মহাকবি আল্লামা ইকবাল ও মুঘল সাম্রাট–কবি বাহাদুর শাহ জাফর (রাহ.)-এই দুই মহৎ কবিদ্বয়ের সাহিত্য-দর্শন ও মানবিক আদর্শ স্মরণে চট্টগ্রামে অনুষ্ঠিত হয়েছে এক মননশীল সাহিত্য আলোচনা সভা। গতকাল শনিবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৫ সকালে নগরীর লুসাই হলে দি একাডেমি অব হিস্ট্রি বাংলাদেশ (ইতিহাসের পাঠশালা) আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে বিভিন্ন স্তরের সাহিত্যগবেষক, শিক্ষক, লেখক ও শিক্ষার্থীরা অংশ নেন।
সভায় বক্তারা বলেন, মহাকবি ইকবালের কবিতা কেবল মুসলিম জাগরণের প্রেরণাই নয়, মানবমুক্তি ও আত্মশক্তির রূপতরল এক দর্শন। তাঁর শিকওয়া–জওয়াবে শিকওয়া, বাল-ই-জিবরিল, আস্রারে খুদি বিশ্বের সাহিত্যে আত্মপ্রত্যয়ের এক অনন্য দলিল। অন্যদিকে কবি বাহাদুর শাহ জাফরের কবিতা উপমহাদেশীয় মুসলিম চেতনার গভীর বেদনা, নির্বাসনের তিক্ততা এবং আল্লাহপ্রেমের এক মহিমান্বিত অভিব্যক্তি। আজও ইতিহাসের করুণ পরিণতির প্রতীক হয়ে বেঁচে আছে কবি বাহাদুর শাহ জাফরের লেখা কবিতা।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন দি একাডেমি অব হিস্ট্রি বাংলাদেশ (ইতিহাসের পাঠশালা) পরিচালক ও সম্পাদক, ইতিহাসবেত্তা সোহেল মো. ফখরুদ-দীন। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কবি মাহমুদুল হাসান নিজামী। প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন লেখক গবেষক মো: কামাল উদ্দিন। অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন বিশিষ্ট ভাষা-আন্দোলন গবেষক, লেখক ডা. মআআ মুক্তাদীর। আলোচনায় অংশ গ্রহণ করেন প্রাবন্ধিক লায়ন দুলাল কান্তি বড়ুয়া, শিশু উন্নয়ন সংগঠক জুঁইফুলের প্রধান লেখক জিএম মামুনুর রশিদ, লেখক মোহাম্মদ হানিফ মান্নান, প্রাবন্ধিক নুরুল হুদা চৌধুরী, মোহাম্মদ আবদুল্লাহ, সাংবাদিক সোহেল তাজ, প্রসঞ্জিত বড়ুয়া, দেলোয়ার হোসেন মানিক প্রমুখ।
সভায় বক্তারা আরও বলেন, নতুন প্রজন্মের কাছে কবি ইকবাল ও কবি বাহাদুর শাহ জাফরকে নতুনভাবে উপস্থাপন করতে হবে-তাঁদের সাহিত্যিক উত্তরাধিকার স্বাধীনতার বোধ, মানবমর্যাদা রক্ষা এবং নৈতিকতায় প্রতিষ্ঠিত সমাজ গঠনের অনুপ্রেরণা।
লায়ন মোঃ আবু ছালেহ্ সম্পাদিত ও হাজী জসিম উদ্দিন প্রকাশিত