জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী
চন্দনাইশ প্রতিনিধি:
চন্দনাইশ উপজেলার সাতবাড়িয়া পশ্চিম পলিয়াপাড়া মিলাদ উদযাপন কমিটির উদ্যোগে ১২ তম পবিত্র আজিমুশশান জশনে জুলুছে ঈদ-এ মিলাদুন্নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অনুষ্ঠিত হয়েছে।
৩ আগস্ট (বুধবার) বাদে মাগরিব থেকে গভীর রাত পর্যন্ত পশ্চিম পলিয়াপাড়া এবাদতখানার মাঠে ঐতিহ্যবাহী হাফেজ নগর দরবার সৈয়দ মাবুদ মঞ্জিলের সাজ্জাদানশীন, পীরে, ত্বরিকত রাহনুমায়ে শরীয়ত হযরত শাহ্ সুফি মাওলানা সৈয়দ মুফতি আশেকুর রহমান আল-হাফেজ নগরী, মাইজভান্ডারী মাদ্দাজিল্লুহুল আলী’র সভাপতিত্বে নূরানী মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
মাহফিলে উদ্বোধক ছিলেন সাতকানিয়া দ্বীপ চরতী আ’লা হযরত ইমাম আহমদ রেজা (রাহ:) মাদ্রাসার সুপার মাওলানা মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম আল-কাদেরী।
প্রধান বক্তা ছিলেন জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া কামিল মাদ্রাসার আরবি প্রভাষক ও ঢাকা খিলগাঁও তাহেরিয়া কমপ্লেক্স জামে মসজিদের খতিব শায়খ মুহাম্মদ জয়নুল আবেদীন ক্বাদেরী।
বিশেষ বক্তা ছিলেন অক্সিজেন বকসুনগর কেন্দ্রীয় শাহী জামে মসজিদের খতিব হাফেজ ক্বারী মাওলানা মুহাম্মদ নূর হোসাইন আল-কাদেরী।
আমন্ত্রিত মেহমান সৌদি আরব প্রবাসী আলহাজ্ব মোহাম্মদ আলমগীর, আলহাজ্ব মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন, আলহাজ্ব মোহাম্মদ নুরুল আজিম রাসেল প্রমুখ।
পবিত্র ঈদ-এ মিলাদুন্নবী (সা:) উপলক্ষ্যে বক্তারা বলেছেন, ঈদ-এ মিলাদুন্নবী (সা:) হচ্ছে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানব হযরত মুহাম্মদ (সা:) এর জন্মোৎসব এবং সমগ্র সৃষ্টির জন্য আল্লাহ কতৃক প্রেরিত রহমত। ঈদ-এ মিলাদুন্নবী’র তাৎপর্যকে ধারণ করে প্রিয় নবী (সা:) এর আদর্শ অনুসরণের মাধ্যমে মানবজাতির কল্যাণ ও শান্তির বার্তা ছড়িয়ে দিতে হবে এবং তাঁর প্রতি অন্তর দিয়ে ভালোবাসার প্রকাশ ঘটাতে হবে। এছাড়া, তারা নবী করীম (সা:) এর আগমনের খুশি উদযাপনের পাশাপাশি তার সুন্নাহ ও জীবন থেকে শিক্ষা গ্রহণ করতে হবে। আর যারা পবিত্র ঈদ-এ মিলাদুন্নবী (সা:) ও জশনে জুলুছের ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করছে তাদের ব্যাপারেও সতর্ক থাকতে হবে। মাহফিলে সঞ্চালনায় ছিলেন পশ্চিম পলিয়া পাড়া এবাদত খানার পেশ ইমাম মাওলানা মোহাম্মদ মাহমুদুল ইসলাম জিহাদী।