1. info@www.dainikdeshbarta.com : bissho sangbad Online : bissho sangbad Online
  2. info@www.dainikdeshbarta.com : Dainik Desh Barta :
শুক্রবার, ০৯ মে ২০২৫, ১২:৩২ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
চন্দনাইশে দক্ষিণ জেলা বিএনপির পূর্ণাঙ্গ আহবায়ক কমিটিকে স্বাগত জানিয়ে আনন্দ মিছিল চট্টগ্রাম পলোগ্রাউন্ড মাঠে তারুণ্যের সমাবেশ সফল করতে চন্দনাইশে প্রস্তুতি সভা নোয়াখালীর জেলা কারাগারের ১৮ ফুট দেয়াল টপকে আসামির পালানোর চেষ্টা বোয়ালখালীতে ভেজাল আইসক্রিম ও মিষ্টির কারখানায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান চন্দনাইশের প্রখ্যাত চিকিৎসক ডা. নুরুল আমিনের দাফন সম্পন্ন সোনাইমুড়ীতে ধানের ফলনে খুশি কৃষক, ঘরেও তুলছেন নিশ্চিন্তে চন্দনাইশে প্রত্যাশী- সিমস প্রজেক্ট মাইগ্রেশন ফোরাম সদস্যদের “দক্ষতা উন্নয়ন বিষয়ক প্রশিক্ষণ বোয়ালখালীতে ভোর ৬টায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এসেও আল্ট্রা করতে পারলেন না আয়েশা মাওলানা রইস উদ্দিন হত্যা : বিচার দাবিতে বোয়ালখালীতে সড়ক অবরোধ নোয়াখালীতে শ্রমিক দিবস উপলক্ষ্যে জিসপ’র আলোচনা সভা

শুভ মহালয়া : মেধস মুনির আশ্রমে, পূজা ও ভক্তির মাধ্যমে দুর্গাপূজার ক্ষণগণনা শুরু

  • প্রকাশিত: শনিবার, ১৪ অক্টোবর, ২০২৩
  • ৪৬৯ বার পড়া হয়েছে

আবু নাঈম, বোয়ালখালী :

মর্ত্যে দেবী দুর্গার আগমনী বার্তা শুরু হলো  শনিবার থেকে। অর্থাৎ আনুষ্ঠানিকভাবে পূজা ও ভক্তির মাধ্যমে দুর্গাপূজার ক্ষণগণনা শুরু হলো। দেবী দুর্গার আগমনী বন্দনার এই আয়োজনকে বলা হয় মহালয়া। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম বড় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা শুরুর ছয় দিন আগে হয় এই মহালয়া।

বোয়ালখালী মেধস মুনির আশ্রম সহ বিভিন্ন পূজামণ্ডপে আজ ভোর থেকেই পূজা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শুরু হয়েছে। আজ সকালে চণ্ডীপাঠ ও ভক্তিমূলক গান মধ্য দিয়ে ঋষি মেধসের আশ্রমে মহালয়ার অনুষ্ঠান শুরু হয়।

বোয়ালখালী পূজা উদযাপন পরিষদ সভাপতি শ্যামল বিশ্বাস বলেন, ‘পিতৃপক্ষের অবসান হয়ে দেবীপক্ষের শুরুই হচ্ছে মহালয়া। মহালয়ার পর থেকে ১৫ দিন হচ্ছে দেবীপক্ষ। মহালয়ায় দেবী দুর্গার আবাহন ছাড়াও পূর্বপুরুষদের আত্মার শান্তি কামনা করে শ্রদ্ধা জানানো হয়, যাকে তর্পণ বলে। এবার বোয়ালখালীতে পৌরসভা ও ইউনিয়ন মিলে ৯৬টি মন্দিরে দেবী দুর্গার পূজার আয়োজন হয়েছে।’

আশ্রমের অধ্যক্ষ বুলবুলানন্দ মহারাজ বলেন, সনাতন ধর্মাম্ববলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজার উৎপত্তি এ মেধস আশ্রমে। প্রতিবছরের ন্যায় মূল আচার-অনুষ্ঠান হিসেবে ঘট স্থাপন করে ফুল, তুলসী ও বেলপাতা দিয়ে পূজা করা হয়। সঙ্গে ছিল নানা সাংস্কৃতিক আয়োজন।

শারদীয় দুর্গা উৎসবকে অকালবোধনও বলা হয়। অকালবোধন সম্পর্কে বাংলাপিডিয়া থেকে জানা যায়, ত্রেতাযুগে রামচন্দ্র স্ত্রী সীতাকে উদ্ধারে ও লঙ্কার রাজা রাবণকে পরাজিত করতে শরৎকালে অকাল বোধনের মধ্য দিয়ে দেবী দুর্গাকে জাগ্রত করেন। সে পূজা অকালবোধন বা শারদীয়া দুর্গা পূজা হিসেবে খ্যাতি পায়। পুরাণ অনুসারে, রাজ্যহারা রাজা সুরথ এবং স্বজনপ্রতারিত সমাধি বৈশ্য একদিন মেধস মুনির আশ্রমে যান। সেখানে মুনির পরামর্শে তাঁরা দেবী দুর্গার পূজা করেন। দেবীর বরে তাঁদের মনোবাসনা পূর্ণ হয়। এ পূজা বসন্তকালে হয়েছিল বলে এর নাম ছিল ‘বাসন্তীপূজা’। বাসন্তীপূজা হয় চৈত্রের শুক্লপক্ষে, আর শারদীয় দুর্গাপূজা হয় শরৎকালে। তবে বর্তমানে শারদীয় দুর্গাপূজাই অন্যতম প্রধান উৎসবে পরিণত হয়েছে।

কালের বিবর্তনে ঋষি মেধসের আশ্রম লুপ্ত হয়ে গিয়েছিল। তবে ঋষি মেধস মুনি ও এ আশ্রমের কথা ‘চণ্ডী’সহ বিভিন্ন শ্রাস্ত্রে উল্লেখ রয়েছে। আজ থেকে শতবছর আগে স্বামী বেদানন্দ যোগবলে বিলুপ্ত এ আশ্রম আবিস্কার করেন।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট