রবিউল হাসান, সোনাইমুড়ী (নোয়াখালী) প্রতিনিধি:
নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলার নাটেশ্বর ইউনিয়নের দারুল আরকাম ইসলামিয়া মাদরাসার পুকুরের ঘটনাটি ঘটে।
বুধবার (১২ জুন) রাত সোয়া ৯টার দিকে পুলিশ এই লাশ উদ্ধার করে।
নিহত মান্নান উপজেলার নাটেশ্বর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের উত্তর মির্জানগর গ্রামের কামাল হোসেনের ছেলে। সে পূর্ব নাটেশ্বর গ্রামের দারুল আরকাম ইসলামিয়া মাদরাসার নাজেরা বিভাগের ছাত্র ছিল।
পুলিশও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত দুই দিন আগে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মাদরাসার পুুকুরে গোসল করতে যায় মান্নান। এরপর থেকে সে গত দুদিন নিখোঁজ ছিল।
বুধবার বিকেল ৫ টার দিকে মাদরাসার ছাত্ররা অজু করতে গেলে পুকুর থেকে দুর্গন্ধ পায়। এই দুর্গন্ধের উৎস খুঁজতে গিয়ে মান্নানের মরদেহ পুকুর ঘাটের নিচে দেখতে পায়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
ওসি বখতিয়ার উদ্দিন বলেন, লাশ ময়না তদন্তের জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এটি হত্যা না আত্মহত্যা ময়না তদন্তের রিপোর্ট পেলে নিশ্চিত হওয়া যাবে। তবে নিহতের পরিবার একটি অভিযোগ করেছে। ওই ছাত্র মাঝে মাঝে মাদরাসা থেকে পালিয়ে গেলে এক শিক্ষক তাকে দুটি থাপ্পড় দেয়। নিহতের পরিবার হুজুরকে সন্দেহ করছে।
মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মহিউদ্দিন জানান, দু’দিন ধরে ছাত্রটি নিখোঁজ ছিল। এই ছেলেটি প্রায় সময় কাউকে না বলে মাদ্রাসা থেকে পালিয়ে যায়। অসংখ্যবার এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে।
নিহতের সহোদর অভিযোগ করে জানান, পড়ালেখা না পারার অজুহাতে ওই মাদ্রাসার হুজুরা প্রায় সময় তার উপর শারীরিক নির্যাতন চালাত। পূর্বে তাকে গলা টিপে ধরে। মাটিতে ফেলে দেয়ার ঘটনাও ঘটেছে। শারীরিক নির্যাতনের বিষয়ে প্রিন্সিপাল এর কাছে বিচার চাইলে কিছুদিন পূর্বে এক হুজুর তাকে মেরে ফেলার হুমকিও দিয়েছে।