রবিউল হাসান, নোয়াখালী:
সোনাইমুড়ীতে আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মনোহর আলীর বিরুদ্ধে বহিরাগত সন্ত্রাসীদের নিয়ে ভুমি দখলের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ সময় সন্ত্রাসীরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ওই এলাকায় মহড়া দেয়।
সোমবার গভীর রাতে উপজেলার বজরা ইউনিয়নের বারাহিনগর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
পরে ভুক্তভোগী সাংবাদিক মোশাররেফ হোসেন সুমন বাদী হয়ে রাতেই সোনাইমুড়ী থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
অভিযোগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ২৪৬নং বারাহিনগর মৌজার সিএস ৮নং ও বিএস জরিপী ৩৮০নং খতিয়ানে রেকর্ডসূত্রে ১২২৯ দাগে ১ শতাংশ ভূমির মালিক মৃত শরাফত উল্যার পুত্র সাংবাদিক মোশাররেফ হোসেন সুমন। ভুক্তভোগী মোশাররেফ হোসেন তাহার নাবালক পুত্র-কন্যা আবরার ও হুমায়রা ফায়রুজের নামে বিগত ২৩ ফেব্রুয়ারি ২৫ মার্চে সোনাইমুড়ীর রেজিঃ অফিসে ১২৭১ নং হেবা ঘোষণার দলিলে হস্তান্তর করেন। উক্ত ভূমি নিয়ে আবরার শাহরিয়ার গং বেগমগঞ্জ সিনিয়র সহকারী জজ আদালত, নোয়াখালীতে দেওয়ানী ২১০/২৫ নং মামলা দায়ের করে। ওই মামলায় বিজ্ঞ আদালত বিগত ১৭ জুন ‘২৫ ইং তারিখে নালিশী ভূমির রকম পরিবর্তন, ভরাট ও কোনরূপ স্থাপনা নির্মাণ না করার জন্য প্রতিপক্ষ মনোহর আলী গংদের বিরুদ্ধে স্থিতাবস্থার আদেশ জারী করেন। সোমবার গভীর রাতে মনোহর আলী আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ভাড়াটে লোকজন নিয়ে নালিশী ভূমিতে বালু ভরাট করে।
ভুক্তভোগী সাংবাদিক মোশারফ হোসেন সুমন জানান, সোমবার রাতে সোনাইমুড়ী থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েও ঘটনার সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনের জন্য বারবার ফোন করেও আইনি সহযোগিতা পাওয়া যায়নি। পরে বালু ভরাট করে তার সম্পত্তি দখল করে নেয় সন্ত্রাসীরা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মনোহর আলী ক্ষিপ্ত হয়ে বালু ভরাটের কথা স্বীকার করে সাংবাদিকদের জানান, কতটুকু ভুল করেছি বা কতটুকু শুদ্ধ করেছি তা আদালত দেখবে।
সোনাইমুড়ী থানার ওসি মোরশেদ আলম জানান, এ বিষয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ পেয়েছি।