জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী
চন্দনাইশ প্রতিনিধি:
উপজেলার ২টি পৌরসভা, ৮টি ইউনিয়নের প্রতিটি গ্রামে এখন পাতলা পায়খানা, জ্বর, সর্দি, কাশি, মাথাব্যথা, শরীর ব্যথা লেগেই আছে। এক জনের অসুস্থতা কিছুটা কমলে অন্য জনের বাড়ে। সাত দিন সুস্থ তো আট দিন অসুস্থ। এভাবেই চলছে চন্দনাইশের অনেক পরিবারের দিনকাল।
চন্দনাইশ সদর ও দোহাজারী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তিল ধারণের ঠাঁই নেই মৌসুমের আগেই ভাইরাস জ্বরের ভয়াবহতা। চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করে কিছু কমন ওষুধ খেয়ে দিনাতিপাত করছেন বিভিন্ন পরিবারের সদস্যরা।
ভাইরাস জ্বরের পাশাপাশি দেখা দিয়েছে ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়া, টাইফায়েডসহ নানা ব্যাধি। সবচেয়ে ভয়াবহ অবস্থা ভাইরাস জ্বর, সর্দি, কাশি নিয়ে যারা হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন তাদের মধ্যে অনেকের শরীরে মিলছে ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়ার উপস্থিতি। চিকিৎসকদের মতে, চলতি বছর মৌসুমি রোগ আগে-ভাগেই দেখা দিয়েছে। ফলে আক্রান্তের হারও বেশি। চন্দনাইশ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. আবু রাশেম মো. নুর উদ্দীন বলেছেন, জ্বর-কাশি নিয়ে হাসপাতালে অনেক রোগীই আসছেন। পরীক্ষা করলে অনেকের শরীরে ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়া, টাইফেড শনাক্ত হচ্ছে। অধিকাংশ রোগী সুস্থ হচ্ছেন। তারা প্রেসক্রিপশন নিয়ে নিজ বাড়িতে থেকে চিকিৎসা নিতে বেশি আগ্রহী রোগীরা। গত ২ সপ্তাহ ধরে চন্দনাইশের ২টি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আউটডোরে ৪০ শতাংশ রোগী জ্বর ও পাতলা পায়খানা নিয়ে চিকিৎসা নিচ্ছে। ১৭ জুলাই চন্দনাইশ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হওয়া ১৪ জন রোগীর মধ্যে ১০ জনই জ্বরের রোগী, ২ জন পাতলা পায়খানা নিয়ে ভর্তি হয়েছেন। চন্দনাইশ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ৫০ শয্যা, দোহাজারী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৩১ শয্যার মধ্যে ১টি বেডও খালি নেই। একই চিত্র দোহাজারী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেও। তিনি বলেন, অতিরিক্ত গরমের কারণে মানুষ বেশি করে পানি পান করছে। এতে বিশুদ্ধ পানি, ভিটামিনের অভাবের কারণে রোগ-বালাই বাড়ছে। শিশু থেকে শুরু করে বয়বৃদ্ধ পর্যন্ত এ সকল রোগের শিকার হচ্ছে। তিনি এ ব্যাপারে সচেতনতার উপর গুরুত্বারোপ করেছেন।
লায়ন মোঃ আবু ছালেহ্ সম্পাদিত ও হাজী জসিম উদ্দিন প্রকাশিত