অরুন নাথ,পটিয়া(চট্টগ্রাম)প্রতিনিধি:
গতকাল মঙ্গলবার চট্টগ্রামের পটিয়ায় নানা আয়োজনে ৯ই ডিসেম্বর-১৯৭১ পটিয়ার গৈরলার টেকে গেরিলা বাহিনীর হাতে পাক-হানাদার পরাজয় ও আত্মসমর্পন যুদ্ধ দিবস পালিত হয়েছে।
এতে ঐতিহাসিক এ যুদ্ধের সকল প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে যথাক্রমে প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুস সালাম মাষ্টার,যুগল সরকার,মো: সোলেমান,মুর্ওিমান বড়ুয়া,ভূলু রঞ্জন দও,বাহা উদ্দিন খালেদ,সুমিত কান্তি দও,মো: সিরাজ,শিবু ধর,তপন ছন্দ,পঞ্চানন চৌধুরী,ড. মাহবুবুল হক,মো: মুছা,কান্তি পদ কে গভীর শ্রদ্ধায় স্মরন করা হয় এবং তাদের স্মৃতির প্রতি দাঁড়িয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।এর পূর্ববর্তী সময়ে চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ নির্মিত বিজয় স্মৃতি মিনারে একাওরের মুক্তিযুদ্ধের সকল শহীদদের স্মরনে পুস্পস্তবক দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।পরে ন্যাপ কমিউনিস্ট পার্টি ছাত্র ইউনিয়ন যুদ্ধের বিশেষ গেরিলা বাহিনীর উদ্যোগে এক স্মৃতিচারন আলোচনা সভা অনুষ্টিত হয়েছে।
এ সভা ন্যাপ কমিউনিস্ট পার্টি ছাত্র ইউনিয়ন বিশেষ গেরিলা বাহিনী চট্টগ্রাম কমান্ডের সদস্য সচিব বীর গেরিলা মুক্তিযোদ্ধা ফজল আহম্মদের সভাপতিত্বে প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টির সাবেক সভাপতি বীর গেরিলা মুক্তিযোদ্ধা কমরেড মোহাম্মদ শাহ আলম।
বক্তব্য রাখেন বীর মুক্তিযোদ্ধা উদয়ন নাগ,কমিউনিস্ট নেতা বাবু অশোক সাহা,বীর মুক্তিযোদ্ধা পুলক কুমার দাশ,বীর মুক্তিযুদ্ধা নুরুল ইসলাম চৌধুরী,প্রয়াত মুক্তিযোদ্ধা মুর্ওিমান বড়ুয়ার সহধর্মীনি পূড়বী বড়ুয়া,বীর মুক্তিযোদ্ধা তপন দস্হিদার,বীর মুক্তিযোদ্ধা শওকত আলী,প্রকৌ: শ্যামল বিশ্বাস সহ আরো অনেকে।
উল্লেখ্য সভায় বক্তরা বলেন একাওর ৯ই ডিসেম্বর গৈরালার টেকের যুদ্ধ চট্টগ্রাম অঞ্চলের একটি আলোচিত সম্মুখযুদ্ধ।মুক্তিযুদ্ধের নয় মাসে দক্ষিন চট্টগ্রামে এই যুদ্ধ একটি মাইলফলক।এই যুদ্ধ সৃংগঠিত হয় ন্যাপ কমিউনিস্ট পার্টি ছাত্র ইউনিয়ন যৌথ বাহিনীর সঙ্গে পাকিস্হানী হানাদারের দোসর রাজাকার,আলবদর,আল সামস ও পুলিশ বাহিনীর।ঔ যুদ্ধে শতাধীক দোসর আত্মসমর্পন করেন এবং তাদের বাহিনীর ১৪জন এই সম্মুখযুদ্ধে নিহত হয়।এই যুদ্ধের মাঠে গেরিলা বাহিনী সম্পুর্ন অক্ষত অবস্হায় বিজয় অর্জন করে।গৈরলার ঠেকের এ যুদ্ধের অর্জন বর্তমান প্রজন্মের মাঝে ছড়িয়ে দিতে সংলিষ্টদের প্রতি ব্যবস্হা গ্রহনের এক আহব্বান জানান তারা।
লায়ন মোঃ আবু ছালেহ্ সম্পাদিত ও হাজী জসিম উদ্দিন প্রকাশিত