শাহরুখ খানের ‘জাওয়ান’ সিনেমা দিয়ে বড় পর্দায় অভিষেক হতে চলেছে গায়িকা,অভিনেত্রী সঞ্জীতা ভট্টাচার্যের। তিনি জন্মসূত্রে বাঙালি, তবে বড় হয়েছেন দিল্লিতে। নিজেকে প্রবাসী বাঙালি-ই বলেন তিনি। তার বাবা কলকাতার এবং মা ময়মনসিংহের। ‘ফিল্স লাইক ইশক’ ও ‘দ্য ব্রোকেন নিউজ’-এর ছোট ছোট কিছু চরিত্রের পর এবার বড় পর্দায় পা রাখছেন সঞ্জীতা। এ নিয়ে তার উচ্ছ্বাসের শেষ নেই। তাছাড়া শাহরুখের সঙ্গে কাজ করেছেন, এ নিয়েও তার মধ্যে বিরাজ করছে উন্মাদনা। কলকাতার আনন্দবাজারকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী বলেন, আমার বেশ কিছু বন্ধু আছে যারা বাঙালি কিন্তু এক ফোঁটা বাংলা বলতে পারে না। আমি আসলে প্রবাসী বাঙালি ঠিকই। তবে আমার বাবা কলকাতার, আর মা ময়মনসিংহের। তাই বাঙাল-ঘটি মিলিয়ে বাংলার চলটাই আমাদের বাড়িতে বেশি। শাহরুখ খানের ‘জাওয়ান’ সিনেমায় অভিনয়ের সুযোগ প্রসঙ্গে সঞ্জীতা বলেন, ২০২১ সালের জুলাইতে নেটফ্লিক্সে আমার প্রথম সিরিজ ‘ফিলস লাইক ইশক’ মুক্তি পেয়েছিল। তার এক মাস পরেই অর্থাৎ আগস্টে ‘জাওয়ান’ ছবিটিতে অভিনয়ের জন্য ফোন পাই। অতিমারির সময়েই। আমি জানি না তারা কীভাবে আমাকে খুঁজে পেয়েছিলেন। সিরিজটি থেকেই বোধ হয়, কারন তারপরেই আমার কাছে ফোন আসে। তবে আমাকে অডিশন দিতে হয়েছিল।
শাহরুখ-নয়নতারাকে নিয়ে তার ভাষ্য, আমি ভীষণই লাকি! শাহরুখ স্যার তো অসামান্য। উনি সেটে থাকা মানেই আমরা সবাই বাড়তি এনার্জি পেয়ে যেতাম। তবে নয়নতারাও অসাধারণ। এত বড় তারকা, অথচ তার থেকে বিনম্রতা শিখতে হয়। প্রতিদিন নিজেকে নতুন করে আবিষ্কার করা, প্রতিদিন নিজের কাজের জন্য কোনও রকম অভিযোগ না করে পরিশ্রম করা- এই শিক্ষাগুলোই ‘জাওয়ান’-এর সেট থেকে আমার সব থেকে বড় পাওনা। দীপিকার সঙ্গে আমার কোনো দৃশ্য নেই। তবে নয়নতারার সঙ্গে অভিনয় করতে পেরেছি, এটা আমার জীবনের অন্যতম বড় পাওনা। ছবিটিতে কাজের অভিজ্ঞতা নিয়ে তিনি বলেন, বলিউডে এত দিন নায়িকা শুধু নায়কের ছায়া হয়েই পর্দায় থেকেছে। কোনও সিরিজ বা সিনেমার সেটে অভিনেত্রী হিসাবে যখন আমার নিজস্ব একটা ভূমিকা থাকে, যেটা ছবির নায়কের মুখাপেক্ষী নয়— তখন সেখানে কাজ করাটা অনেক বেশি উপভোগ করা যায়।তার উপর ‘জাওয়ান’- এর সেটে এত জন অভিনেত্রী, ছবির ক্রুয়ের সদস্যরাও তখন সবাইকে তাদের প্রাপ্য সম্মান দেন। এত দিনে দেশে এমন ছবি তৈরি হচ্ছে যেখানে মহিলাদের দৃষ্টিভঙ্গি থেকে গল্প বলা হচ্ছে।