নিজস্ব সংবাদদাতা :
কর্ণফুলী নদীতে বালি উত্তোলনকারী প্রতিষ্ঠানের বাল্কহেড ড্রেজার জিম্মি করে চাঁদাদাবির করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ চাঁদাবাজি বন্ধে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের চিঠি দিয়েছেন রাঙ্গুনিয়ার পোমরা মৌজার কর্ণফুলী নদীর বালি অপসারণের জন্য কার্যাদেশ পাওয়া আহমদ মোস্তফা।
গত রবিবার (১৭ আগস্ট) চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন কার্যালয়ে এ চিঠি দেওয়া হয়।
আহমদ মোস্তফা চিঠিতে জানান, গত ৩ জুলাই কর্ণফুলী নদীর পানি স্বাভাবিক রাখার স্বার্থে নদী থেকে বালি বা মাটি অপসারণের জন্য কার্যাদেশ পেয়েছেন তিনি। কার্যাদেশ পাওয়ার পর থেকে রাঙ্গুনিয়া উপজেলার পোমরা মৌজার কর্ণফুলী নদী এলাকা থেকে বালি ড্রেজিং এর মাধ্যমে অপসারণ করছিলেন।
সম্প্রতি কর্ণফুলী নদীর রাঙ্গুনিয়া এলাকা থেকে বালি উত্তোলন করে যাতায়াতের সময় বিভিন্ন পয়েন্টে সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা বাল্কহেড ড্রেজারগুলোর মাঝির কাছে নির্দিষ্ট অংকের চাঁদা দাবী করছে।
চাঁদা না দিলে তাদের মারধর করে মোবাইল ফোন ও নৌকার বিভিন্ন সরঞ্জাম কেড়ে নেয় এবং বাল্কহেড ড্রেজার গুলো ডুবিয়ে দিচ্ছে সন্ত্রাসীরা।
চিঠিতে উল্লেখ করেন, বর্তমানে সন্ত্রাসীদের উৎপাতে নদী থেকে বালি অপসারণ অত্যন্ত কঠিন হয়ে পড়েছে। স্বাভাবিকভাবে বালি অপসারণে জড়িত মালিক ও শ্রমিকরা প্রতিনিয়ত চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে।
কর্ণফুলী নদীতে ওঁৎপেতে থাকা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বন্ধ করতে চট্টগ্রাম নৌ-পুলিশ ও কোস্টগার্ডকে নিরাপত্তা কাজে নিয়োজিত করতে জেলা প্রশাসকের নিকট এই আবেদন করেছেন আহমদ মোস্তফা।
বালি অপসারণের কার্যাদেশ পাওয়া আহমদ মোস্তফা বলেন, নদীর বোয়ালখালীর ফকিরাখালী-গুলিয়াখালি পর্যন্ত আমাদের বাল্কহেডগুলোতে চাঁদা চাচ্ছে সন্ত্রাসীরা। প্রতি বাল্কহেডে ১০ হাজার করে টাকা চাঁদা দাবি করছে। বাল্কহেডের তো ১০ হাজার টাকা চাঁদা দেওয়া সম্ভব না। টাকা না দেওয়ায় তারা মাঝিদের মারধর করে। গত ৭আগস্ট থেকে প্রতিদিনই ৮-১০ টা বাল্কহেড জিম্মি করতো। পরে টাকা নিয়ে ছেড়ে দিতো। গত ১১ আগস্ট চাঁদা না দেওয়ায় তারা আমাদের একটি বাল্কহেড ডুবিয়ে দিয়েছে। আরও ৫টি বাল্কহেডের মাঝিমাল্লাকে মারধর করে মোবাইলসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম কেড়ে নিয়েছে।
লায়ন মোঃ আবু ছালেহ্ সম্পাদিত ও হাজী জসিম উদ্দিন প্রকাশিত