1. info@www.dainikdeshbarta.com : bissho sangbad Online : bissho sangbad Online
  2. info@www.dainikdeshbarta.com : Dainik Desh Barta :
শুক্রবার, ০৯ মে ২০২৫, ০৫:০৬ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
চন্দনাইশে দক্ষিণ জেলা বিএনপির পূর্ণাঙ্গ আহবায়ক কমিটিকে স্বাগত জানিয়ে আনন্দ মিছিল চট্টগ্রাম পলোগ্রাউন্ড মাঠে তারুণ্যের সমাবেশ সফল করতে চন্দনাইশে প্রস্তুতি সভা নোয়াখালীর জেলা কারাগারের ১৮ ফুট দেয়াল টপকে আসামির পালানোর চেষ্টা বোয়ালখালীতে ভেজাল আইসক্রিম ও মিষ্টির কারখানায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান চন্দনাইশের প্রখ্যাত চিকিৎসক ডা. নুরুল আমিনের দাফন সম্পন্ন সোনাইমুড়ীতে ধানের ফলনে খুশি কৃষক, ঘরেও তুলছেন নিশ্চিন্তে চন্দনাইশে প্রত্যাশী- সিমস প্রজেক্ট মাইগ্রেশন ফোরাম সদস্যদের “দক্ষতা উন্নয়ন বিষয়ক প্রশিক্ষণ বোয়ালখালীতে ভোর ৬টায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এসেও আল্ট্রা করতে পারলেন না আয়েশা মাওলানা রইস উদ্দিন হত্যা : বিচার দাবিতে বোয়ালখালীতে সড়ক অবরোধ নোয়াখালীতে শ্রমিক দিবস উপলক্ষ্যে জিসপ’র আলোচনা সভা

রমজানে নিত্যপণ্যের মূল্য যেন বৃদ্ধি নাহয় -লায়ন মোঃ আবু ছালেহ্

  • প্রকাশিত: শুক্রবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫
  • ৮৪ বার পড়া হয়েছে

সম্পাদকীয়ঃ

প্রতি বছরই রমজান ঘনিয়ে এলে বাজারে দ্রব্যসামগ্রীর দাম নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। পেঁয়াজ, মরিচ, ডাল, গরম মসলা, চিনি, শাকসবজিসহ নিত্য দ্রব্যগুলোর আকাশচুম্বী দাম বেড়ে যায়। এতে সেহরি ও ইফতারে বিশেষ বিড়ম্বনায় পড়তে হয় রোজাদারদের। কষ্ট ও দুর্ভোগ চরমভাবে বেড়ে যায় সাধারণ মানুষের।
অথচ রমজান মাসে সবকিছু স্বাভাবিক থাকা উচিত। যেন মানুষ সহজে ইবাদত পালন করতে পারে। এ মাসে ইবাদতের বিশেষ ফজিলত রয়েছে। রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘রমজান মাসে যে ব্যক্তি একটি নফল আদায় করলো সে যেন অন্য মাসে একটি ফরজ আদায় করলো। আর যে এ মাসে একটি ফরজ আদায় করলো সে যেন অন্য মাসের ৭০টি ফরজ আদায় করলো। (শুআবুল ঈমান : ৩/৩০৫-৩০৬
এ মাসে তাই এমন পরিবেশ তৈরি করা উচিত যেন মানুষ সব ঝামেলা থেকে মুক্ত থেকে বেশি বেশি ইবাদত করতে পারে। কিন্তু বর্তমানে রোজা এলেই মানুষকে ভাবনায় পড়তে হয় দ্রব্যমূল্যের বাড়তি দাম নিয়ে। পবিত্র এ মাসে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী বাজারে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে রাখে। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির মাধ্যমে সাধারণ মানুষের জীবন নাকাল করে তোলে। এদিকে ইসলামে খাদ্য মজুদ করার ব্যাপারে কঠোর হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।
হজরত মামার ইবনে আবদুল্লাহ ইবনে ফাজালা (রা.) বলেন, আমি রাসুল (সা.)-কে বলতে শুনেছি, ‘পাপাচারী ছাড়া অন্য কেউ মজুদদারি করে না’ (তিরমিজি)।)। অন্য হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, ‘যে ব্যক্তি ৪০ রাত পর্যন্ত খাদ্যদ্রব্য মজুদ রাখে, আল্লাহর সঙ্গে তার কোনো সম্পর্ক থাকে না।’ মজুদদার ও অধিক মুনাফাখোর ব্যবসায়ীদের সম্পর্কে হাদিসে সতর্কবাণী উচ্চারণ করে এদের পাপী হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘পণ্যদ্রব্য মজুদ করে অধিক মূল্যে বিক্রয়কারী অবশ্যই পাপী।’ (মিশকাত)
অত্যধিক মুনাফা লাভের আশায় পণ্যদ্রব্য মজুদ করা, সরিয়ে রাখা, অতিরিক্ত পণ্য ধ্বংস করা শরিয়ত গর্হিত কাজ। এই মর্মে রাসুল (সা.) ভীতি প্রদর্শন করে বলেছেন, ‘কেউ যদি মুসলমানদের থেকে নিজেদের খাদ্যশস্য আটকে রাখে, তবে আল্লাহ তায়ালা তার ওপর মহামারি ও দারিদ্র্য চাপিয়ে দেবেন’ (ইবনে মাজা, বায়হাকি)।
নবী করিম (সা.) আরও বলেছেন, ‘মজুদদার খুবই নিকৃষ্টতম ব্যক্তি, যদি জিনিসপত্রের দাম হ্রাস পায় তা হলে সে চিন্তিত হয়ে পড়ে আর যদি দাম বেড়ে যায় তা হলে আনন্দিত হয়।’ (মিশকাত)
এমনিভাবে দালালি বা মধ্যস্বত্বভোগী হয়ে দ্রব্যের দাম বাড়ানোর জন্য হাদিসে কঠোর শাস্তির কথা বলা হয়েছে। রাসুল (সা.) ইরশাদ করেন, ‘যে ব্যক্তি মূল্যবৃদ্ধির অসদুদ্দেশ্যে মুসলমানদের লেনদেনে হস্তক্ষেপ করে, কেয়ামতের দিন আল্লাহ তায়ালা তাকে আগুনের হাঁড়িতে বসিয়ে শাস্তি দেবেন’ (তাবরানি : ৮/২১০)।
নবী কারিম (স.) বলেন, ‘কেয়ামতের দিন ব্যবসায়ীরা মহা অপরাধী হিসেবে উত্থিত হবে। তবে যারা আল্লাহকে ভয় করবে, নেকভাবে সততা ও ন্যায়নিষ্ঠার সঙ্গে ব্যবসা করবে তারা ব্যতীত’ (তিরমিজি: ১২১০)
রমজান মাসে চাল, ডাল, ছোলা, চিনির মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের সরবরাহ নিশ্চিতের পাশাপাশি দাম যেন কোনোভাবেই না বাড়ে। অর্থ উপদেষ্টা বলেছেন কেউ মজুদ করার চেষ্টা করলে ভোক্তা অধিকারসহ সরকারের এজেন্সিগুলোর মাধ্যমে ব্যবস্থা নেয়া হবে। আশাকরি এর সুফল আমরা পাব।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট