়। নজরুল বন্দনা, কবিতা, গান, নৃত্য ও কথামালার মধ্য দিয়ে শেষ হয় অনুষ্ঠানটি।
প্রত্যয় শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক একাডেমির মিলনায়তনে একাডেমির শিক্ষার্থী এঞ্জেলিনা বড়ুয়া ও সৃষ্টি চক্রবর্তী এর সঞ্চালনায় শুক্রবার (৩০ মে) সন্ধ্যায় অনুষ্ঠানের শুরুতেই শুভেচ্ছা জানিয়ে বক্তব্য রাখেন একাডেমির নির্বাহী পরিচালক আবদুল্লাহ ফারুক রবি। পরে আলোচনায় অংশ নেন পটিয়া থিয়েটার এর সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ভগিরত দাশ, আবৃত্তি শিল্পী শিমুল নন্দী, সঙ্গীত শিল্পী প্রমোদ দাশ, বিজিসি ট্রাস্ট ইউনিভার্সিটির আইন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক রিদোয়ানুল হক, প্রত্যয়ের নির্বাহী সদস্য বিশ্বজিৎ দাশ, মাইজভান্ডারি গাউছিয়া হক কমিটির পটিয়া উপজেলা সমন্বয়ক সাইফুল ইসলাম সোহেল, সঙ্গীত শিল্পী সৌমির দে, শিবু মল্লিক, নৃত্য শিল্পী নীহারিকা পাল ও হৈমন্তী দে।
অধ্যাপক ভগিরত দাশ বলেন, নজরুলকে চিন্তা করতে হবে সাম্যের কবি হিসেবে। প্রগতির কবি হিসেবে। তখন তিনি সাম্য, জাগরণ ও প্রগতির ধারক হিসেবে আমাদের কাছে আসবে। তিনি সম্প্রীতি, সংস্কৃতি, সাম্য ও স্বাধীনতার বার্তা বহন করে গেছেন।
শিমুল নন্দী বলেন, নজরুল ইসলাম সাম্য ও দ্রোহের মাধ্যমে বাঙালির জাগরণ সৃষ্টিতে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করেছেন। তাঁর সৃস্টি ও কর্ম দিয়ে বাঙালি ও বাংলা ভাষাকে শ্রেষ্ঠত্বের আসনে অধিষ্ঠিত করেছেন।
আবদুল্লাহ ফারুক রবি বলেন, নজরুলের চেতনা মানুষকে বরাবরই আলোর পথ দেখিয়ে যাবে। নজরুলের চেতনা সবার মাঝে ছড়িয়ে দিতে চাই সরকারি উদ্যোগ। স্কুলে-কলেজে নজরুলের গান গাইতে ও পরিবারের সন্তানদের তাদের লেখা বই পড়তে উৎসাহিত করতে হবে। কথামালা শেষে একক আবৃত্তি করেন শিমুল নন্দী, এঞ্জেলিনা বড়ুয়া, দিব্যকুমার চক্রবর্তী, তানভিন জাহান তানহা, আফিয়া মোবাশ্বিরা, প্রান্ত বড়ুয়া, সত্যম দাশ, প্রসুন চৌধুরী দুস্টু, কাজী তাহিয়া মেহজাবিন, নাবিহা শরীফ সানজা, সৃষ্টি চক্রবর্তী। একক সঙ্গীত পরিবেশন করেন প্রমোদ দাশ, শিবু মল্লিক, সৌমির দে, দীপা দাশ, শ্রাবন্তী চৌধুরী। একক নৃত্য পরিবেশন করেন নীহারিকা পাল, অদ্রিতা বড়ুয়া,অংকনা বড়ুয়া,শাইনি মুখার্জি তনু, আনিকা হক। দলীয় গান, আবৃত্তি ও নৃত্য পরিবেশন করেন প্রত্যয় শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক একাডেমির শিক্ষার্থীরা। দলীয় সঙ্গীত পরিবেশন করেন সুরালয় সাংস্কৃতিক একাডেমি।