জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী
সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার:-
এলডিপি’র প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান, প্রাক্তন মন্ত্রী, বীর মুক্তিযোদ্ধা কর্ণেল (অব:) ড. অলি আহমদ বীর বিক্রম বলেছেন, নীতি, নৈতিকতা, মনুষ্যত্ব যাদের নেই তারা হারাম-হালাল মানে না। এসব লোকদের দেশের দায়িত্ব দেয়া যায় না। নিজের চরিত্র গঠনের পাশাপাশি ছেলে-মেয়েদের চরিত্র গঠন করতে হবে। শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার সময় কাপড় নেয় নাই, টাকা নিয়ে গেছে। গেছে পার্শ্ববর্তী দেশের এক বুইজ্জ্যার কাছে। সেখান থেকে গোলমাল শুরু করে দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে। সচিবালয়ে আগুন লাগিয়েছে, ২৪ ঘন্টা দেশে অশান্তির চেষ্টা ও গুপ্ত হত্যার পরিকল্পকনা করছে। স্বাধীন সার্বভৌমত্ব রক্ষা করার জন্য চেষ্টা করতে হবে। কেউ যদি মনে করেন, ৬ মাসের মধ্যে দেশ স্বয়ং সম্পূর্ণ হবে, তা সম্ভব নয়। কারণ হাসিনা দেশকে ধ্বংস করে গেছে। হাসিনা চলে গেছে আর আসবে না। সামনে উপজেলা ও ইউপি নির্বাচনে ভালো মানুষকে নির্বাচিত করতে হবে। আ’লীগ চলে গেছে, অন্যরা চাঁদাবাজি করছে। এক চোর চলে গেছে, আরেক চোর আসলে হবে না। পুলিশ ও প্রশাসন আছে, কেউ কাজ করছে না। নির্বাচিত সরকার না আসলে সমস্যা সমাধান হবে না। দেশের অবস্থা ভালো নয়, ডলার নেই, দেশীয় মুদ্রা সংকট, বিদেশ থেকে পণ্য আমদানি করা যাচ্ছে না। কিছু মানুষের কারণে ৮/৯টি ব্যাংক বন্ধ হয়ে গেছে, ব্যাংক টাকা দিচ্ছে না। দক্ষ মানুষ দেশের শাসনভার গ্রহণ না করলে সংকট কমবে না। দক্ষ, অভিজ্ঞ, দেশ প্রেমিক, আল্লাহর প্রতি বিশ্বাসী মানুষ লাগবে। তিনি বলেন, বাংলাদেশের সৈনিকদের মধ্যে প্রথম বিদ্রোহ ঘোষণা করে মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহণ করেন। তিনি আর্মি ও বিএনপি প্রতিষ্ঠা করেন, মন্ত্রী হিসেবে সফলতার সহিত দায়িত্ব পালন করে এক নাম্বারে ছিলেন। ১৯৭৬ সালে সংসদে গিয়ে এ এলাকায় স্কুল, কলেজ, মাদরাসায় ভবন দিয়েছেন, বিদ্যুতায়ন, সড়ক ও ব্রিজ নির্মাণ করেছেন। ৮৬ বছর বয়সের মধ্যে মানুষের জন্য এখনো অাপনাদের পাশে আছি। আগামীতে আর নির্বাচনে প্রার্থী না হওয়ার ঘোষণা দিয়ে তার ছেলে অধ্যাপক ওমর ফারুককে দেশের কল্যাণে কাজ করার জন্য আগামী নির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে পরিচয় করে দেন। আলোচনা শেষে কর্ণেল অলি সভাপতি এনামুল হক ও সাধারণ সম্পাদক নুরুল আলমের নাম ঘোষণা করেন।
গত ২৬ ডিসেম্বর বিকালে বৈলতলী ইউনিয়ন এলডিপি’র দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন ইউনিয়ন পরিষদ মাঠে অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা এলডিপি নেতা, এডিশনাল পি.পি এডভোকেট মাহবুল আলমের সভাপতিত্বে সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন এলডিপি’র প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান, প্রাক্তন মন্ত্রী, বীর মুক্তিযোদ্ধা কর্ণেল (অব:) ড. অলি আহমদ বীর বিক্রম, প্রধান বক্তা এলডিপি’র প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক ওমর ফারুক, বিশেষ অতিথি ছিলেন যথাক্রমে দক্ষিণ জেলা এলডিপি’র সভাপতি এম ইয়াকুব আলী, উপজেলা এলডিপি’র সভাপতি মোতাহের মিয়া, সাধারণ সম্পাদক আকতার আলম, এলডিপি’র নেতা সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আবদুর রহিম বাদশা। এলডিপি নেতা মাহাবুল আলম ও জালাল উদ্দীনের যৌথ সঞ্চালনায় আলোচনায় অংশ নেন এলডিপি নেতা যথাক্রমে লিয়াকত আলী, এনামুল হক, নুরুল আলম, জসিম উদ্দীন হায়দার, জামাল উদ্দীন, মনজুর আলম, আনিসুর রহমান, আবু ছৈয়দ, গণতান্ত্রিক যুবদল নেতা সাইফুল ইসলাম, সিরাজুল ইসলাম প্রমুখ। কর্ণেল অলি কারা নির্যাতিত এলডিপি নেতা এনামুল হক, মোখলেছুর রহমান, আবু বক্কর, জামাল উদ্দীন, মো. সেলিম উদ্দীন, সলিমুল্লাহ চৌধুরী, রুবেল চৌধুরী, কামাল উদ্দীন, মো. মোরশেদ, মো. জাহাঙ্গীর আলম, মো. নাছির উদ্দীন, মো. নাজিম উদ্দীন, আবুল কালাম, আবদুল শুক্কুরকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান। সম্মেলন শেষে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
লায়ন মোঃ আবু ছালেহ্ সম্পাদিত ও হাজী জসিম উদ্দিন প্রকাশিত