ডেস্ক ॥ ভারত সফরে গেছেন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির (পিসিজেএসএস) নেতা জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা (সন্তু লারমা)। গত শনিবার (৬ মে) তিনি ভারতের পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী কলকাতায় পৌঁছান। সেখান থেকে তিনি দিল্লিতে যাবেন এবং চলতি সপ্তাহেই প্রতিবেশী এই দেশটির জাতীয় রাজধানীতে থাকবেন। হঠাৎ তার ভারত সফর নিয়ে পার্বত্যাঞ্চলে নানা আলোচনা ও সমালোচনা শুরু হয়েছে। পাহাড়ি-বাঙালি বাসিন্দারা বলছেন, শান্তি চুক্তির পর পাহাড়ি ও বাঙালিরা শান্তিতে আছি। অন্ধকার থেকে আলোর পথে আছি। রাস্তাঘাটসহ পুরো অঞ্চলে অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে। অথচ পার্বত্য অঞ্চল নিয়ে মিথ্যা প্রোগান্ডা চালাতেই সন্তু লারমা গোপনে ভারতে গেছেন। তার সশস্ত্র বাহিনীর চাঁদাবাজি নিয়ে পাহাড়ে এখনো সহিংস ঘটনা ঘটছে বলে পার্বত্যাঞ্চলবাসীর দাবি।
জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা বা সন্তু লারমা চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির (পিসিজেএসএস) নেতা এবং গত চার দশক ধরে তিনি পার্বত্য চট্টগ্রামে চাকমা ও অন্যান্য সম্প্রদায়ের অধিকার রক্ষায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করছেন। সন্তু লারমার সফর সম্পর্কে জানেন এমন একটি সূত্র জানিয়েছে, জনসংহতি সমিতির নেতা সন্তু লারমা গত শনিবার কলকাতায় পৌঁছেছেন এবং তিনি এই সপ্তাহে ভারতের জাতীয় রাজধানী দিল্লিতে থাকবেন। সফরে কিসের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করবে এবং কোথায় কাদের সঙ্গে আলোচনা করবেন বিস্তারিত এখনো জানা যায়নি।
ভারতের সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দু বলছে, বাংলাদেশ পার্বত্য চট্টগ্রামের চাকমাদের তাদের সংস্কৃতি ও ভাষা থেকে বঞ্চিত করছে দাবি করে সন্তু লারমা গত মাসে দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিলেন। বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকাটি মিয়ানমার ও ভারতের সীমান্তবর্তী চট্টগ্রাম অঞ্চলের একটি বড় অংশ নিয়ে গঠিত এবং সেখানে অনেক জাতিগোষ্ঠীর মানুষ বসবাস করে। কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ এই অঞ্চলটিতে কয়েক দশক ধরে জাতিগত বিদ্রোহের পর ১৯৯৭ সালে পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির মাধ্যমে শান্তি নিশ্চিত করা হয়। বৌদ্ধ, হিন্দু এবং খ্রিস্টান সংখ্যালঘু নৃতাত্ত্বিক গোষ্ঠীগুলোসহ বৈচিত্র্যময় জনসংখ্যার আবাসস্থল হওয়ায় এই অশান্ত অঞ্চলের প্রশাসন বাংলাদেশের জন্য বেশ চ্যালেঞ্জিং বলে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমটি তাদের প্রতিবেদনে দাবি করেছে।