চট্টগ্রামের পটিয়ার অন্ত্বসত্তা গৃহবধূ শাহনাজ কামরুন নাহার (মহুয়া)।চার বছর প্রেমের অবসান ঘটিয়ে গত বছর বিয়ের পিঁড়িতে বসেছিলেন চট্টগ্রামের পটিয়ার শান্তিরহাট এলাকার ছেলে আল ফায়াদ চৌধুরীর সাথে।৯ মাস ১৫ দিনের অন্ত্বসত্তা ছিলেন তিনি।অপেক্ষায় ছিলেন সন্তান দুনিয়ায় আসার। কিন্তু সামাজিক ব্যাধি যৌতুক কেড়ে নেয় মহুয়ার প্রাণ সাথে অনাগত সেই সন্তানেরও।মহুয়ার পরিবারের সাথে কথা বলে জানা যায় মহুয়ার বিয়ের পরপরই স্বামী ফায়াদ চৌধুরী , তার চার বোন এবং তার মা চেমন আরা রফিকের আসল রুপ ভেসে উঠে। তারা মা ছেলে এবং বোন সহ মিলে প্রায় সময় যৌতুকের জন্য মহুয়ার উপর মানসিক ভাবে চাপ দিত।মহুয়ার একমাত্র ভাই একটা প্রাইভেট কোম্পানির চাকরি করেও মহুয়ার শুশুরবাড়ির চাহিদা পুরণ করার জন্য
চেষ্টা করতো।এতকিছু পাওয়ার পরও মহুয়ার শাশুড়ী এবং নননাশ নানানভাবে শারীরিক এবং মানসিক চাপ প্রদান করতো।এমনকি মারধরও করতো। অত্যাচার মাত্রা চরম পর্যায়ে পৌঁছালে গত ১৬/১০/২০২৪ সালে রাতে মহুয়ার রহস্যজনক মৃত্যু হয়।
এরপর থেকে স্বামী ফায়াদ চৌধুরী ও তার মা পলাতক আছেন।
এই ব্যাপারে মহুয়ার ভাই শাহনেওয়াজ বাদি হয়ে মহুয়ার স্বামী শাশুড়ীসহ মোট সাত জনের বিরুদ্ধে নগরীর পাঁচলাইশ থানায় একটা মামলা করেন।চাঞ্চল্যকর এই ঘটনায় ৩ জন আসামি গ্রেপ্তার হলেও মুল আসামি ধরাছোঁয়ার বাইরে।এই বিষয়ে পাঁচলাইশ থানার ওসি মোহাম্মদ সোলাইমান এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান আসামি কে গ্রেপ্তার এর চেষ্টা অব্যাহত আছে।তিনি এবং তার টিম এই বিষয়ে পদক্ষেপ নিবেন।