আমিরুল ইসলাম কবিরঃ
লাশ উদ্ধারের তিন দিনের মধ্যেই হত্যার রহস্য উন্মোচন। বোনের সাথে প্রেমে ব্যর্থ হয়ে ক্ষোভের বশেই খুন করা হয়েছে শিশু বায়েজিদকে। এমন তথ্য দিয়ে আদালতে জবানবন্দী দিয়েছে রোমান ও শরিফুল। গাইবান্ধা জেলা পুলিশ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে পুলিশের পক্ষ থেকে প্রেস ব্রিফিংয়ে এই খবর নিশ্চিত করা হয়েছে ।
৮ মে সোমবার বিকেল তিনটার দিকে বাড়ির পাশে খেলতে গিয়ে নিখোঁজ হয় পলাশবাড়ী উপজেলার মনোহরপুর ইউনিয়নের তালুক ঘোড়াবান্ধা গ্রামের বালুখোলা এলাকার সৌদি প্রবাসী তাহারুল ব্যাপারীর চার বছরের ছেলে বায়েজিদ । অনেক খোঁজাখুঁজির পরেও কোন খোঁজ খবর না পাওয়ায় ১০মে থানায় সাধারণ ডায়েরি করে বায়েজিদের মা।
১৩ মে শনিবার বিকেল ৫টার দিকে পাশ্ববতী ধান ক্ষেত থেকে বায়েজিদের খন্ডিত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ । ওইদিনই প্রতিবেশী সাইফুল ইসলামের ছেলে সাকিব হাসান রোমান (১৯) ও সোহবার হোসেনের ছেলে রোমানের বন্ধু শরিফুলক ইসলামকে (২০) পুলিশ গ্রেপ্তার করে রিমান্ডে নেয়। রিমান্ডে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে আসামীদ্বয় হত্যাকান্ডের কথা স্বীকার করে ।
কারন হিসাবে জানান, বায়েজিদের বোনের সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে রোমানের। পারিবারিক কারনে বায়েজিদের বোন প্রেমের ইতি টানায় বিয়ের প্রস্তাব দেয় রোমান। প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় রাগে ক্ষোভে অপহরণ করে হত্যা করে বায়েজিদকে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন,অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অর্থ ও প্রশাসন) মো. ইবনে মিজান,পলাশবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মাসুদ রানা,মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক (নিঃ) নুর-ই আলম সিদ্দীকি।
৪ বছরের শিশু বায়েজিদ নিখোঁজ হওয়ার পরই ইলেকট্রনিক,প্রিন্টিং মিডিয়া সহ ফেইসবুক পেজে ব্যাপক আলোচনার ঝড় তোলে ঘটনাটি। এমন নৃশংস হত্যাকান্ডের সাথে জড়িতদের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।√#