মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম রিয়াদঃ
বিএনপি-জামাতের ধ্বংসাত্মক নাশকতা ও অরাজকতা সরকারি বেসরকারি সেক্টরে যেন প্রভাব ফেলতে না পারে।
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে দেশী-বিদেশী ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে বিএনপি-জামাত দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে আবারো নাশকতা ও অরাজকতার তান্ডব শুরু করে দিতে পারে বলে জাতীয় শ্রমিক লীগ চট্টগ্রাম মহানগর সিবিএ-ননসিবিএ সমন্বয় পরিষদের সদস্য সচিব শ্রমিক নেতা আবুল হোসেন আবু আশংকা প্রকাশ করে বলেছেন, মহল বিশেষে এই নাশকতা ও অরাজকতা যাতে গুরুত্বপূর্ণ সরকারি ও বেসরকারি শিল্প, কল-কারখানাসহ শ্রমিক সেক্টরে যাতে কোন প্রভাব ফেলতে না পারে সেজন্য সতর্ক থাকার সময় এসেছে। কেননা অতি সম্প্রতি চট্টগ্রামে বিএিনপির অঙ্গসংগঠন যুবদল তারুণ্যের সমাবেশের নামে চট্টগ্রাম নগরীতে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল ও মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক দেয়ালিকা ভাংচুর করে পরিকল্পিত নাশকতা ও অরাজকতা সৃষ্টির সংকেত জানান দেয়া হয়েছে। তাই এই মুহুর্তে আমাদের নির্লিপ্ত থাকার কোন কারণ নেই। আমাদেরকে মনে রাখতে হবে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কোনভাবেই যদি আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় না আসতে পারে তাহলে ২০০১ সালের নির্বাচনের ছলে বলে কৌশলে আওয়ামী লীগকে পরাজিত করে বিএনপি-জামাতজোট যে র্ববরোচিত তান্ডব ও নাশকতা আওয়ামী লীগ ও মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের শক্তির বিরুদ্ধে চালিয়েছিল তার চেয়ে আরো বেশি ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে। আজ বুধবার বিকেলে নন্দনকাননস্থ বিটিসিএল (সাবেক টিএনটি) সিবিএ কার্যালয়ে টিএনটি সিবিএ সভাপতি সাবের আহমদের সভাপতিত্বে চট্টগ্রাম মহানগর জাতীয় শ্রমিক লীগ সিবিএ-ননসিবিএ সমন্বয় পরিষদের প্রতিনিধি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। তিনি আরো বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা শ্রমিক বান্ধব রাজনীতিক। তিনি তিনদফায় ধারাবাহিকভাবে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তাঁর দায়িত্ব পালন করে শ্রমিক কর্মচারীদের জীবনমান উন্নয়নে যথেষ্ট ইতিবাচক কর্মকান্ড চালিয়েছেন। শ্রমিক কর্মচারীদের নতুন নতুন কর্মস্থানেরও সৃষ্টি করে দিয়েছেন। শুধুমাত্র চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে বঙ্গবন্ধু অর্থনৈতিক শিল্পজোনে ৫ লক্ষেরও বেশি শ্রমিকের কর্মসংস্থানের সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়াও সারাদেশে প্রায় শতাধিক অর্থনৈতিক ও শিল্পজোনে কয়েককোটি শ্রমিক কর্মচারীর কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে। তবে তিনি এও বলেছেন যে, লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে, বিভিন্ন সরকারি খাতে এবং সেবা সংস্থায় ঠিকাদারদের মাধ্যমে আউটসোর্সিং পদ্ধতিতে শ্রমিক নিয়োগের যে উদ্যোগ চলমান রয়েছে তা মোটেই শ্রমিক শ্রেণির কল্যাণ বয়ে নিয়ে আসবে না। বরং এতে এক শ্রেণির ঠিকাদার শ্রমিক শোষণের মাধ্যমে নিজেরাই লাভবান হবেন। তাই সরকারের উচিত শ্রম স্বার্থ বিরোধী এই কার্যক্রম বন্ধ করে সরাসরি সরকারি বিভিন্ন সেক্টর ও সেবাখাতগুলোতে শ্রমিক কর্মচারী নিয়োগ করে শ্রমিক ও কর্মচারী স্বার্থকে সুরক্ষা দিতে হবে। শ্রমিক নেতা সমিরুল ইসলাম তুহিনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত প্রতিনিধি সভায় আরো বক্তব্য রাখেন খলিফাপট্টি দর্জি শ্রমিক লীগের সভাপতি জামাল উদ্দীন লিটন, খাতুনগঞ্জ লোডিং আনলোডিং সভাপতি মোঃ ইব্রাহিম, সাধারণ সম্পাদক মোঃ সিরাজুল ইসলাম, চট্টগ্রাম পুরাতন কাপড় ক্ষুদ্র সমিতির সাধারণ সম্পাদক কামাল উদ্দীন বাদল, রেল শ্রমিক লীগ নেতা রাজেস বড়–য়া, চট্টগ্রাম জেলা নির্মাণ শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মোঃ জাফর, মোঃ নাসির উদ্দীন, চট্টগ্রাম জেলা বৈদ্যুতিক টেকনিশিয়ান সভাপতি শাহাজাহান ভূইয়া, বিটিসিএল সিবিএর নেতা মাওলানা মুহাম্মদ নুরুল হুদা চৌধুরী, আবু আহমেদ, জহুর মার্কেট দোকান কর্মচারী সাধারণ সম্পাদক মোঃ ইরফান চৌধুরী, দর্জি শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ ফরিদ, বাকলিয়া থানা শ্রমিক লীগ নেতা আব্দুল লতিফ, মোঃ আলাউদ্দিন, মিজানুর রহমান মিয়া, মোঃ সোহেল, মোঃ মানিক, কামরুল, মিজান, মোঃ রুবেল, মোঃ সেলিম প্রমুখ। উপস্থিত ছিলেন প্রদীপ খাস্তগীর, সাবেক ছাত্রনেতা তাপস কান্তি দাশসহ শ্রমিক নেতৃবৃন্দ।