বন্ধুত্বের পূণর্মিলনী উৎসবে সম্মিলিতভাবে বিদ্যালয়কে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার
জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী
সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার:
সহকারি কমিশনার (ভূমি) ডিপ্লোমেসি চাকমা বলেছেন, বিদ্যালয় হচ্ছে জ্ঞান অর্জনের সুচিকাগার। শৈশব জীবনে নিজেকে তৈরি করার একটি মাধ্যম। প্রত্যেক মানুষকে শিক্ষিত হওয়ার পাশাপাশি সু-শিক্ষায় শিক্ষিত হওয়ার উপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি। তিনি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, কি পড়ছ তার চেয়ে কিভাবে পড়ছ তা উপলদ্ধি করতে হবে বেশি করে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নের জন্য সম্মিলিতভাবে কাজ করার বিকল্প নেই। তাই এ উৎসবের মাধ্যমে বিদ্যালয়কে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকারাবদ্ধ হলেন প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা।
২ আগস্ট (শনিবার) সকাল থেকে দিনব্যাপী চন্দনাইশ সদরস্থ কাসেম মাহবুব উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি ১৯৯২ প্রথম ব্যাচের শিক্ষার্থীদের বন্ধুত্বের পূণর্মিলনী উৎসব বিদ্যালয় মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে গুণী শিক্ষক সংবর্ধনা, আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে সভাপতিত্ব করেন প্রাক্তন শিক্ষার্থী, আমেরিকা প্রবাসী মো. জাহেদুল হক চৌধুরী। প্রধান অতিথি ছিলেন সহকারি কমিশনার (ভূমি) ডিপ্লোমেসি চাকমা, বিশেষ অতিথি ছিলেন যথাক্রমে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি ক্যাপ্টেন (অব). কাদের মাহমুদ চৌধুরী, প্রতিষ্ঠাতা পরিবারের সদস্য মো. শাহেদ সাকি, প্রকৌশলী অনুপ কুমার দত্ত, ডা. খাস্তগীর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়েল শিক্ষক দিদারুল আলম, প্রধান শিক্ষক বিজয়ানন্দ বড়ুয়া, এসআই শরিফুল ইসলাম।
প্রাক্তন শিক্ষার্থী রুপন সুশীলের সঞ্চালনায় অনুভুতি ব্যক্ত করেন প্রাক্তন শিক্ষক যথাক্রমে সমীরন বড়ুয়া, রফিক আহমদ, অমল কান্তি দে, শান্তি পদ আচার্য্য, সেলিনা আক্তার, প্রাক্তন শিক্ষার্থী যথাক্রমে জাহেদুল হক, মোজাম্মেল হক সুজন, মো. আলমগীর, নীল কমল বড়ুয়া, দুবাই প্রবাসী আরিফুল ইসলাম প্রমূখ। দুই প্রতিষ্ঠাতা যথাক্রমে মো. কাসেম ও আবদুল মাবুদ চৌধুরী মাহবুব, প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক প্রয়াত আশুতোষ দত্ত, মৃত মাওলানা আবদুল হান্নান, প্রয়াত দিলীপ বরণ চৌধুরীকে মরনোত্তর ও বর্তমান শিক্ষকদের সম্মাননা প্রদান করা হয়। বিদ্যালয়ের প্রথম এসএসসি-৯২ ব্যাচের ৫৬ জন শিক্ষার্থীদের আয়োজনে বর্তমান শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠানটি ছিলো প্রাণবন্ত।