মোহাম্মদ ফিরোজ, স্টাফ রিপোর্ট : চট্টগ্রামের রাংগুনীয়া উপজেলার ১১নং চন্দ্রঘোনা কদমতলী ইউনিয়নের অন্তরগ ৩নং ও ৪ নং ওয়ার্ডের দেওয়ানজীর হাট, হাজী ছমিউদ্দিন শাহ (রা:) বাড়ি, ফকির পাড়া, খন্দকার পাড়া, থেকে ফেরী ঘাট পর্যন্ত কর্নফুলী নদীর ভাঙন থেকে রক্ষার দাবিতে মানববন্ধন করেছে নদী ভাঙনকবলিত এলাকাবাসী।
শুক্রবার (০১ আগস্ট ) চন্দ্রঘোনা দেওয়ানজীর হাট জেলে পাড়া এলাকার নদীর তীরে এ মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে। নদীর তীরে দাঁড়িয়ে মানববন্ধনে অংশ নেয় এলাকাবাসী, বাজারের ব্যবসায়ী, স্কুল-মাদ্রাসার শিক্ষক-শিক্ষার্থী, মসজিদের ইমামসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ।
পরমল জলদাস এর সভাপতিত্বে মোহাম্মদ জহির মেম্বার এর সঞ্চালনায় এই মানববন্ধন হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ইলিয়াস ইলু, রাংগুনীয়া কলেজ ছাত্র দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোঃ ফারভেজ, রাংগুনীয়া কলেজ শাখা ছাত্র দলের সাবেক সহ-সভাপতি মোহাম্মদ ফরিদ, বাংলাদেশ অনলাইন প্রেস কাউন্সিল এর সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ফিরোজ, রাঙ্গুনিয়া উপজেলা ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক গাজী নাজিম উদ্দিন, রাঙ্গুনিয়া উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য মোজাম্মেল হক মানিক, চন্দ্রঘোনা ইউনিয়ন যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক মোঃ শওকত হোসেন, রেদুয়ান, মোহাম্মদ নাছির, মোহাম্মদ ছবুর, রাজিউল করিম, আব্দুল মান্নান, মোহাম্মদ হাছান নূর, আলতাফ আলী, রাসেল, হারুন, সন্তুস জলদাস, প্রভুল্ল জলদাস, শিশু জলদাস, লিটন জলদাস, সিধিম জলদাস, বাপ্পী জলদাস, উজ্জ্বল জলদাস,
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, আওয়ামী লীগের সময় থেকে কর্নফুলী নদীর তলদেশ থেকে বালু উত্তোলনের ফলে ভাঙ্গনে এখন পর্যন্ত প্রায় লক্ষাধিক মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। এইখানে রয়েছে পাঁচ শত বছরের পুরোনো দুইটি আওলীয়ার মাজার, স্কুল-মাদ্রাসা ও ধর্মীয় উপসনালয়।
তারা জানান, আওয়ামীলীগ সরকার পথনের পরেও কিছু অসাধু ব্যবসায়ী, বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতার হাত ধরে এখনও কর্নফুলী নদী থেকে ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন অব্যহত রয়েছে নদী ভাঙন, নদী ভাঙ্গন রোধে উপজেলা, জেলা প্রশাসন ও পানি উন্নয়ন বোর্ড এই ব্যাপারে ব্যবস্থা না নিলে চন্দ্রঘোনা আদর্শ বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়, হজরত হাফেজ ছমিউদ্দিন শাহ (রা:) ও হযরত অলী শাহ (রা:) এর মাজার, মসজিদ, জেলে পাড়া, মুসলিম পাড়া স্কুল-মাদ্রাসার বিলীন হবার পথে।
নদী ভাঙন রোধে সরকারি অর্থ বরাদ্দ হলেও আওয়ামী ঠিকাদারের বৈশম্য ও অবহেলায় অল্প কিছু পাথরের স্লেট বসিয়ে বাকি কাজ না করে পালিয়ে গেছে বলে অভিযোগ করেন এলাকাবাসী। এসময় অবিলম্বে নদী ভাঙন রোধে সরকারের উদ্যোগের দাবিও জানান তারা