সার্ক মানবাধিকার ফাউন্ডেশন চট্টগ্রাম বিভাগের উদ্যোগে মানবপাচার প্রতিরোধে করণীয় শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠক গতকাল ১৬ সেপ্টেম্বর শনিবার সকাল ১০টায় চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসের কনফারেন্স হল রুমে সংগঠনের সভাপতি অহিদ সিরাজ চৌধুরী স্বপন’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। এতে অতিথি আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান, মানবপাচার অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনাল চট্টগ্রাম’র সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ জান্নাতুল ফেরদৌস, বাংলাদেশ পুলিশের এন্টি টেরোরিজম ইউনিট’র অতিরিক্ত ডিআইজি মোহাম্মদ মুসলিম পিপিএম, সমাজসেবা অধিদপ্তরের বিভাগীয় পরিচালক কাজী নাজিমুল ইসলাম, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক নাজনীন সরকার, কোস্ট গার্ড পূর্ব জোনের প্রতিনিধি লে. রায়ান আলম, সাবেক কাউন্সিলর নারী নেত্রী আবিদা আজাদ। দিলরুবা খানম ছুটি ও আবছার উদ্দিন অলি’র সঞ্চালনায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক জাফর ইকবাল। অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সিনিয়র সহ-সভাপতি লায়ন সাইফুল ইসলাম ভূঁইয়া রাসেল, লায়ন আলহাজ্ব আবদুল মান্নান, আজিমুল ইসলাম চৌধুরী, ইউসুফ খান, মোহাম্মদ আজিজুর রহমান, ইউনেক্সো ক্লাব চট্টগ্রাম জেলার সভাপতি মোহাম্মদ শরীফুল আলম, ব্যবসায়ী শেখ মোঃ সামিদুল হক, তাইসির রহমান, নেছার আহমদ খান, আসক ফাউন্ডেশন চট্টগ্রাম’র সভাপতি মুহাম্মদ উল্লাহ মাহমুদ, সমাজসেবী লায়ন ইসমত আরা বেগম, এড. যারীন তাসনিম, সমাজসেবক ফেরদৌস খান, লায়ন আনোয়ারুল আজিম চৌধুরী, এড. প্রতাপ পাল, রোজি চৌধুরী, সালমা বেগম, আসিবুর রহমান, জাকিয়া জিহান নিপু, মোরশেদ আলম, মোঃ আবু বক্কর সিদ্দিকী, মোঃ ইমতিয়াজ আহমদ, এস.এম আনোয়ার হোসেন, নুর জামাল চৌধুরী, হোপ ফাউন্ডেশন’র ইমরান সাঈদ রবিন। গোলটেবিল বৈঠকে বক্তারা বলেন, দারিদ্র বেকারত্ব, সামাজিক অনিশ্চয়তা ও বিচারহীনতা মানব পাচারের মূল কারণ বাংলাদেশ থেকে জীবিকা আর উন্নত জীবনের আশায় প্রতি বছর দেশ ছাড়েন লাখো মানুষ। এদের স্বপ্ন একটুখানি সুখ আর একটুখানি সমৃদ্ধির। দুঃখজনক হলেও এসব স্বপ্নচারী মানুষের বেশির ভাগই পড়েন মানব পাচারকারীর খপ্পরে। জমি, বসতভিটা বিক্রি করে শেষ সম্বলটুকু তাদের হাতে তুলে দিয়ে প্রতারিত হন। বাংলাদেশ সরকার বৈধ পথে বিদেশ যাওয়ার ক্ষেত্রে উৎসাহিত করছে, অপর দিকে অবৈধ পথে মানব পাচারে নিরুৎসাহিত করার সাথে সাথে আইনগত ব্যবস্থা নিচ্ছে। বক্তারা আরো বলেন, সমুদ্রপথে মানব পাচার বন্ধ করতে না পারলে বিদেশে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি আরও খারাপ হতে পারে, যা বৈধ অভিবাসনের জন্য হুমকি হিসেবে দেখা দেবে। মানব পাচার প্রতিরোধে কার্যকর ব্যবস্থা ও পাচারকারীদের শাস্তি দিতে হবে।