নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে জায়গা দখলের নামে শতবর্ষী শশ্মান লণ্ডভণ্ড করেছে দিয়েছে মর্মে কাজল ধুপির বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে।ঘটনাটি উপজেলার কালীপুর ইউপির কোকদন্ডী ৩ নং ওয়ার্ড এলাকায় ঘটেছে।এই নিয়ে পুরো এলাকাজুড়ে চলছে উত্তেজনা ও আলোচনা- সমালোচনা।শতবর্ষী শশ্মানটিতে পূর্ব থেকে শশ্মান কার্যক্রম চালিয়ে আসলেও বিগত কয়েক বছর পূর্বে হঠাৎ করে ওই শশ্মানের জায়গাটির মালিকানা দাবি করে একই এলাকারতপন দত্ত।এই দাবির প্রেক্ষিতে জায়গাটি শশ্মানের নামে রেজিস্ট্রী দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে জায়গার মালিক তপন দত্ত ওই এলাকার গোপাল দাশের কাছ থেকে কিছু টাকা নিলেও হঠাৎ করে গোপাল দাশ মৃত্যু বরণ করার কারণে ওই শশ্মানের নামে রেজিস্ট্রী সম্পাদন করতে পারেনি বলে জানান মৃত্যু গোপাল দাশের ছেলে জনি দাশ।কিন্তু এরই মধ্যে ওই জায়গার মালিক তপন দত্তের কেয়ারটেকার কাজল ধুপি নামের এক ভূমিদস্যু, লম্পত ওই জায়গা দখলের নামে শতবর্ষী শশ্মানটি লণ্ডভণ্ড করে দিয়েছে।এবিষয়ে অভিযুক্ত কাজল ধুপির বিরুদ্ধে মামলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলেও জানায় জনি দাশ। স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায়ের সচেতন মহলের দাবি, জায়গা দখলের নামে কাজল ধুপি শতবর্ষী শশ্মান লণ্ডভণ্ড করে দিয়েছে এটা মুলত ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানার শামিল,এধরণের ন্যাক্কারজনক ঘটনার তীব্র নিন্দা জানান সচেতন মহল।কালীপুর ৩ নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য আবুল কালাম বলেন,শতবর্ষী শশ্মান লণ্ডভণ্ড করে দেয়ার ঘটনাটি খুবই দুঃখজনক, যেহেতু এটা কোন নতুন শশ্মান নয়,আর দু’পক্ষই হিন্দু ধর্মের লোক,তারা এবিষয়ে আমাদের কোন কিছুই জানায়নি।তবে ঘটনার পর এবিষয়ে তাদের দু’পক্ষকে দ্রুত সমাধান করার জন্যে বলেছি।
ওই এলাকার মন্দিরে থাকা টুটুল চক্রবর্তী নামের এক ঠাকুর বলেন,শতবর্ষী শশ্মানটি লণ্ডভণ্ড করে দিয়ে তারা ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করেছে, হিন্দু ধর্মের লোক হয়ে এধরণের কাজ করা অত্যন্ত নিন্দার বিষয়,কাজল ধুপি কারো সাথে কোন পরামর্শ না করেই এই কাজটি কেন করলো সেটা বুঝতে পারছিনা,শশ্মানের প্রতি কাজল ধুপির নিষ্ঠুর আচরণের তীব্র নিন্দা জানান টুটুল ঠাকুর।এব্যাপারে গুনাগরী রামদাস মুন্সি হাট পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের এস আই শহিদুল ইসলাম বলেন, জনি দাশ নামের এক লোকের কাছ থেকে ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলটি পরিদর্শন করেছি, হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের মধ্যে জমি বিরোধ নিয়ে হয়েছে,তবে অভিযোগকারীরা বলছে তাদের অনেক স্বজনদের এই শশ্মানে সমাধি করা হয়েছে, এবং জায়গাটি শশ্মানের নামে রেজিস্ট্রী দেয়ার জন্যে তপন দত্তকে টাকাও দেয়া হয়েছে,কিন্তু গোপাল দাশ নামের লোকটা মারা যাওয়াতে জায়গার মালিক তপনের কাছ থেকে রেজিস্ট্রী নিতে পারেনি।অপরদিকে কাজল ধুপি বলছে এই জায়গা তাদের, এবং শশ্মান অন্যত্রে সরিয়ে নেয়ার জন্যে বলা হলেও তারা নিচ্ছে না তাই আমার জায়গাতে কাজ করে যাচ্ছি, দুই পক্ষের বক্তব্য শুনার পর তাদেরকে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও স্বাক্ষীসহ নিয়ে পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে আসতে বলা হয়েছে বলেও জানান পুলিশ শহিদ।